Select Page

প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল প্রযোজকরা

প্রণোদনা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল প্রযোজকরা

অনেকে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, ২০২০ সাল হবে চলচ্চিত্রের পরিবর্তনের বছর। কিন্তু সে আশায় গুঁড়ে বালি। করোনার কারণে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত এ অঙ্গনের মানুষেরা। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন তারা। তাই দেশের অন্যান্য অঙ্গনের মত তারাও প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা চান।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে আর্থিক প্রণোদনা চেয়ে। সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু সারাবাংলা ডটনেটকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

খসরু বলেন, ‘চিঠিটি শুধু আমাদের তরফ থেকে একা দিয়েছি বললে ভুল হবে এটি চলচ্চিত্র পরিবার অর্থাৎ এখানকার সকল সংগঠনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার (৬ মে) এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

‘আমরা এখনও জানি না সরকার কবে লকডাউন খুলবে। খুললেও সিনেমা হল মালিকরা তাদের হল খুলবেন কিনা, তা জানি না। কিংবা দর্শক যে আসবেন তারও কোন গ্যারান্টি নেই। আসলে কী পরিমাণ আসবেন? ফলে প্রযোজকরা তথা আমাদের ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ হলো। এ ইন্ডাস্ট্রির কয়েক হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়লো।’

খসরু জানান, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হলেও কী পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দরকার তার কোন অংক উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা তা ঠিক করিনি।’

অবশ্য এর আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে খসরু বলেন, করোনার কারণে ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকার মতো।

গত ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল সিনেমা হল বন্ধ এবং একই সাথে কোন ছবির শুটিংও হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের কারণে চলমান লকডাউন তুলে নেওয়ার এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য আপনাদের পরিকল্পনা কী?

‘আমরা এ মুহুর্তে যে সকল ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিলো তাদেরকে সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ যাতে দেওয়া হয় সে চেষ্টা করবো। একই সাথে সরকারের কাছে ৫০টি ছবি প্রযোজনা করার দাবি থাকবে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচানোর স্বার্থে’— বললেন খসরু।

তবে এখনও ক্ষতিগ্রস্থ প্রযোজকের কোন তালিকা করা হয়নি এবং প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ৫০টি ছবি প্রযোজনার ব্যাপারে কোন কথা বলা হয়নি বলে জানালেন খসরু। তিনি জানান, খুব শিগগিরই তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ নিয়ে বসবেন।

এ দিকে করোনার কারণে ঈদুল ফিতরের জন্য নির্ধারিত থাকা সিনেমাগুলো মুক্তি পাচ্ছে না। এ ছাড়া প্রযোজকরা হল খুলের পক্ষে থাকলেও মালিকরা এর বিরুদ্ধে।


Leave a reply