বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের দর্শন ও ‘জোনাকীর আলো’
প্রতিদিন বড়দের কোন কাজটি বাড়ীর ছোট শিশুটির শিশুমনে কি প্রভাব ফেলছে তা ভেবে দেখি না কেউ যদিও শিশু ছিলাম আমরাও। সেই বয়সে কি কি অভিযোগ ছিল আমাদের! এই বয়সে এই শিশুদের সেই অভিযোগগুলো কি গুরুত্ব দেই খুব একটা? না। কেন? তারা কাচা আমরা পাকা বলে?
শিল্পীর দর্শন যেখানে শেষ সেখান থেকে কিছুটা হলেও ভাবনা শুরু হয়তো করা যায়, কিন্তু একটা বিষয় এমন স্পর্শকাতর সহজে আলোচনাও করা যায় না। এই জায়গায় সিনেমার পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু‘র চিন্তাধারাটা খুব ভাল লাগলো কিন্তু সিনেমাটি বেশি মাত্রায় বানিজ্যিক করাটা বাজে প্রচেষ্ঠা। সিনেমার মাঝখানে দীর্ঘ ৫-৬মিনিটের ৫/৬টা গান খুব একটা সহনীয় হয়ে ওঠে না। সে হিসেবে গানগুলোকে সংক্ষিপ্ত করে দেখালে বা আবহে গানটা থাকলে রেশটা বেশি রয়ে যায় কিংবা বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু সিনেমায় ঠিক উল্টোটা এমনকি অনেকসময় এমনকিছু অপ্রাসঙ্গিক গানের আধিক্য শুধুই সিনেমাকে পূর্ণদৈর্ঘ্য করার অপচেষ্টা। জোনাকীর আলোতে ততোটা অপ্রাসঙ্গিকতা না থাকলেও এসবের পরিবর্তে কাহিনীর মধ্য থেকেই আরো কিছু ঘটনার সন্নিবেশনে সমৃদ্ধ করা যেত। কিছু অংশ ঠিক স্থির না হলেও ছিল একেবারেই গতিহীন।
সিনেমার আবহসংগীত খুবই ভাল হয়েছে। আর ভাল যা আছে, মাটি আছে, সবুজ আছে, জীবন আছে। রেড নামধারী ডিজিটাল ক্যামেরায় শ্যুট না করার জন্যই সবচেয়ে বেশি বাহবা ইমপ্রেস টেলিফিল্ম কে।
নির্মল বিনোদনের এই ছবিটা নিয়ে খুব একটা প্রচার নেই, সবাইকে দেখার আহবান রইল। ‘জোনাকীর আলো‘ চলছে নগরীর ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’, ‘বলাকা সিনেওয়ার্ল্ড’ ও ‘ব্লক বাস্টার্ড সিনেমাস’ এ।
ছবিটি এক কথায় অসাধারণ ! এটা নিয়ে রিভিউ লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পরীক্ষা থাকার কারনে সেটা হয়নি ।যদি সংক্ষেপে বলতে হয় তাহলে বলব -” গহীনে শব্দ ও জোনাকির আলো দিয়ে পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু নিজেকে একজন জীবন শিল্পী হিসেবে পরিচয় দিলেন ।তার এই সিনেমাতে জীবনের গভীর দর্শন ফুটে উঠেছে “
হুম ছবিটি অসাধারণ। জীবনের গভীর দর্শন ফুটে উঠেছে, অনেক কিছু বলার ছিল ছবিটি নিয়ে ব্যস্ততার কারনে হয়ে ওঠে নি। আর বিএমডিবি তে এখনো লেখার খুব একটা আগ্রহ পায় না কি কারনে জানিনা ব্লগটা জমছেই না।
আস্তে আস্তে জমে উঠবে। আপনি যেভাবে সময় ও শ্রম দিচ্ছেন, সেভাবে আরও কিছু মানুষ দিলেই ব্লগ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। আপনার মত শুভানুধ্যায়ীরা পাশে আছেন বলেই আমরা উৎসাহ পাই। ধন্যবাদ রবিউল রানা 🙂
বিএমডিবি.কম খুবই ভালো একটি উদ্যোগ। এর পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। ছোট্ট একটি দাবি
“নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত ও আলোচিত ছবিগুলোর হল লিস্ট বিএমডিবি তে নিয়মিত আপডেট করা হলে খুবই ভালো হয়। হয়তো একটু কষ্ট হবে কিন্তু সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের জন্য খু্বই উপকার হবে আর সাইটের ভিজিটর বাড়বে নি:সন্দেহে।
ভাল থাকবেন, পাশে আছি।
ছবিটা দেখার ইচ্ছা আছে,কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইমপ্রেস কে নিয়ে, এরা টিভি রিলিজ কেন যে এতো দ্রুত দেয়।আর ছবিটির ঢাকার বাহিরে আশার সম্ভবনা কম দেখছি, তবুও দেখার চেষ্টা থাকবে। নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত ও আলোচিত ছবিগুলোর হল লিস্ট বিএমডিবি তে নিয়মিত আপডেট করা হলে খুবই ভালো হয়। রুবিউল রানার সাথে আমারও অ্যাডমিনের কাছে এটা
প্রস্তাব থাকবে।
টিভি রিলিজটা ইমপ্রেসের একটা খারাপ পলিসি। অবশ্য অনেকেই হলে ছবি দেখা আর বাসায় বসে দেখা টা আমলে নেয় না। আমি কখনোই হলের স্বাদ বাসায় বসে পাই না। এই ছবি ঢাকার বাইরে দেখানোর সম্ভাবনা আসলেই কম দেখছি, সেরকম প্রচারই তো নেই। ভাল থাকবেন