Select Page

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩-১৯৯৫)

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩-১৯৯৫)

champa-padma-nodir-maji

১৯৯৩ : এই বছর সেরা চলচ্চিত্র সহ মোট ২১ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়
১. বিশেষ সম্মাননা (মরণোত্তর)-  নাজির আহমেদ
২. সেরা চলচ্চিত্র- পদ্মা নদীর মাঝি
৩. সেরা পরিচালক- এ জে মিন্টু (বাংলার বধূ)
৪. সেরা কাহিনীকার- কাজী হায়াত (চাঁদাবাজ)
৫. সেরা চিত্রনাট্যকার- এ জে মিন্টু (বাংলার বধূ)
৬. সেরা সংলাপ রচয়িতা- সেলিম আল দীন (একাত্তরের যীশু)
৭. সেরা সংগীত পরিচালক- আজাদ রহমান (চাঁদাবাজ)
৮. সেরা নৃত্য পরিচালক- মাসুম বাবুল (দোলা)
৯. সেরা অভিনেতা- রাইসুল ইসলাম আসাদ (পদ্মা নদীর মাঝি)
১০. সেরা অভিনেত্রী- চম্পা (পদ্মা নদীর মাঝি)
১১. সেরা সহ অভিনেত্রী- আনোয়ারা (বাংলার বধূ)
১২. সেরা শিশু শিল্পী- অনিক (মৌসুমী)
১৩. বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী- প্রিয়াঙ্কা (ত্যাগ)
১৪. সেরা গীতিকার- হাসান ফকরী (চাঁদাবাজ ও বাংলার বধূ)
১৫. সেরা গায়ক- আজাদ রহমান (চাঁদাবাজ)
১৬. সেরা গায়িকা- ফরিদা পারভীন (অন্ধ প্রেম)
১৭. সেরা চিত্রগ্রাহক- এ আর জাহাঙ্গীর (অবুঝ সন্তান)
১৮. সেরা সম্পাদক- মুজিবুর রহমান দুলু (চাঁদাবাজ)
১৯. সেরা শিল্প নির্দেশক- মহিউদ্দিন ফারুক (পদ্মা নদীর মাঝি)
২০. সেরা শব্দগ্রাহক- মমতাজউদ্দিন ভূঁইয়া (মৌসুমী)
২১. সেরা রুপসজ্জাকর- মো.আলাউদ্দিন (পদ্মা নদীর মাঝি)

মানিক বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় গৌতম ঘোষের সিনেমা ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ ও কাজী হায়াতের ‘চাঁদাবাজ’ যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৫টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে।লালন গীতির কিংবদন্তি গায়িকা ফরিদা পারভীন এই বছর সেরা গায়িকা হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেন।শক্তিমান অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদ ও চম্পা প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।এই বছর সেরা সহ অভিনেতা শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়নি।

১৯৯৪ : এই বছর ২২ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়
১. বিশেষ সম্মাননা (মরণোত্তর)- আশীষ কুমার লোহ
২.  সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- ঠিকানা
৩. সেরা চলচ্চিত্র- আগুনের পরশমনি ও দেশপ্রেমিক
৪. সেরা পরিচালক- কাজী হায়াত (দেশপ্রেমিক)
৫. সেরা কাহিনীকার- হুমায়ূন আহমেদ (আগুনের পরশমনি)
৬. সেরা চিত্রনাট্যকার- কাজী হায়াত (দেশপ্রেমিক)
৭. সেরা সংলাপ রচয়িতা- হুমায়ূন আহমেদ (আগুনের পরশমনি)
৮. সেরা সংগীত পরিচালক- সত্য সাহা (আগুনের পরশমনি)
৯. সেরা অভিনেতা- আলমগীর (দেশপ্রেমিক)
১০. সেরা অভিনেত্রী- বিপাশা হায়াত (আগুনের পরশমনি)
১১. সেরা সহ অভিনেতা- অমল বোস (আজকের প্রতিবাদ)
১২. সেরা সহ অভিনেত্রী- আনোয়ারা (অন্তরে অন্তরে)
১৩. সেরা শিশু শিল্পী- শীলা আহমেদ (আগুনের পরশমনি)
১৪. বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী- হোসনে আরা পুতুল (আগুনের পরশমনি)
১৫. সেরা গীতিকার- মাসুদ করিম (হৃদয় থেকে হৃদয়)
১৬. সেরা গায়ক- খালিদ হাসান মিলু (হৃদয় থেকে হৃদয়)
১৭. সেরা গায়িকা- রুনা লায়লা (অন্তরে অন্তরে)
১৮. সেরা চিত্রগ্রাহক (যৌথভাবে)- কাজী বশির (ঘৃণা) ও হাসান আহমেদ (ঘরের শত্রু)
১৯. সেরা সম্পাদক- জিন্নাত হোসেন (কমান্ডার)
২০. সেরা শিল্প নির্দেশক- আব্দুস সবুর (ঘাতক)
২১. সেরা শব্দগ্রাহক- মফিজুল হক (আগুনের পরশমনি)
২২. সেরা রুপসজ্জাকর- হারুন (হৃদয় থেকে হৃদয়)

shila-ahmed-asaduzzaman-nur-aguner-poroshmoniনন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ সর্বোচ্চ ৮ টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে।প্রথমবারের মতো একই বছর দুটি চলচ্চিত্রকে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে ঘোষনা করা হয়।

সংগীতজ্ঞ সত্য সাহা প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। অভিনেত্রী আনোয়ারা পরপর তিনবার পুরস্কার অর্জন করে হ্যাটট্টিক করেন।জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত, হুমায়ূন কন্যা শীলা আহমেদ প্রথমবারের মত জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৯৫ : এই বছর ১৬টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়
১. সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- মুক্তির গান
২. সেরা চলচ্চিত্র- অন্য জীবন
৩. সেরা পরিচালক- শেখ নিয়ামত আলী (অন্য জীবন)
৪. সেরা কাহিনীকার- তানভীর মোকাম্মেল (নদীর নাম মধুমতি)
৫. সেরা চিত্রনাট্যকার- শেখ নিয়ামত আলী (অন্য জীবন)
৬. সেরা সংলাপ রচয়িতা- তানভীর মোকাম্মেল (নদীর নাম মধুমতি)
৭. সেরা অভিনেতা- রাইসুল ইসলাম আসাদ (অন্য জীবন)
৮. সেরা অভিনেত্রী- চম্পা (অন্য জীবন)
৯. সেরা সহ অভিনেতা- আবুল খায়ের (অন্য জীবন)
১০. সেরা সহ অভিনেত্রী- শান্তা ইসলাম (অন্য জীবন)
১১. সেরা শিশু শিল্পী- তনয় (অন্য জীবন)
১২. সেরা গায়ক- সাইদুর রহমান বয়াতী (অন্য জীবন)
১৩. সেরা গায়িকা- কনকচাঁপা (লাভ স্টোরি)
১৪. সেরা চিত্রগ্রাহক- আনোয়ার হোসেন (অন্য জীবন)
১৫. সেরা সম্পাদক- আতিকুর রহমান মল্লিক (অন্য জীবন)
১৬. সেরা শিল্প নির্দেশক- উত্তম গুহ (অন্য জীবন)

শেখ নিয়ামত আলীর প্রশংসিত চলচ্চিত্র ‘অন্যজীবন’ সর্বোচ্চ ১১ টি শাখায় পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড করে। বাউল শিল্পী সাইদুর রহমান বয়াতী জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। এই বছর বেশ কয়টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয় না। চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রাম্যণ্যচিত্র ‘মুক্তির গান’ পুরস্কৃত হয়।


Leave a reply