টিজারে চমৎকার কিছুর প্রতিশ্রুতি
বছর দেড়েকজুড়ে শোনা যাচ্ছে ‘নাইওর’র নাম। সোমবার রাত প্রকাশ হলো রাশিদ পলাশ পরিচালিত সিনেমাটির আড়াই মিনিট দৈর্ঘ্যের টিজার। ‘আনন্দ বেদনা মিশ্রিত প্রস্থান’— ট্যাগলাইনের সিনেমাটির এ ভিডিও নতুন কিছু দেখাবে এমন প্রতিশ্রুতিই যেন দিল।
গ্রাম থেকে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় আসা যুবকের চরিত্রে দেখা গেল আনিসুর রহমান মিলন। বেশির ভাগ দৃশ্যে তাকে বিহ্বলই মনে হলো— তিনি কি এতটাই সহজ-সরল! হয়তো এমনটা গল্পের সঙ্গে যায়। সিনেমা মুক্তিতে বাকি আছে ঢের। তা সত্ত্বেও বলা যায়, বাণিজ্যিক সিনেমায় ব্যর্থ তকমা পাওয়া (টেলিভিশনের) সুঅভিনেতার জন্য মানানসই চরিত্র এটি। আশা করা যায়, মিলন উৎরে যাবেন।
নায়িকা চরিত্রে সিমলাকে নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। ভাল নির্মাতা পেলে তিনি নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দেন। সম্ভবত রাশিদ পলাশ সে দায়িত্ব অনেকখানি পালন করেছেন। আর নবাগত সাদিয়াও ভাল।
টিজার বলছে, ‘নাইওর’র থিম বস্তি কেন্দ্রিক মানুষের আশা-হতাশার গল্প। বিশেষ করে নারী জীবনের কিছু করুণ দিক উঠে আসবে। আশা করা যায়, এমন করুণ রস সিনেমাটিকে ম্যাড়ম্যাড়ে করে তুলবে না। ঝলমলে দৃশ্যায়ন, হাসির কিছু দৃশ্য সে ইঙ্গিতই দেয়।
দৈর্ঘ্য হিসেবে আড়াই মিনিট টিজারের জন্য অনেক সময়। শুনতে ভাল লাগলেও দুটি গানের (টাকা ও হৃদয়ে দিয়েছো দোলা) ব্যবহার বাহুল্যই মনে হয়েছে। বরং থিম মিউজিক ব্যবহার করলে আলাদা দ্যোতনা পেত।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরী, রাশেদ মামুন অপু, হেদায়েত নান্নু, কামাল উদ্দিন, আহমেদ ফারুক, ফরহাদ শিশির ও আরিফ সিদ্দিকী পিন্টু। রাশিদ পলাশের কাহিনী থেকে সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন আদনান আদীব খান।
আরশি প্রোডাকশনের প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে ‘নাইওর’। নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে আছেন গোলাম রাব্বানী।