প্রসঙ্গ বছরের সবচেয়ে হিট সিনেমা!
বাংলাদেশে কোন স্বীকৃত বক্সঅফিস নেই। তাই সিনেমার আয় সুনির্দিষ্ট ডাটা পাওয়া যায় না। এজন্য যে কেউ ইচ্ছেমতো বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করতে পারে।
যেমন; প্রচার করা হচ্ছে বছরের সবচেয়ে হিট সিনেমা গলুই! যেহেতু ডাটা নেই সেহেতু যারা প্রচার করছে তাদের কথা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে কিছু ব্যাপার খটকা লাগে। সাধারণত একটি সিনেমার হিট-ফ্লপ বিবেচনা করা হয় বাজেটের তুলনায় কতগুণ আয় করেছে তার ভিত্তিতে।
প্রথমত, ‘গলুই‘-এ যেহেতু ৪০ লাখ পারিশ্রমিক নেওয়া সুপারস্টার শাকিব খান আছেন, স্বভাবতই বাজেট বেশি। তার উপর মুভির সেট দেখে তাই মনে হয়। ফেইসবুক মারফত জানতে পারলাম বাজেট সাড়ে ৩ কোটি (ভুল হলে কেউ জানাবেন)। তো রোজার ইদে ২৮টি হলে গলুই মুক্তি পায়। অন্যদিকে এর শাকিবের ‘বিদ্রোহী’ ও অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ দুটো সিনেমাই দুই ইদে ১০০+ হলে মুক্তি পেয়েছে। সুতরাং অ্যাডভান্স বুকিং কালেকশন এ দুটি সিনেমার ক্ষেত্রে ‘গলুই’ থেকে অনেক বেশি।
বাস্তবে প্রথম সপ্তাহের হল সংখ্যায় দিয়ে সবসময় সিনেমার আয় বোঝা মুশকিল। কারণ ভাল না চললে প্রেক্ষাগৃহ কমতে থাকে।
এবার দেখে নেয়া যাক পরবর্তী সপ্তাহগুলোর হিসেবে। সাধারণত ঈদ যেহেতু সপ্তাহের মাঝামাঝি হয় বেশিরভাগ সময়; তাই ঈদের সিনেমার প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের হল সংখ্যা প্রায় সমানই থাকে। তৃতীয় সপ্তাহে ‘গলুই’ চলেছিল ৩২টি হলে। অন্যদিকে মাত্র ৮০ লাখ বাজেটের (প্রযোজক এর ভাষ্যমতে), ২ লাখ পারিশ্রমিকের নায়কের সিনেমা ‘পরাণ’ প্রথম সপ্তাহে ১১টি হলে চললেও তৃতীয় সপ্তাহে চলেছে ৫৫ টি প্রেক্ষাগৃহে, যেখানে সিনেপ্লেক্সে ছিল প্রতিদিন ১৩টি করে শো।
চতুর্থ সপ্তাহে ‘পরাণ’ চলে ৬০টি প্রেক্ষাগৃহে যেখানে গলুইয়ের চতুর্থ সপ্তাহের হল সংখ্যা ছিল ১৯টি। চতুর্থ সপ্তাহে ‘গলুই’-এর স্টার সিনেপ্লেক্সে শো সংখ্যা ছিল ৪টি যেখানে ‘পরাণ’-এর ছিল ১৬টি। এই তথ্যগুলো দুই চলচ্চিত্রের পরিচালকের ভেরিফাইড ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে নেয়া। কেউ চাইলে দুই পরিচালকের প্রোফাইল ঘেটে দেখতে পারেন।