Select Page

তিন অভিযোগের মুখে ‘হিরো ৪২০’

তিন অভিযোগের মুখে ‘হিরো ৪২০’

hero 420

যৌথ প্রযোজনার ‘হিরো ৪২০’ ভারতে মুক্তি পাবে ১২ ফেব্রুয়ারি। তার এক সপ্তাহ পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ছবি মুক্তির কথা থাকলেও, প্রিভিউ কমিটির তিন অভিযোগের কারণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন বাংলা মেইল

অভিযোগগুলো হলো— ভারতীয় শিল্পীদের আধিক্য, বাংলাদেশে কম দৃশ্যধারণ ও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে যৌথ প্রযোজনার অনুমতি পাওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে সকল কাজ শেষ করা। এ সব বিষয়ে বুধবার এফডিসিতে একটি সভা ডাকা হয়েছে। এতে প্রিভিউ কমিটির সদস্যদের সামনে যুক্তি উপস্থাপন করবেন ছবিটির বাংলাদেশি প্রযোজক।

যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণের পর সেন্সর বোর্ডের কাছে জমা দেওয়ার আগে এফডিসিতে প্রিভিউ কমিটির সামনে প্রদর্শন করার নিয়ম রয়েছে। এ কমিটি তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ছবিটি দেখে মতামত জানায়। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয় অনাপত্তি পত্র দিলে তবেই সেই সার্টিফিকেট নিয়ে সেন্সর বোর্ডের কাছে ছবিটি জমা করতে হয়। কিন্তু এর আগেই প্রিভিউ কমিটির কাছে আটকে গিয়েছে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘হিরো ৪২০’।

কমিটির সদস্য নাসিরউদ্দীন দিলু অনলাইনটিকে বলেন, ‘প্রথম কথা হয়েছে ছবিটি দেখলেই মনে হয় আগাগোড়া ভারতীয় ছবি। এতে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের শিল্পীদের উপস্থিতিও কম। বিশেষত ছবিতে বিরতির মাত্র কয়েক মিনিট আগে পর্দায় হাজির হয় বাংলাদেশের শিল্পী নুসরাত ফারিয়া। যা যৌথ প্রযোজনার নীতিমালার লঙ্ঘন। তাছাড়া ভাষাগত কিছু বিষয় আমাদের চোখে পড়েছে। যেগুলো আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই বেমানান।’

তিনি আরো বলেন, ‘কাগজে পত্রে ছবিটি নির্মাণের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে ৭ জানুয়ারি। কিন্তু মাত্র ১৪ দিনের মাথায় ২১ জানুয়ারি ছবিটি প্রিভিউ কমিটির কাছে কীভাবে জমা দেয়া সম্ভব হলো? এটা যৌথ প্রযোজনার লঙ্ঘন কিনা আমার জানা নেই। তবে এটা মধ্যেও গলদ আছে, সেটা সুস্পষ্ট।’

এ দিকে জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা মেনে দুই দেশের সমান সংখ্যক শিল্পী নিয়ে আমরা ছবিটি নির্মাণ করেছি। তারপরও প্রিভিউ কমিটি অনাকাঙ্খিত প্রশ্ন তুলছে।’

তিনি প্রিভিউ কমিটির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘অভিনেতা শিমুল খান কী ভারতীয় শিল্পী? সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকে চিনলেও, প্রিভিউ কমিটি চিনেন না। আমার ছবিতে দেশের নবীন কয়েকজন শিল্পী কাজ করেছেন। অথচ তাদের ভারতীয় শিল্পী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা চলছে।’

অন্য দুই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার ছবির অধিকাংশ দৃশ্যধারণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডে। তবে ভারত ও বাংলাদেশে সমান সংখ্যক দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া জাজ সব সময় শুটিং, ডাবিংসহ অন্যান্য কাজ একসঙ্গেই করে থাকে। তাই ২১ দিনে ছবির কাজ শেষ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব।’

উল্লেখ্য, জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের যৌথ প্রযোজনায় ‘হিরো ৪২০’ ছবিটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন সৈকত নাসির ও ভারতের সুজিত মন্ডল। ছবিতে অভিনয় করেছেন নুসরত ফারিয়া, রিয়া সেনওমসহ আরো অনেককেই।


Leave a reply