Select Page

দর্শক প্রতিক্রিয়া : মাটির প্রজার দেশে

দর্শক প্রতিক্রিয়া : মাটির প্রজার দেশে

তিনটি প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে বিজন ইমতিয়াজ পরিচালিত ‘মাটির প্রজার দেশে’। অভিনয় করেছেন মাহমুদুর অনিন্দ্য, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, কচি খন্দকার, শিউলি আক্তার, চিন্ময়ী গুপ্তা, রমিজ রাজু, আবদুল্লাহ রানা, মনির আহমেদ শাকিল, রিকিতা নন্দিনী শিমুসহ অনেকে।

এখন পর্যন্ত বিশের অধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে ‘মাটির প্রজার দেশে’। ২০১৬ সালে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। একই বছর শিকাগো দক্ষিণ এশিয়া চলচ্চিত্র উৎসবে ‘সেরা সিনেমা’র পুরস্কার জেতে।

গুপী বাঘা প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের একটি বিশেষ শ্রেণীর আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। তারা নিজেরা স্বপ্রণোদিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা চালিয়েছেন। মুক্তির পর অনেকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সন্তুষ্টির ছাপ পাওয়া গেছে।

ফেসবুকের বাংলা চলচ্চিত্র গ্রুপ থেকে কয়েকটি রিভিউয়ের অংশ বিশেষ দেওয়া হলো নিচে—

সন্দীপ বিশ্বাস লেখেন, “মাটির প্রজার দেশে’ দেখলাম। আজই মুক্তিপাওয়া সিনেমাটি দেখে মনে হল প্রথাগত বাণিজ্যিক সিনেমা তো এটা নয়ই বরং ওল্ডমাস্টারদের প্রেতাত্মা ভর করে থাকা নির্মাতাদের ডিঙিয়ে নতুনভাবে গল্প বলার প্রবণতা আছে ছবিটার মধ্যে। সিনেমাটোগ্রাফি, সাউন্ড, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, এক্টিং ভালো হলেও ওয়ে অব স্টোরি টেলিং-এ কিছুটা ছন্দপতন মনে হয়েছে। ছবির প্রতিটা ডিপার্টমেন্টকে ধরে ধরে নিখুঁত করার জন্য ভালোবাসার ছাপ স্পষ্ট হলেও কোন শিল্পকর্মই সমালোচনার উর্ধে হয় না তাই আজ শুধু প্রথমিক ভালোলাগা জানাতে চাই।”

চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক রহমান মতি লিখেছেন ‘আমরা সবাই মাটির প্রজা’ শীর্ষক রিভিউ। তার ভাষ্যে, ‘ছবিতে ক্যামেরা কথা না বললে ছবি হয় না। এ ছবিতে বলেছে। ঘোমটার ফাঁক থেকে চিন্তা ও বাস্তবতার দুনিয়াটা কত সংকুচিত হয়ে যায় ক্যামেরা দেখিয়েছে। সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, নৌকার পাল, নদীর জলতরঙ্গ, যবক্ষেতের সোনালি আলো, সাইকেলের চাকার ঘূর্ণন, টায়ার চালানো, নারিকেলের ছোবড়ার মধ্যে বসে টানা এসব শৈশবে খালি চোখে দেখা দৃশ্যের অনুভূতি দেয়। রাতের নীরবতা বা ঝিঁঝিঁ ডাকার শব্দটাও রিয়েল হয়ে যায় ক্যামেরার ভাষায়।’

তিনি আরো লেখেন, “২০১৮ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি গড়িয়ে মার্চের শেষের দিকে এসে বছরের প্রথম ভালো ছবির দেখা পেল ইন্ডাস্ট্রি যার নাম ‘মাটির প্রজার দেশে।’ ভাবতে ভালোবাসেন যারা, ভালো ছবি দেখতে ভালোবাসেন যারা তাদের মিস করাটা ঠিক হবে না। পরিচালক বিজন ইমতিয়াজ জীবনমুখী ছবির নির্মাতা হয়ে থাকল।”

ফিল্ম কাস্ট নামের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত আবদুল্লাহ আল মানী লেখেন, ‘২০১৮ সালের বেস্ট সিনেমা দেখলাম মনে হয়। ইনারমিনিং দেখতে চান যারা তাদের জন্য বেস্ট সিনেমা।’

তার ভাষ্যে, ‘সিনেমা একটি শিল্প; সিনেমা সমাজের দর্পণ। মাটির প্রজার দেশে দেখার পর মনে হল এটি আসলেই সেরা। প্রতিটি চরিত্র সমাজ থেকে নেওয়া। সিনেম্যাটোগ্রাফি দেখার পর থেকে ভাবছি এতো সুন্দর কিভাবে হতে পারে? তাও বাংলা সিনেমা। প্রতিটি সিনেম্যাটোগ্রাফির আলাদা আলাদা মিনিং আছে। যা দেখে আপনি প্রতিটি চরিত্রের সাথে মিলাতে পারবেন।’

শৈবাল সারোয়ার তার রিভিউতে লেখেন, ‘বাংলার মাটির গন্ধ আর নির্মল পরিবেশের এমন সিনেমাটিক উপস্থাপন আমাদের সিনেমার ভবিষ্যৎের সুন্দরদিনের আশা জাগানিয়ার কাজ করে।’

আরো বলেন, ‘চিত্রগ্রহণ এমন এক মোহময়তা সৃষ্টি করেছে, এই বাংলার রুপের এক অদেখা রুপ এতে বিধৃত।’


Leave a reply