টেন্ডার আহ্বান করে এফডিসিতে অনিয়ম
১৬ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় বিএফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল এডিটিং প্যানেল, টেলিসিনে মেশিন ও কালার গ্রেডিং ইউনিটের জন্য ১৮টি অনলাইন ইউপিএস ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর জন্য সিডিউল ক্রয়ের শেষ তারিখ ২৯ নভেম্বর এবং জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। এরপর টেন্ডার অবমুক্ত করে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ টেন্ডার জমা দেয়া ও সিডিউল বিক্রির তারিখ শেষ না হতেই টেন্ডার ঘোষিত ১৬টি অনলাইন ইউপিএস এফডিসিতে সরবরাহ করা হয়েছে। যা ব্যবহার করাও হচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক যুগান্তর।
সেখানে বলা হয়, টেন্ডারকৃত ইউপিএসগুলোর আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ টাকা। ইউপিএসগুলোর মধ্যে ৫টি এডিটিং প্যানেলে, ১টি কালার গ্রেডিং ইউনিটে, ৩টি প্রসেসর ইউনিটে এবং ১টি টেলিসিনে মেশিনে ব্যবহার হচ্ছে। বাকি ৮টি এফডিসির স্টকে জমা আছে। প্রশ্ন উঠেছে টেন্ডারের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে কেপিআইভুক্ত একটি এলাকায় কীভাবে এ সব মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে?
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, টেন্ডার সিডিউল বিক্রির সময় শেষ হওয়ার আগেই টেন্ডারকৃত মালামাল এফডিসিতে সরবরাহের মূলে রয়েছে একটি সিন্ডিকেট। এফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষের নির্দেশে প্রকল্প পরিচালক লক্ষণচন্দ্র দেবনাথের আর্শীবাদপুষ্ট শহীদুল ইসলাম নামের একজন ঠিকাদার কর্তৃক ইউপিএসগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ এবং বেআইনি।
এ দিকে এফডিসির এমডি অন্য একটি প্রকল্পের ট্রেনিং নিতে বর্তমানে আমেরিকায় অবস্থান করছেন। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়, আমেরিকায় ট্রেনিংয়ের নামে তিনি সরকারি অর্থের অপচয় করে ব্যক্তিগত ভ্রমণে আছেন। কারণ সেন্ট্রাল স্টোরেজের ট্রেনিংয়ে সংশ্লিষ্ট শাখার কোনো টেকনিয়ানকে ট্রেনিংয়ে পাঠানোর নিয়ম থাকলেও স্বয়ং এমডি নিজেই এ ট্রেনিং নিতে আমেরিকায় যান।
প্রশ্ন তোলা হয়, সেন্ট্রাল স্টোরেজ বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের আওতায় সব ধরনের হার্ডডিস্ক কিংবা অন্যান্য ইকুইপমেন্ট সংরক্ষণ করে, সেখানে এমডিকে কেন ট্রেনিং নিতে হবে। কিংবা ট্রেনিং নিয়ে এসে এমডি কী সেন্ট্রাল স্টোরেজে কাজ করবেন? সংশ্লিষ্ট টেকনিশিয়ান যদি এ বিষয়ে দক্ষ না হয় তাহলে সেন্ট্রাল স্টোরেজের কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।