Select Page

দেশের বাইরে ৬১ হলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’!

দেশের বাইরে ৬১ হলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’!

তৃতীয় সিনেমায় বাজিমাত করলেন রুবাইয়াতে হোসেন। দেশে মুক্তি না পেলে বিদেশের মাটিতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ‘ পৌঁছে গেছে দর্শকদের কাছে। অর্ধশতাধিক হলে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি জানান রুবাইয়াত। সেখানে পুরো হল তালিকা দেন। তালিকায় ফ্রান্সের ৫৩টি প্রেক্ষাগৃহের নাম রয়েছে। এ ছাড়া ডেনমার্কের ৭টি ও পর্তুগালের ১টি হলে মুক্তি পেয়েছে। যা বাংলাদেশি সিনেমার জন্য খুবই সম্মানজনক। এর আগে স্থানীয় পরিবেশনার মাধ্যমে অল্প কিছু ছবি মুক্তি পেলেও এত হল পায়নি।

এই খবর শেয়ারের পর থেকে শুভেচ্ছায় ভাসছেন রুবাইয়াত। অনেকেই শেয়ার করেছেন তার দেওয়া তালিকাটি। তবে বাংলাদেশে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কবে মুক্তি পাবে জানা যায়নি।

গার্মেন্টসে কাজ করা নারীদের ক্ষমতায়নের গল্প নিয়ে সিনেমার কাহিনী। এদেশে এখন অনেক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক। তারা অধিকাংশই সংগ্রাম করে জীবনযাপন করেন। একই সঙ্গে তারা দিন দিন সাহসি হয়ে উঠেছে এগিয়ে যাবার জন্য। সিনেমায় তাদের জীবন যুদ্ধ যেমন দেখানো হয়েছে তেমনি নারীর ক্ষমতায়ন আরও বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।

পড়ুন : মেড ইন বাংলাদেশের রিভিউ

এ দিকে কিছুদিন আগে ইতালির তুরিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘প্রিমিও ইন্টারফেদি’ পুরস্কার পায় ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। ২২-৩০ নভেম্বর ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত উৎসবটির ৩৭তম আসর। সমাপনী দিনে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ‘সংখ্যালঘু ও ধর্মনিরপেক্ষতা’র প্রতি সম্মান জানিয়ে সাত বছর ধরে ‘ইন্টারফেদি’ পুরস্কার দিচ্ছে আয়োজকরা। তুরিনের ওয়ালদেনসিয়া চার্চ, ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও উৎসব কমিটির বিচারে দেওয়া হয় এই পুরস্কার।

৬ সেপ্টেম্বর টরন্টো উৎসবে হয় ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার। এরপর লন্ডন ও ফ্রান্সের উৎসবেও প্রশংসিত হয় বাংলাদেশ-ফ্রান্স-ডেনমার্ক-পর্তুগালের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি। ২০১৭ সালে লোকর্নো উৎসবের ওপেন ডোরসে ছবিটির চিত্রনাট্য জিতেছিল আর্টে ইন্টারন্যাশনালের নগদ অর্থ পুরস্কার।

ছবিটিতে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, নভেরা হোসেন, দীপান্বিতা মার্টিন, পারভীন পারু, মায়াবি মায়া, মোস্তফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি ও সামিনা লুৎফা প্রমুখ। দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী ও ভারতের শাহানা গোস্বামী।

ফ্রান্স, ডেনমার্ক, পর্তুগাল ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই চলচ্চিত্রের মূল অর্থায়ন এসেছে ফ্রান্স সরকারের সিএনসি ফান্ড, নরওয়ে সরকার প্রদত্ত সোরফন্ড প্লাস, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন প্রদত্ত ইউরিমাজ ফান্ড ও ডেনমার্কের ড্যানিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট ফান্ড থেকে। ২০১৭ সালে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোরস-এ অংশ নিয়ে এই ছবির চিত্রনাট্যের জন্য জিতে নিয়েছে আর্ট ইন্টারন্যাশনালের নগদ ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ টাকার বেশি) পুরস্কার। ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল ছবিটির শুটিং শুরু হয় এবং ১ জুন শেষ হয়। একটানা ৩৬ দিন শুটিং হয়েছে ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন লোকেশনে।

এর আগে ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ নির্মাণ করেন রুবাইয়াত।


Leave a reply