Select Page

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান খোকন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান খোকন

51283_e1

‘মটর নিউরো ডিজিস’ (এএলএস)-এ আক্রান্ত বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বর্তমান সভাপতি শহীদুল ইসলাম খোকন। তিনি যে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত তা থেকে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সৌভাগ্য হয় খুব কম মানুষেরই। এমন দুঃসময়ে পরিবারের কথা ভেবে তিনি প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ চান।

দিন দিন তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কতদিন বাঁচবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই অচিরেই স্ত্রী জয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। আমেরিকার ‘বেলভিউ হসপিটাল’-এর ডাক্তাররা এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই বলে তাকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন। তিনি এখন রাজধানীর উত্তরাস্থ বাসায় অবস্থান করছেন। খোকন মুখ দিয়ে অনেক কিছুই বলতে চান। কিন্তু পারেন না। তাই নিজ হাতে কলম নিয়ে কাগজে লিখে তার আবেগ, অনুভূতি আর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি ক’জন শুভাকাঙ্ক্ষী তাকে দেখতে গেলে খোকন তাদের সামনে একটি কাগজে লেখেন, ১৯৯০ সালে কুলাউড়ায় তার পরিচালিত ‘বজ্রমুষ্ঠি’ চলচ্চিত্রের শুটিং চলাকালীন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছুটা সময় শুটিং স্পটে বসে তা দেখেন। তিনি প্রায়ই একটি কথা বলেন- ‘সততা বড় শক্তি’। কিন্তু সেই সততা দিয়ে আমার জীবনে কি হলো? আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একবার দেখা করতে চাই প্লিজ। জীবনের কাছে আজ আমি হারতে বসেছি। আমার স্ত্রী, আমার তিন সন্তানকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে রেখে যাচ্ছি। জানি না আল্লাহ ভাগ্যে কী রেখেছেন।

গত ১০ই সেপ্টেম্বর খোকন উন্নত চিকিৎসার আশায় আমেরিকা গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসার ব্যাপারে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা শাবানা, পরিচালক কবির আনোয়ার, বিএফডিসি’র সাবেক ল্যাব ইনচার্জ মতিন ও বাংলাদেশী এক দম্পতি সেতু-হ্যাপি। তাদের ঋণ কোনদিনই পরিশোধ করার মতো নয় বলে জানান খোকনের সহধর্মিণী জয়া।

অক্টোবরের শেষপ্রান্তে দেশে ফেরার পর গত চার-পাঁচ দিন আগে স্কয়ার হসপিটালে ডা. আরেফিনের তত্ত্বাবধানে শহীদুল ইসলাম খোকনের পেটে অপারেশনের মাধ্যমে টিউব স্থাপন করা হয়। এ টিউব দিয়েই তিন ঘণ্টা পরপর তাকে খাওয়ানো হচ্ছে। চলচ্চিত্রের প্রতি অদম্য ভালবাসা থেকেই আজ থেকে ১৫ বছর আগে ‘পালাবি কোথায়’ চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় অর্থসঙ্কটের কারণে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের নিজ বাড়ি বিক্রি করে দেন খোকন।

তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘রক্তের বন্দি’। অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘ঘাতক’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘লাল সবুজ’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘ভণ্ড’, ‘লড়াকু’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘বিপ্লব’, ‘অকর্মা’, ‘সতর্ক শয়তান’, ‘বিষদাঁত’, ‘টপ রংবাজ’, উত্থান পতন’ ইত্যাদি।

সূত্র : মানবজমিন


Leave a reply