
নায়িকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পরীমনির!
জীবনের প্রথম ধারাবাহিক ‘সেকেন্ড ইনিংস’-এ অভিনয়ের জন্য ২৬ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন পরীমনি। এরপর দুই ডজন সিনেমা করলেও সাফল্যের হার আহামরি কিছু নয়। কিন্তু এ নায়িকার অভিনয়ের উন্নতি হয়েছে; বলতেই হয়। তবে সম্প্রতি অবাক তথ্য জানালো প্রথম আলো। এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নায়িকা হলেন পরীমনি।

‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’ সিনেমার দৃশ্য
সেখানে জানা যায়, প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’র জন্য ৩ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন পরীমণি। দেশে তিনি সর্বোচ্চ ২২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ‘অ্যাডভেঞ্চার সুন্দরবন’-এ, যা কিনা সরকারি অনুদানে নির্মিত। এর বাইরে আরও কয়েকটি ছবিতেও তিনি ২২ লাখ টাকা সম্মানী নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পরীমনি নিজেই।তবে ক্ষেত্রবিশেষে এর কমেও অনেক প্রযোজক-পরিচালকের ছবিতে কাজ করে দিয়েছেন। দেশে ২২ লাখ টাকা সম্মানী নিলেও দেশের বাইরে থেকে তার চেয়েও বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছেন। ‘ফেলুবক্সী’ ছবিতে পরীমনির পারিশ্রমিক ছিল ২৮ লাখ।
এদিকে ঢাকা-কলকাতা দুই ইন্ডাস্ট্রি মাতিয়ে বেড়ানো জয়া আহসানের অভিনয়জীবনের শুরুতে সিনেমায় পারিশ্রমিক ছিল ৬ থেকে ১০ লাখ টাকা। প্রযোজক-পরিচালকেরা জানিয়েছেন, দেশের সিনেমায় জয়া কখনো ১৫ আবার কখনো ২০ লাখ টাকা পান। ক্ষেত্রবিশেষে এই অঙ্ক কমবেশি হয়।
অপু বিশ্বাস মূলত শাকিব খানের নায়িকা। তবে হিট সিনেমার সুবাদে এক সময় আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক হাঁকিয়েছেন তিনি। অপু বিশ্বাস একটা সময় ১৫–২০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক হাঁকিয়েছেন। এ নায়িকার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির নাম ‘ছায়াবৃক্ষ’, যাতে অপুর পারিশ্রমিক ছিল চার–ছয় লাখ টাকা।
দেড় দশক আগে এম বি মানিক পরিচালিত ‘বলো না তুমি আমার’ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তমা। প্রথম ছবিতে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিন লাখ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তমা মির্জা এখন ছবিপ্রতি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ১০–১৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ একটি চলচ্চিত্রে ১২ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে ছবিভেদে টাকার অঙ্ক ওঠানামা করে।
শাকিব খানের নায়িকা হওয়ার বাইরে আলাদা পরিচিতি গড়েছেন শবনম বুবলী। প্রথম সিনেমা ‘বসগিরি’তে এই নায়িকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে ছবিপ্রতি বুবলী পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ৬–১০ লাখ টাকা।
হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে তার পরিচালনায় একটি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। সে নাটকে অভিনয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। বিভিন্ন সূত্রের খবর, প্রথম ছবিতে মিমের পারিশ্রমিক ছিল ৭-১০ লাখ টাকা। বর্তমানে ছবিপ্রতি ১৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দাবি করেন মিম। তবে ক্ষেত্রবিশেষে তা ওঠানামাও করে।
শুরুতে নুসরাত ফারিয়ার ছবিপ্রতি পারিশ্রমিক ছিল ৫–৭ লাখ টাকা। এখন কোনো ছবিতে তিনি ১০ লাখ, কোনোটিতে ১২ লাখ, আবার কোনোটিতে ১৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক চেয়ে থাকেন। মাঝখানে ১০ লাখ টাকার কমেও ছবিতে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন এই নায়িকা।
পূজা চেরী জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে তৈরি ‘নূরজাহান’ ছবিতে কাজ করার সময় প্রতিষ্ঠানটি থেকে মাসিক বেতন পেতেন পূজা। প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র জানিয়েছে, বেতনের হিসাবে এই নায়িকার পারিশ্রমিক ছিল তিন লাখের মতো। পূজা এখন ছবিপ্রতি ১০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দাবি করেন। তবে গল্প কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো হলে আট লাখ টাকায়ও কাজ করেন।
এ দিকে নায়িকা হিসেবে দীঘি তার প্রথম দিককার ছবি ‘তুমি আছো তুমি নেই’–তে পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন তিন লাখ টাকা। সামনের ঈদুল ফিতরে তাঁকে ‘জংলি’ সিনেমায় দেখা যাবে। জানা গেছে, এ ছবিতে দীঘির পারিশ্রমিক ছিল ৪–৫ লাখের মধ্যে। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ওটিটিতেও নিয়মিত কাজ করছেন।