ঢাকার প্রথম সবাক ছবিতে রহিমা খালার শুরু
তার নাম রহিমা খাতুন। কিন্তু চলচ্চিত্রের দর্শকদের কাছে ‘রহিমা খালা’ হিসেবে পরিচিত পান। মূলত পর্দায় তাকে এ সম্বোধনে পাওয়া যেতো।
ঢাকার সিনেমার যে সব চরিত্রাভিনেতা ছোটখাটো চরিত্র করেও এক নামে পরিচিত ছিলেন তার অন্যতম তিনি।
এ গুণী অভিনেত্রী মঞ্চ-বেতার-টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র সব মাধ্যমেই ছিলেন জনপ্রিয়।
রহিমা খাতুন ১৯১৫ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতায় মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে সর্বপ্রথম অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে রেডিওতে নাট্যশিল্পী হিসেবে যোগ দেন।
তিনি বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের ) প্রথম সবাক পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আসেন।
রহিমা খাতুন অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহের মধ্যে রয়েছে- আকাশ আর মাটি, রাজধানীর বুকে, তালাশ, সুতরাং, কাগজের নৌকা, আবির্ভাব, আয়না ও অবশিষ্ট, বেহুলা, ইস ধরতি পর, আনোয়ারা, এতটুকু অাশা, সূর্যস্নান, সোনার কাজল, জোয়ার এলো, নাচঘর, ধারাপাত, কার বউ, আপন দুলাল, আগুন নিয়ে খেলা, ভাগ্যচক্র, মিলন, চম্পাকলি, পালাবদল, আলোর পিপাসা, অন্তরঙ্গ, পাতালপুরী, রূপবান, জয় বাংলা, মোমের আলো, রাখাল বন্ধু, ভাইবোন, কাঞ্চন মালা, জিনা ভি মুশকিল, হীরামন, মধুমালা, নিশি হলো ভোর, সখিনা, গোরী, সপ্তডিঙ্গা, অরুণ বরুণ কিরণ মালা, চোরাবালি, অপরিচিতা, রূপবানের রূপকথা, ময়নামতি, মায়ার সংসার, নাগিনীর প্রেম, আলিঙ্গন, মুক্তি, মলুয়া, যে আগুনে পুড়ি, মেহেরবান, কতো যে মিনতি, আদর্শ ছাপাখানা, নীল আকাশের নীচে, ক খ গ ঘ ঙ, পীচ ঢালা পথ, দর্পচূর্ণ, ছদ্মবেশী, নতুন প্রভাত, কাঁচ কাটা হীরে, মন নিয়ে খেলা, অবুঝ মন, রংবাজ, অগ্নিপরীক্ষা, তিতাস একটি নদীর নাম, দস্যুরাণী, দয়াল মুরশিদ, আবার তোরা মানুষ হ, চোখের জলে, বাংলার ২৪ বছর, ঈশা খা, ভুল যখন ভাঙলো, অন্তরালে, ত্রিরত্ন, মামা ভাগ্নে, কে আসল কে নকল, জিঘাংসা, সোনার খেলনা, দুই রাজকুমার, লাঠিয়াল, বাদশা, ভাড়াটে বাড়ি, সুজন সখি, কেন এমন হয়, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, তালবেতাল, আলোর মিছিল, জিঘাংসা, অবাক পৃথিবী, প্রতিনিধি, স্বীকৃতি, দুটি মন দুটি আশা ইত্যাদি।
রহিমা খাতুন ১৯৭৬ সালের ৯ জুন মৃত্যুবরণ করেন।
ছবি: আজাদ আবুল কাশেম