Select Page

বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন যারা

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পাঁচ বছরের (২০০৯-১৩) পুরস্কার প্রদান করেছে গত ২৭ ডিসেম্বর। বিকেল ৪টায় এফডিসিতে জমকালো আয়োজনে বিজয়ীদের মধ্যে এসব পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাচসাস সভাপতি আবদুর রহমান জানান, একটি স্বাধীন জুরিবোর্ডের সূক্ষ্ম বিচার-বিশ্লেষণে পাঁচ বছরের পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।

২০০৯ সালের বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে যৌথভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন ফেরদৌস (গঙ্গাযাত্রা) ও চঞ্চল চৌধুরী (মনপুরা)। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাচ্ছেন পপি (গঙ্গাযাত্রা)। সেরা চলচ্চিত্র-সহ সর্বাধিক আটটি শাখায় সেরা হয়েছে ‘প্রিয়তমেষু’। ছবিটির জন্য পুরস্কার পাচ্ছেন মোরশেদুল ইসলাম (পৃথকভাবে পরিচালনা, সংলাপ রচয়িতা), হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনীকার), বরকত উল্যা মারুফ (চিত্রনাট্যকার), আব্দুল্লাহ তুহিন ও শওকত খন্দকার (চিত্র সম্পাদনা), রতন পাল (শব্দগ্রাহক)।

দ্বিতীয় সর্বাধিক ছয়টি পুরস্কার পাচ্ছে ‘গঙ্গাযাত্রা’। এ ছবির জন্য পপি ছাড়া পুরস্কার পাচ্ছেন শহিদুল আলম সাচ্চু (পার্শ্বঅভিনেতা), সিমলা (পার্শ্বঅভিনেত্রী), কনকচাঁপা (সেরা গায়িকা, যেওনা যেওনা শ্যাম), ইমন সাহা (সংগীত পরিচালনা) এবং কলমতর (শিল্প নির্দেশনা)। এ ছাড়া ‘ওপারে আকাশ’ ছবির জন্য গীতিকার সাহাবুদ্দিন মজুমদার (মাগো তোমার মত লয়না কেহ আমায় বুকে টানি) এবং  ‘মনপুরা’র জন্য ফজলুর রহমান বাবু হয়েছেন সেরা গায়ক (নিথুয়া পাথারে)।

২০১০ সালের বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে শাকিব খান (ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না) সেরা অভিনেতা এবং মৌসুমী (গোলাপী এখন বিলাতে) হয়েছেন সেরা অভিনেত্রী। সেরা ছবি-সহ সর্বাধিক আটটি পুরস্কার জিতেছে ‘গহীনে শব্দ’। এর জন্য খালিদ মাহমুদ মিঠু (পরিচালনা), ফরিদুর রেজা সাগর ও খালিদ মাহমুদ মিঠু (কাহিনীকার), মাসুম আজিজ (পার্শ্বঅভিনেতা), শিরোপা পূর্ণা (পার্শ্বঅভিনেত্রী), রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা (সেরা গায়িকা, তুমি আমার জীবনের গহীনে আসো), হাসান আহমেদ (চিত্রগ্রহণ)। শিল্প নির্দেশনা শাখায় মহিউদ্দিন ফারুকের (মনের মানুষ) সঙ্গে ‘গহীনে শব্দ’র জন্য যৌথভাবে পুরস্কার পাচ্ছেন কনকচাঁপা চাকমা।

এ ছাড়া ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ ছবির জন্য জাকির হোসেন রাজু (পৃথকভাবে চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা), তৌহিদ হোসেন চৌধুরী (চিত্র সম্পাদনা), রেজাউল করিম বাদল (শব্দগ্রহণ), গোলাপী এখন বিলেতে’ ছবির জন্য এন্ড্রু কিশোর (সেরা গায়ক, কেন লোকে ভালোবাসা চায়), আলাউদ্দিন আলী (সংগীত পরিচালনা, গোলাপী এখন বিলেতে) এবং আমজাদ হোসেন (শ্রেষ্ঠ গীতিকার, কেন লোকে ভালোবাসা চায়)।

২০১১ সালের বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘গেরিলা’র জন্য জয়া আহসান সেরা অভিনেত্রী এবং ‘গরীবের মন অনেক বড়’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হয়েছেন আমিন খান। সেরা ছবি-সহ সর্বাধিক ১৩টি শাখায় পুরস্কার জিতেছে ‘গেরিলা’। এর মধ্যে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু (পরিচালনা), সৈয়দ শামসুল হক (কাহিনীকার), নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ও এবাদুর রহমান (পৃথকভাবে চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা), সেলিম আল দীন (গীতিকার, নিরস ও দগ্ধ সময়), শম্পা রেজা (পার্শ্বঅভিনেত্রী), শিমূল ইউসুফ (সেরা গায়িকা, জয় সত্যেরও জয় এবং সংগীত পরিচালনা), অনিমেষ আইচ (শিল্প নির্দেশনা), সামির আহমেদ (চিত্র সম্পাদনা) এবং সাইদ হাসান টিপু (শব্দগ্রহণ)।

মাটির ঠিকানা’ ছবির জন্য আলমগীর সেরা পার্শ্বঅভিনেতা এবং সেরা গায়ক হয়েছেন জেমস (চতুর্দোলায় ঘুমিয়ে আমি ঘুমন্ত এক শিশু)। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবির জন্য সেরা চিত্রগ্রাহক হয়েছেন অপু রোজারিও। জুরি মন্ডলির বিশেষ পুরস্কার পাচ্ছেন মোশাররফ করিম (প্রজাপতি) ও রায়ান ইবতেশাম চৌধুরী (আমার বন্ধু রাশেদ)।

২০১২ সালের বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা ছবি-সহ সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার পেয়েছে ‘রানওয়ে’। বিজয়ীরা হলেন তারেক মাসুদ (পরিচালনা), তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ (চিত্রনাট্যকার), মিশুক মনির (চিত্রগ্রাহক), শহীদ হাসান মিঠু (শিল্প নির্দেশনা), ক্যাথরিন মাসুদ (চিত্র সম্পাদনা), মাশরুর রহমান (শব্দগ্রহণ)।

‘খোদার পরে মা’ ছবির জন্য ববিতা সেরা অভিনেত্রী আর আলী আকরাম শুভ হয়েছেন সেরা সংগীত পরিচালক। ‘পিতা’র জন্য মাসুদ আখন্দ হয়েছেন সেরা অভিনেতা। ‘চোরাবালি’ ছবির জন্য রেদওয়ান রনি সেরা কাহিনীকার এবং সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী হয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। ‘ভালোবাসার রঙ’ ছবির জন্য অমিত হাসান সেরা পার্শ্বঅভিনেতা আর আব্দুল্লাহ জহির বাবু হয়েছেন সংলাপ রচয়িতা। রাজা সূর্য খাঁ’ ছবির ‘ফুলের মতো একটা জীবন হয় যদি নিলাম’ গানের জন্য রুনা লায়লা সেরা গায়িকা ও মুন্সী ওয়াদুদ হয়েছেন সেরা গীতিকার। ‘জীবনেও তুমি মরণেও তুমি’ ছবির ‘তোমার জন্যে পৃথিবী’ গানের জন্য এস আই টুটুল পাচ্ছেন সেরা গায়কের পুরস্কার।

২০১৩ সালের বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা ছবি-সহ ৯টি পুরস্কার পেয়েছে ‘মৃত্তিকা মায়া’। বিজয়ীরা হলেন গাজী রাকায়েত (পৃথকভাবে পরিচালনা, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার), তিতাস জিয়া (সেরা অভিনেতা), এ কে আজাদ (সংগীত পরিচালনা), সাইফুল ইসলাম বাদল (চিত্রগ্রহণ), উত্তম গুহ (শিল্প নির্দেশনা), শরিফুল ইসলাম নাসের (চিত্র সম্পাদনা)।

যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন অপু বিশ্বাস (মাই নেম ইজ খান) ও মাহি (ভালোবাসা আজকাল)। ‘রূপগাওয়াল’ ছবির জন্য চম্পা সেরা পার্শ্বঅভিনেত্রী আর ‘ভালোবাসা আজকাল’-এর জন্য কাবিলা সেরা পার্শ্বঅভিনেতা হয়েছেন। ‘ইভটিজিং’ ছবির ‘সইলো সই মনের কথা কই’ গানের জন্য সেরা গায়িকা হয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। ‘পূর্ণদের্ঘ্য প্রেমকাহিনী’ ছবির ‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো জানো না’ গানের জন্য চন্দন সিনহা সেরা গায়ক এবং কবির বকুল পাচ্ছেন সেরা গীতিকারের পুরস্কার। এ ছাড়া ‘শিখন্ডী কথা’র জন্য আনন জামান (সংলাপ রচয়িতা) এবং ‘পিতা’র জন্য আজম বাবু হয়েছেন সেরা শব্দগ্রাহক।
সূত্র: বাংলানিউজ২৪


Leave a reply