ববিতা চাননি বলেই মাঝপথে থেমে যায় ‘ববিতা’
১৯৭৩ সালে নির্মাণ হচ্ছিল ‘ববিতা’ নামের চলচ্চিত্রটি। নবরাগ কথাচিত্রের ব্যানারে পরিচালক ও সংগীতকার নিজাম-উল হক ছিলেন পরিচালক। নায়ক জাফর ইকবাল। ছবিটির বিজ্ঞাপনও তখনকার পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। তবে ‘ববিতা’ চলচ্চিত্রটি আর সম্পূর্ণ হয়নি। যদি ছবিটি নির্মিত হতো তাহলে হয়তো আমাদের দেশের কোনো অভিনেত্রীর নামে এটিই হতে পারত প্রথম চলচ্চিত্র।
পরিচালক নিজাম-উল হক আরেকটি চলচ্চিত্র ‘যৌতুক’ নিয়ে ব্যস্ত হওয়ায় এটি অসম্পূর্ণ থাকার কারণ হতে পারে বলে অনেকে মন্তব্য করলেও অভিনেত্রী ববিতার কাছ থেকে এটি নির্মাণ না হওয়ার প্রকৃত কারণ জানা গেল।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অতীত স্মৃতি রোমন্থন করে কিংবদন্তি ববিতা বলেন, হ্যাঁ আমার নামে ছবিটি নির্মাণ করছিলেন চলচ্চিত্রকার নিজাম-উল হক। তিনি মানুষ এবং নির্মাতা হিসেবে খুবই ভালো ছিলেন। তিনি ছবিটির প্রযোজকও ছিলেন। তবে প্রথমে তিনি ছবিটি যে আমারই নামে নির্মাণ করছেন তা আমাকে বলেননি। ছবিটির শুটিং অনেকদূর হয়েছিল। গানও রেকর্ডিং করা হয়ে গিয়েছিল। তিনি আমার নামে ছবিটি নির্মাণ করতে যাওয়ার কারণ ছিল আমি তখন সুপারস্টার। দর্শকের মাঝে আমার প্রচন্ড ক্রেজ। তাই নির্মাতার হয়তো ধারণা ছিল আমার নামে ছবিটি নির্মাণ করলে বাণিজ্যিকভাবে তিনি লাভবান হবেন।
কিন্তু কেন হয়নি? এ বিষয়ে নায়িকার মন্তব্য, পরে যখন জানতে পারলাম ছবিটি তিনি ‘ববিতা’ নামে নির্মাণ করছেন তখনই আপত্তি জানিয়ে তাকে বললাম, না আমার নাম দিয়ে কোনো ছবি নির্মাণ করা যাবে না এবং এতে আমি অভিনয়ও করব না। আমার আপত্তির কারণেই তিনি আসলে ছবিটি আর সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আমার আশঙ্কা ছিল আমাকে এই ছবিতে না জানি কীভাবে উপস্থাপন করা হয়, যদি ঠিকভাবে উপস্থাপিত না হই তাহলে তা হবে আমার ক্যারিয়ারের জন্য নেতিবাচক।
অন্য ছবি ‘যৌতুক’ সম্পর্কে, অবশ্য তাঁর ‘যৌতুক’ নামে একটি ছবিতে আমি অভিনয় করেছিলাম। তবে সেই ছবিটির গল্প আমাকে ঘিরে ছিল না।