নামছেই না ‘আয়নাবাজি’
মুক্তির দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘আয়নাবাজি’র অবস্থান বক্স অফিসে আরো মজবুত হলো। শুক্রবারের টিকিটও বৃহস্পতিবার সোল্ড আউট হয়ে যায়। তাই তৃতীয় সপ্তাহেও আগের হলগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নতুন প্রেক্ষাগৃহ।
বাংলাদেশের বাণিজ্যিকভাবে সাড়া পাওয়া ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘খায়রুন সুন্দরী’ ও অন্যান্য সিনেমাগুলো প্রথম সপ্তাহে কম হলে মুক্তি পেলেও মানুষের মুখে মুখে রটে যাওয়ায় বাজিমাত করে। একই কাণ্ড ঘটছে ‘আয়নাবাজি’র ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলো— দর্শক শ্রেণীর রদবদল। মূলত শহরের তরুণরা মূল টার্গেট হলেও সিনেমাটি গুণগান মফস্বলেও ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধু একবার নয়, অনেক দর্শক বারবার দেখছেন ‘আয়নাবাজি’। আর খুব লোকই একা যাচ্ছেন, তারা দলবল নিয়ে সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছে সেলফি ও হলের ছবি।
এছাড়া সিনেমাটি নিয়ে সমালোচনামূলক রিভিউ এসেছে কম। দর্শকদের স্বতপ্রণোদিত রিভিউতে বয়ে যাচ্ছে প্রশংসার বন্যা। পাশাপাশি প্রচারণায় নতুন ধারাও তৈয়ার করল ‘আয়নাবাজি’।
বিভিন্ন হল ঘুরে দেখা গেছে কেউ টিকিট না পেয়ে হতাশ, কেউবা দুই দিন আগে থেকেই ছবি দেখার অগ্রিম টিকিট কিনে রাখছেন। বিশেষ করে শুক্রবারের টিকিট যেন সোনার হরিণ। অন্যদিকে কালোবাজারীদের কপাল খুলে দিয়েছে ‘আয়নাবাজি’। দুই দিন ছাড়া সাধারণত এমন ঘটনা দেখা যায় না।
শুরুতে মুক্তি পায় ১৯টি প্রেক্ষাগৃহে। দ্বিতীয় সপ্তাহে ২৩টি হল পাওয়ার পর তৃতীয় সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫।
ঢাকার শ্যামলি সিনেমা হলে প্রতিদিনের ৪ শো বরাবরই হাউজফুল যাচ্ছে। দর্শক চাহিদায় শো বেড়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে দাঁড়িয়েছে ১২ ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ১১টি। অন্যদিকে দর্শক সামলাতে বলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এছাড়া রাজমনি ও আনন্দের মতো সনাতনী ধারার হলগুলোতেও দর্শক সমাগম বেড়েছে এ উপলক্ষে।
চলতি সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে ‘চোখের দেখা’। গতানুগতিক ধারার নির্মাণ হওয়ায় সিনেমাটি ‘আয়নাবাজি’র ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।