তনুর গ্রাফিতির ওপর ‘প্রিয় মালতী’র পোস্টার লাগিয়ে সমালোচিত মেহজাবীন
শঙ্খ দাসগুপ্ত পরিচালিত ‘প্রিয় মালতী’-এর মাধ্যমে ২০ ডিসেম্বর মেহজাবীন চৌধুরীর অভিষেক হতে যাচ্ছেন বড় পর্দায়। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) পোস্টারিং করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। খবর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী টিএসসির ডাসের দেয়ালে ২০১৬ সালে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির ওপর সিনেমাটির একটি পোস্টার সটিয়ে দিচ্ছেন। এসময় দৃশ্যটি ধরা পড়ে গণমাধ্যমের ক্যামরায়। পরে বিষয়টি নজরে আসলে এর সমালোচনা করে এই অভিনেত্রীকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ ফেসবুকে লিখেছেন, “আমার শহীদ বোন তনুকে চেনেন না মেহজাবীন চৌধুরী? কার গ্রাফিতির উপর নিজের খোমাওয়ালা পোস্টার লাগাইছেন? চিনবেন কেমনে? আপনাগো সো কল্ড কাল-চারাল পাড়ায় আমার বোনেরে নিয়ে কথা হয় কি? অবিলম্বে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চান।”
ঢাবি শিক্ষার্থী নাফিজ বসির লিখেছেন, তনুকে এই অভিনেত্রী সম্ভবত চেনেন না, অবশ্য তার মত প্রিভিলেজড মানুষের তনুকে চেনার কথাও না! তনুর গ্রাফিতির উপর বহিরাগত হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ডাসে লাগানো পোস্টার এই অভিনেত্রীর নিজের এসে ছিঁড়তে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে!
মেহজাবীন ছাড়াও সিনেমায় অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরী, আজাদ আবুল কালাম, মোমেনা চৌধুরী, সমু চৌধুরী, আনিসুল হক বরুন, শাহজাহান সম্রাট, রিজভী রিজু প্রমুখ।
সংযোজন: পরবর্তী সময়ে ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মেহজাবীন ফেসবুকে লেখেন, “‘প্রিয় মালতী’ চলচ্চিত্রের প্রচারণার জন্য একটি টিম আজ (১৮ ডিসেম্বর) টি.এস.সি-তে গিয়েছিলাম। অনেক দর্শক আমাদের সঙ্গে যোগ দেন চলচ্চিত্রের প্রচারণায়, প্রচণ্ড ভিড় ও অনিবার্যকারণ বসত পোস্টারিংয়ের ক্যাম্পেইনটি দ্রুত শেষ করতে হয়। ভুলবশত ও অনাকাঙ্খিত অব্যস্থাপনায় একটি পোস্টার মরহুমা সোহাগী জাহান তনুর গ্রাফিতির উপরে লাগানো হয়ে যায় । আমরা সবাই জানি তনুর মর্মান্তিক ঘটনা এবং তার হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই এখনও চলমান।পোস্টারিং সংক্রান্ত যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। আমরা তৎক্ষণাৎ সেই পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলেছি এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেছি।
আমাদের চলচ্চিত্র, আমরা এবং আমাদের সংগ্রামের মূল লক্ষ্যই ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই। এটি আমাদের হৃদয় থেকে আসে। আমরা আশা করি, আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যাবস্থপনাটুকু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাদের সকল সহযোগিতার জন্য।”