Select Page

দুঃসময়ে ঢাকায় সিনেমা ছাড়াও নানা কাজে যুক্ত ছিলেন চাংকি পাণ্ডে

দুঃসময়ে ঢাকায় সিনেমা ছাড়াও নানা কাজে যুক্ত ছিলেন চাংকি পাণ্ডে

শাবানা অভিনীত ও প্রযোজিত ‘স্বামী কেন আসামী’ ভারতের দুই তারকার জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছিল। তারা হলেন বলিউডের চাংকি পাণ্ডে ও টালিউডের ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুজনেই বিভিন্ন সময়ে সেই কথা স্বীকার করেছেন; বিশেষ করে চাঙ্কি পাণ্ডের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বাংলাদেশ অধ্যায়টি থাকবেই।

স্বামী কেন আসামী সিনেমার সেটে মনোয়ার খোকন, দিতি ও জসিমের সঙ্গে চাংকিপাণ্ডে

আশির দশকের শেষের দিকে বলিউডে আবির্ভাব চাংকিপাণ্ডের। ‘পাপ কি দুনিয়া’, ‘তেজাব’, ‘খাতরো কি খিলাড়ি’, ‘ঘর কা চিরাগ’, ‘পর্দা হ্যায় পর্দা’সহ অনেক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তবে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বড়সড় ধাক্কা খান চাঙ্কি।

ওই সময়ে বলিউডে ব্যাপক বদল ঘটতে থাকে। আমির খান, সালমান খান, শাহরুখ খান রোমান্টিক হিরো হয়ে একের পর এক সাফল্য পেতে শুরু করেন। অন্যদিকে, অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি, অজয় দেবগন প্রত্যেকে অ্যাকশন হিরো হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। এছাড়া, সানি দেওল ও গোবিন্দ তো ছিলেনই। এত নায়কের ভিড়ে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েন চাংকি।

একক নায়ক হিসেবে কোনো সিনেমা তো পাচ্ছিলেনই না। বরং, চাংকিযে সব মাল্টি হিরোনির্ভর সিনেমা করতেন, সেগুলোও কমে আসতে থাকে। অবস্থা এমন পর্যায়ে যায় যে, তাঁর কাছে সিনেমার অফার আসাই বন্ধ হয়ে যায়। যে একটা দুটো আসত, তা-ও নায়কের ভাই কিংবা খুবই অগুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। বাধ্য হয়ে বিকল্প চিন্তা করতে থাকেন চাংকি পাণ্ডে। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে চলে আসেন বাংলাদেশে।

সম্প্রতি মেয়ে অনন্যা পাণ্ডেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন চাংকি। উই আর যুবা নামের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়েছে ৪০ মিনিটের ওই আলাপচারিতা। মেয়ের সঙ্গে ক্যারিয়ারের নানা অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করেছেন চাংকি। একপর্যায়ে উঠে আসে বাংলাদেশে থাকাকালীন চাংকির জীবনসংগ্রামের কথা।

স্বামী কেন আসামী সিনেমার সেটে মনোয়ার খোকন ও জসিমের সঙ্গে চাঙ্কি পাণ্ডে

চাংকিপাণ্ডে বলেন, ‘জীবনটা মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো। যখনই গান থেমে যাবে, তোমাকে যে কোনো চেয়ারে যেতে হবে। আমি অনেক ব্লকবাস্টার সিনেমা করেছি। ‘‘আঁখে’’ সিনেমা, যেটা আইকনিক হিট বলা যায়, এরপর আমার হাতে কোনো কাজ ছিল না। এ সিনেমার পর একটাই অফার পেয়েছিলাম, ‘‘তিসরা কৌন’’। এরপর আমি বাংলাদেশে চলে যাই। সেখানে কয়েকটি সিনেমা করি। সৌভাগ্যবশত, সেগুলো জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তী ৪-৫ বছর বাংলাদেশ ছিল আমার বাড়িঘর।’

১৯৯৭ সালে মুক্তি পায় চাংকিঅভিনীত বাংলা সিনেমা ‘স্বামী কেন আসামী’। এতে চাংকিছাড়াও ছিলেন জসীম, শাবানা, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মিশা সওদাগর প্রমুখ। পরের বছর মুক্তি পায় চাংকির আরেকটি বাংলা সিনেমা ‘মেয়েরাও মানুষ’। এরপর ‘ফুল আর পাথর’, ‘প্রেম করেছি বেশ করেছি’সহ কয়েকটি সিনেমায় দেখা যায় চাঙ্কিকে।

সিনেমায় অভিনয় ছাড়াও বাংলাদেশে নানামাত্রিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন চাংকি পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘কাজ করা ছাড়া ওই সময় আমার কোনো উপায় ছিল না। বাংলাদেশে আমি একটা ইভেন্টস কোম্পানি শুরু করেছিলাম। বিভিন্ন ইভেন্টস করতাম এ কোম্পানি থেকে। এছাড়া, জমি কেনাবেচার কাজও করতাম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কাজ করতাম। নিজের ইগো সরিয়ে রেখে কাজ করে গেছি। কারণ আমি জানতাম, যেভাবেই হোক আমাকে টিকে থাকতে হবে।’ খবর আজকের পত্রিকা


Leave a reply