বাংলাদেশি সিনেমায় ভারতীয় লগ্নি কতটা স্বস্তির?
অনেকদিন ধরে ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের (এসভিএফ) একটি সিনেমার কথা শোনা যাচ্ছে। শাকিব খান অভিনীত নামহীন ওই সিনেমা নাকি প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ অফিস প্রযোজনা করছে। এ নিয়ে ছিল ধোয়াশা।
কিছুদিন আগে এ সুখবর (!) সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাসরি জানালো এসভিএফ।
তারপর থেকে প্রশ্ন উঠেছে— একে তো যৌথ প্রযোজনাকে যৌথ ‘প্রতারণা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অনেকে। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রযোজনায় কতটা লাভ হবে?
লাভালাভির বিষয়টি নিশ্চয় অচিরেই সামনে আসবে। বিশেষজ্ঞরা মতও দেবেন।
কিন্তু সোজা চোখে দেখলে যৌথ প্রযোজনার চেয়েও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে এই ‘স্থানীয় প্রযোজনা’।
যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা প্রতিষ্ঠানগুলো মানছে না— এ অভিযোগ পুরনো। তা সত্ত্বেও দেখানোর জন্য হলেও যৌথ প্রযোজনার সিনেমায় অল্প-বিস্তুর দেশি আর্টিস্ট ও অনুল্লেখ্য পরিমাণ টেকনিশিয়ান থাকে। নিয়মের খাতিরে দৃশ্যায়ন ৪-৫ দিনের জন্য হলেও এ দেশে হয়। কিন্তু ‘স্থানীয় প্রযোজনা’য় সেটা কতটা হবে?
টেস্ট কেস হিসেবে শাকিবের এই সিনেমাটিকে সামনে রাখা যায়। সিনেমাটির পুরো শুটিং হয়েছে বিদেশে। বাংলাদেশের অন্য কোনো আর্টিস্ট বা টেকনিশিয়ান এতে কাজ করেছে— এমনটা শোনা যায়নি। ধারণা করা যায়, পুরোটাই ভারতীয় নির্মাণ। শুধু বাংলাদেশের দর্শককে টোপ গেলাতে পাওয়া যাবে শাকিবকে। সে ক্ষেত্রে লগ্নি বাংলাদেশের দেখালেও কয়েকগুণ লাভ বিদেশে চলে যাবে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, নামে যৌথ প্রযোজনা হলেও সিনেমাগুলোতে ভাগাভাগি হয়েছে কোন দেশে কতদিন শুটিং হয়েছে আর কার কলাকুশলী কত ছিল— সে হিসেবে। এর মাধ্যমে অল্পবিস্তুত হলেও টাকা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের হাতে গেছে। এখানকার অনেকে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখেছেন। ‘স্থানীয় প্রযোজনা’য় তার কতটা হবে সংশয় রয়েছে।
এখন দেখার পালা এ বিষয়ে কোনো সরকারি নীতিমালা ঘোষিত হয় কি-না!