প্রথম সিনেমার জন্য সানড্যান্স উৎসবে ফেলো নুহাশ
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের ফিচার ফিল্ম বিভাগে একটি প্রোগ্রামে জায়গা করে নিয়েছেন নুহাশ হুমায়ূন। খবরটি তিনিই জানান। অবশ্য এর আগেই সানড্যান্স থেকে ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রোগ্রামের আওতায় সহযোগিতা পান বাংলাদেশের আরেক নির্মাতা ফরিদ আহমেদ।
সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকায়। এর আয়োজন করে সানড্যান্স ইনস্টিটিউট। এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় স্বাধীন চলচ্চিত্রের উৎসব।
এই আয়োজনের ফিচার ফিল্ম প্রোগ্রামে একমাত্র ও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এসেছে নুহাশের নাম। এ প্রোগ্রামে নুহাশের নাম এসেছে, কারণ তার প্রথম ফিচার ফিল্ম মুভিং বাংলাদেশ সিনেমাটি পেয়েছে স্লোয়ান ডেভেলপমেন্ট ফেলোশিপ।
বৃহস্পতিবার নুহাশ তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে লেখেন, ‘গর্ব করে বলতে পারি আমি সানড্যান্স ফিচার ফিল্ম প্রোগ্রামের প্রথম বাংলাদেশি ফেলো।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সানড্যান্স স্ক্রিন রাইটিং ইনটেনসিভের জন্য মুভিং বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছে। আমার আরও ভালো লাগছে, কারণ মুক্তিপ্রতীক্ষিত সিনেমা দ্য স্পেকটাকুলার নাউ-এর পরিচালক ও আমার সব সময়ের পছন্দের জেমস পনসোল্ডের পরামর্শ নিতে পারব। এ ছাড়া পুরো সময় লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকতে হবে।’
মুভিং বাংলাদেশ কয়েক তরুণের নতুন কিছু তৈরি করার গল্প। দেশে পাঠাও অ্যাপে যাত্রা শুরুর গল্প নিয়ে সিনেমাটি। কীভাবে এক দল তরুণ ঢাকার যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেরাই একটি উপায় বের করে ফেলল- সে গল্পই দেখানো হবে সিনেমায়।
সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানা যায়, তাইপে ফিল্ম কমিশনের কাছ থকে নুহাশের সিনেমাটি পাচ্ছে ৮৯ হাজার ৮০০ ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৭৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশের কোনো নির্মাতা এর আগে তাইওয়ান সরকারের এই ফান্ড পাননি।
‘মুভিং বাংলাদেশ’ সিনেমার প্রধান চরিত্রের জন্য অভিনয়শিল্পী খুঁজতে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন পরিচালক। সেখানে বলা হয়েছিল, ‘আবেদনের জন্য অভিনয়ের অভিজ্ঞতা দরকার নেই। সত্যি বলতে, অভিনয়শিল্পী নন এমন নারী-পুরুষ প্রয়োজন।’
এর আগে গত নভম্বরে জানা যায়, সানড্যান্স ইন্সটিটিউট ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রোগ্রামের আওতায় সহযোগিতা পাচ্ছে ফরিদ আহমদের ‘ওয়েটিং ফর উইন্টার’।
ওই বছর নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা ২০টি ছবিকে মোট ৬ লাখ ডলার দিচ্ছে সানড্যান্স। এর মধ্যে ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে ‘ওয়েটিং ফর উইন্টার’। বাংলাদেশ, ফ্রান্স ও জার্মানির প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবির কাহিনি যমুনা তীরবর্তী গৃহহীন এক মায়ের। যিনি আধুনিক দাসত্বের শিকড় ছাড়িয়ে বেরোনোর সংগ্রাম করছেন।