প্রিভিউ ও স্টোরি প্রেডিকশন: ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ নিয়মিত দর্শক বুঝবে তো?
“ব্যাখ্যাতীত যে কোনো অনুভূতিবোধ মানুষকে সব থেকে তীব্রভাবে আকৃষ্ট করে, আবেগপ্রবণ এবং স্মৃতিকাতর করে! আপনি চোখ বন্ধ করে একটা দম নিন এবং কোনো একটি অনুভূতিকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করুন, এক মুহূর্তের জন্য সেই অনুভূতির যে ছবি আপনার মানসপটে দৃশ্যমান হবে সেটি ফ্রেমে বন্দী করলে ব্যাখ্যাতীত কিছু একটা দাঁড়াবে, তেমনই ব্যাখ্যাতীত অনুভূতির ছবি নিয়ে পোস্টারটি করা হয়েছে। এই ছবিটি কবিতার মতো- একেক রকম মানসিক অবস্থানের দর্শক একেক রকম দৃষ্টিকোণ থেকে ছবিটির ব্যাখ্যা দাঁড় করাবেন এমনটাই বিশ্বাস।”
কথাগুলো বলেছিলেন বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার অন্যতম সেরা নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, সময়ের হিসাবে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর অনলাইনে মুক্তি দেওয়া হয় তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এর ফার্স্ট লুক পোস্টার।
পোস্টারটি ছিল বেশ অদ্ভুতুড়ে, গতানুগতিক বাংলা চলচ্চিত্রের পোস্টারের থেকে একদম আলাদা। পোস্টারে দেখা যাচ্ছিল আকাশে ঘন কালো মেঘ। সূর্যের আলো মেঘের আড়াল থেকে উঁকি দিচ্ছে। তারই নিচে এক পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ। আর তার পাশে মাটিতে পড়ে আছে বড় আকৃতির খোলা একটি ট্রলি ব্যাগ। এতে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছেন শার্লিন ফারজানা। তার চোখেমুখে লেগে আছে গভীর বেদনার ছাপ, দৃষ্টি পড়ে আছে অজানা কোথাও। এ রকম অদ্ভুত পোস্টারের পর বিগত দুই বছর ধরে বহু বাংলা সিনেমাপ্রেমী ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
এরপর কেটে যায় প্রায় এক বছর, গা ঢাকা দেয় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ টিম। ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি মুক্তি পায় ছবির টিজার। নড়েচড়ে বসে সচেতন দর্শকেরা, এক অন্য ঘরানার চলচ্চিত্র আসতে চলেছে তাহলে। পরের মাসে (ফেব্রুয়ারি) মুক্তি পায় ট্রেলার।
৩ মিনিট দীর্ঘ ট্রেলারে গল্পের কোনো কিছুই দর্শক ধরতে পারেননি, বলা যায় সবকিছু মাথার ওপর দিয়ে চলে গেছে। কিন্তু আকর্ষণ করেছে এর কাব্যিক সংলাপ, সাবলীল অভিনয়, মনে প্রশান্তি আনার মতো ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। সেই সঙ্গে জানা যায় এ ছবির মুক্তির তারিখ, ঠিক করা হয় আসছে মার্চের ১৩ তারিখ মুক্তি পাবে চলচ্চিত্রটি। এরই মাঝে আঘাত হানে করোনা মহামারি, ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ টিম বাধ্য হলো ছবি মুক্তি বাতিল করতে। এর কয়েক দিন পর সারা দেশব্যাপী সিনেমা হল দীর্ঘসময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। আটকে গেলো মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের প্রথম স্বপ্ন।
তবে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল থেমে থাকেননি, চেষ্টা করেছেন অনলাইনে কোনো স্ট্রিমিং সাইটে রিলিজ দেওয়ার। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৭ মাস পর যখন পুনরায় সিনেমা হল চালু হলো তখন তিনি ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত সিলভার স্ক্রিন মিনিপ্লেক্সে ছবিটি রিলিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে আগামী ২৩ অক্টোবর সীমিত পরিসরে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্রটি।
নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সিনেমা বানানোর ইচ্ছা তার মাথায় এসেছিল বহু আগেই, কৈশোর বয়সে। তবে লেখাপড়া শেষ করার পর নাটক লেখা দিয়েই যাত্রা করেন শোবিজে। যখন দেখেছেন সবাই তাকে নাট্যকার বানিয়ে দিচ্ছে, তখন তিনি নিজের নির্মাতা পরিচয়কে প্রকাশ করলেন ’ছায়াফেরী’ নামের নাটক দিয়ে। ‘যে জীবন ফড়িংয়ের’, ‘রোদ মেখ সূর্যমুখী’, ‘অর্থহীন মানিপ্ল্যান্ট’, ‘কাগজ কার্বনে সম্মোহন’, ‘কালো বরফ জমাট অন্ধকার’, ‘ধুলোর মানুষ মানুষের ঘ্রাণ’, ‘অক্ষয় কোম্পানির জুতো’, ‘দাস কেবিন’ নামের টেলিভিশন প্রোডাকশনগুলো নির্মাণ করে নিজের রুচির পরিচয় দিয়েছেন এ নির্মাতা।
তার বিরুদ্ধে দর্শকদের দুইটি মধুর অভিযোগ শোনা যায়। প্রথমত, তার নির্মাণ বেশির ভাগ দর্শকের মাথার ওপর দিয়ে যায়, খুবই গভীর চিন্তাধারার কাজ করেন তিনি, আমাদের ছোটপর্দায় যা একপ্রকার হয় না বললেই চলে। দ্বিতীয়ত, তিনি বেশ কিছু সম্ভাবনাময় সিনেমার গল্প নাটক বানিয়ে নষ্ট করেছেন। কারণ, সিনেমায় তুলনায় নাটক তৈরিতে বাজেট কম থাকে, নির্মাণ সময়ও কম পাওয়া যায়। দীর্ঘদিন ছোটপর্দায় নাটক টেলিছবি নির্মাণের পাশাপাশি নিয়মিত বিজ্ঞাপনচিত্রও বানান এই নির্মাতা। তার উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘পন্ডস এজ মিরাকেল মাই সেকেন্ড হানিমুন’, ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার’, ‘দৈনিক সমকাল’, ‘নুরজাহান’, ‘পেপসোডেন্ট’।
দর্শকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে দীর্ঘদিন প্রি প্রডাকশনের কাজ করার পর ২০১৭ সালে শুরু করেন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এর কাজ। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ, পরিচালনা, শিল্প নির্দেশনা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালনা এবং পোস্টার ডিজাইন… এ সবগুলোই মাসুদ হাসান উজ্জ্বল নিজে করেছেন। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন শার্লিন ফারজানা ও ইমতিয়াজ বর্ষণ।
আইন নিয়ে পড়াশোনা করার পর ২০০৮ সালে “ইউ গট দ্য লুক” সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে মিডিয়ায় অভিষেক হয় শার্লিন ফারজানার। নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে সিনেমায় নাম লেখান। ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্র রূপদানের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয়। এরপর দীর্ঘদিন ছোটপর্দায় কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন পর মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পরিচালনায় ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হয় শার্লিনের। তিনি মোট দুটি চরিত্রের জন্য অডিশনে অংশগ্রহণ করেন, যাচাই-বাছাই শেষে ‘নীরা’ চরিত্রের জন্য তাকে সিলেক্ট করা হয়। এ চরিত্রটি অনেকখানি মনস্তাত্ত্বিকনির্ভর হওয়ায় ছবির কাজে মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রায় দেড় বছর ছোটপর্দার কাজ থেকে দূরে থাকেন। পাশাপাশি এ ছবিতে কাজের পর থেকেই শার্লিন ফারজানার বড়পর্দা যাত্রার দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে। বেশ কিছু ছবির জন্য চূড়ান্ত হন; যার মধ্যে গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’ উল্লেখযোগ্য।
অন্যদিকে ইমতিয়াজ বর্ষণকে কিছুটা ‘দুর্ভাগ্যবান’ বলা যায়। তিনি এর আগে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। কাজ করছেন মঞ্চেও। ছিলেন তির্যক নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য। এখন অতিথি শিল্পী হয়ে নাটকের বিভিন্ন দলের সঙ্গে কাজ করেন। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ তাঁর অভিনীত চতুর্থ ছবি। এর আগে তিনি ওয়াহিদ তারেকের ‘আলগা নোঙর’, এন রাশেদ চৌধুরীর ‘চন্দ্রাবতী কথা’ আর অঞ্জন সরকারের ‘ক্ষত’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। ভাগ্য এতটাই খারাপ যে এর কোনোটিই এখন পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। সে হিসেবে চতুর্থ কাজ হলেও ’অয়ন’ চরিত্রটির মাধ্যমে এবারই প্রথমবার তাকে বড়পর্দায় দেখা যাবে।
‘ঢাকা মেট্রো’ খ্যাত অভিনেতা নেভিল ফেরদৌস হাসানকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে, তিনিও আছেন বড়পর্দায় অভিষেকের অপেক্ষায়। ভারতের হইচই অরিজিনালসের নির্মিত এবং অমিতাভ রেজা পরিচালিত ‘ঢাকা মেট্রো’ ওয়েব সিরিজটি পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি আমাদের দেশেও জনপ্রিয় ও প্রশংসিত হয়েছিল। তিনি ছাড়াও ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে ইলোরা গওহর, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. এনামুল হক, লামিয়া আহমেদ, সৈকত সিদ্দিক, শোয়েব মুনীর, খায়রুল বাশার, ফারিহা শামস সেওতি, শাফায়াত মাহমুদ ফুয়াদসহ অনেকে।
ছবিতে সিনেমাটোগ্রাফির কাজ করেছেন হৃদয় সরকার। সম্পাদনার কাজ করেছেন ইসমাইল হোসেন। রেড অক্টোবর ফিল্মসের ব্যানারে ছবিটি নির্মিত হয়েছে, কাকতালীয়ভাবে নামের মত ছবিটিও অক্টোবরে মুক্তি পাচ্ছে।
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’-এর প্রথমবারের মতো প্লেব্যাক করলেন অর্থহীন ব্যান্ডের ভোকাল বেজবাবা সুমন। সুমন টিংকুর লেখা এবং মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের সংগীত আয়োজন করা ‘প্রথম’ গানটি ইতিমধ্যেই সব মিলিয়ে ইউটিউবে প্রায় ১১ লক্ষ ভিউ অতিক্রম করেছে। ইউটিউবে রিলিজ হওয়া ছবির গানগুলো হলো-
১.
গান: প্রথম
কণ্ঠ: বেজবাবা সুমন (অর্থহীন)
গীতিকার: সুমন টিংকু
সুরকার: ইমতিয়াজ বর্ষণ
সংগীত: মাসুদ হাসান উজ্জ্বল
২.
গান: যেখানে
কণ্ঠ: সোমলতা আচার্য চৌধুরী (ভারত)
গীতিকার, সুরকার ও সংগীত: মাসুদ হাসান উজ্জ্বল
৩.
গান: চিবুক
কণ্ঠ: সিধু রায় (ভারত, ক্যাকটাস ব্যান্ড)
গীতিকার, সুরকার, সংগীত: মাসুদ হাসান উজ্জ্বল
৪.
গান: এ শহর
কণ্ঠ, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত: সৌরিন
এ ছবির মিউজিক রাইটস কিনেছে অনুপম মুভিজ। ইতিমধ্যে তাদের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে চারটি গান রিলিজ করা হয়েছে, এর পাশাপাশি রেড অক্টোবরের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও গানগুলো শোনা যাচ্ছে।
ছবিটি প্রাথমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স এবং চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিন মিনিপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে। পরিচালকের ভাষ্যমতে তিনি চেয়েছিলেন সারাদেশব্যপী চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে, কিন্তু বর্তমানে আমাদের চলচ্চিত্র ডিস্ট্রিবিউশনে চলতে থাকা বুকিং এজেন্ট ভোগান্তির মধ্যে প্রবেশ করতে চান না।
ছবির ট্রেলার দেখে গল্প একদমই অনুমান করা যায়নি। নির্মাতার ভাষ্যমতে তিনি এটাই চেয়েছেন। দর্শক যেন ব্যাপক কৌতূহল নিয়ে সিনেমা হলমুখী হয় সে জন্যেই এমন পন্থা। ব্যক্তিগতভাবে প্রথম দর্শনে আমিও ছবির গল্প কী হতে পারে তা আন্দাজ করতে পারিনি। কারণ একই সঙ্গে লাভ স্টোরি দেখানো হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি মাইক্রোবায়োলজি সংক্রান্ত গবেষণা চলছে… এটি ছিল যেকোনো বাংলা ছবির দর্শকের জন্য নতুন কিছু।
তবে বেশ কয়েকবার ট্রেলার এবং এ ছবি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ইন্টারভিউ দেখার পর আমি যা আন্দাজ করতে পারলাম তা শেয়ার করছি। আমার প্রেডিকশন সঠিক হতে পারে আবার ভুলও হতে পারে, তাই ছবি মুক্তির পর কোনোরকম মিল পাওয়া গেলে সেটাকে কাকতালীয় ঘটনা হিসেবেই গ্রহণ করা উচিত। আর যারা শতভাগ স্পয়লারমুক্ত থাকতে চান তারা পরবর্তী অংশটুকু এড়িয়ে যেতে পারেন।
নীরা মাইক্রোবায়োলজির শিক্ষার্থী, মানবদেহের কোনো একটি নির্দিষ্ট অংশের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন, হতে পারে সেটা ডিএনএ কিংবা আরবিসি। নিজের কাজের পাশাপাশি তিনি সর্বদা এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যান। কাজের খাতিরে অয়নের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বভাবের ব্যক্তি অয়নের সান্নিধ্য পেয়ে তিনি মানসিকভাবে ভালো অনুভব করতে শুরু করেন। তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। অয়ন মূলত সেসব মানুষদের নিয়ে কাজ করেন যারা মুমূর্ষু, জরুরি অবস্থায় রক্তসহ শরীরের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সরবরাহ করে দেওয়া তার কাজ।
এমন অবস্থায় একদা অয়ন কোন এক মুমূর্ষু রোগীর জন্য এমন কিছু করেন যার ফলে তার নিজের জীবন বিপন্ন হয়ে যায়। অয়নকে বাঁচাতে নীরা তার সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেন। শেষমেশ কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন। অর্ধেক নিঃশ্বাস নিজের জন্য নেন, বাকি অর্ধেক রেখে দেন অয়নের জন্য।
যদিও প্রেডিকশন শুনে পাগলামি মনে হতেই পারে। এখন ছবির নাম যেহেতু ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’, বাংলা বাগধারা অনুসারে যার মানে হলো পাগলামি, সে ক্ষেত্রে গল্পের ধরনটা এ রকম হতে পারে, এটা আমার ধারণা।
সুতরাং প্রত্যাশা করছি আগামী শুক্রবার প্রেক্ষাগৃহে ইউনিক কিছু দেখতে পাবো। প্রায় সাত মাস পর সিনেমা হলমুখী হচ্ছি, একটা আলাদা এক্সাইটমেন্ট তো রয়েছেই। ‘কাঁচের যুগের ছবি নয়’ এই স্লোগান নিয়ে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ টিম ছবির প্রমোশন শুরু করেছিল। তবে এটা কোন যুগের ছবি, জানতে হলে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।