পরিচালক সমিতির পাঁচ পদক্ষেপ
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে দুই বছরমেয়াদি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নতুন কমিটি। ৫ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এই কমিটি কার্যক্রম শুরু করবে। নতুন কমিটির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও মহাসচিব বদিউল আলম খোকন চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন পাঁচটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন, সেগুলো জানালেন প্রথম আলোকে। পদক্ষেপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
১. আমাদের সিনেমা ডিজিটাল হয়েছে, কিন্তু বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহ ডিজিটালাইজড করা হয়নি। দেশের বেশির ভাগ প্রেক্ষাগৃহের মেশিন, পর্দা, সাউন্ড সিস্টেম ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেব।
২. শিল্পীদের নিয়মনীতি মানার ব্যাপারে উদ্যোগ নেব। একটা সিনেমার শুটিং সেটে শিল্পী কখন আসবেন, কখন যাবেন, কত দিনে শুটিং শেষ করবেন—সবকিছুই লিখিত চুক্তির মাধ্যমে করার পদ্ধতি চালু করব। শিল্পীদের সঙ্গে পরিচালক ও প্রযোজকের যত ধরনের শর্ত থাকবে, তাও লিখিত আকারে উল্লেখ থাকতে হবে—পরবর্তী সময়ে কোনো পক্ষ চুক্তি ভঙ্গ করলে যাতে আইনি পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হয়।
৩. দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ কেন্দ্রীয় সার্ভার নিয়ন্ত্রণকক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। এতে ভিডিও পাইরেসি বন্ধ হবে। প্রেক্ষাগৃহগুলোতে ই-টিকিটিংব্যবস্থা চালুর ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেব।
৪. সিনেমার শুটিং নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হলেও কোনো পরিচালক যদি ভালো কোনো দিনক্ষণ দেখে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন, অনেক ক্ষেত্রে সেটা পেরে ওঠেন না। আমাদের দেশে একটা গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব প্রজেকশন সিস্টেমের কারণে ভালো দিনক্ষণগুলো নিজেদের জন্য আটকে রাখে। সেই সিন্ডিকেশন ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করব।
৫. সাফটা চুক্তির মাধ্যমে এখন যে ভারতীয় সিনেমা আমাদের দেশে প্রদর্শিত হচ্ছে, তা আপাতত বন্ধ করার ব্যাপারে সোচ্চার হব। আমাদের দেশের কোনো চ্যানেল ভারতে দেখা যায় না, সেখানে যেন আমাদের চ্যানেল দেখা যায়, তা নিয়ে কাজ করব। এতে ভারতের বাজারে আমাদের দেশের শিল্পীদের একটা পরিচিতি ও চাহিদা তৈরি হবে। বর্তমানে যে চুক্তি আছে, এই বিনিময় চুক্তি আমরা মানি না, মানব না। একইভাবে যৌথ প্রযোজনার নিয়মনীতির ব্যাপারে সবকিছুতে ফিফটি-ফিফটি হতে হবে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশে শুটিং হবে, সে দেশের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হবে। নতুন সুপারিশে তাও আমরা রাখছি।