‘বাবা কেন চাকর’ আয় করেছিল কত?
আহামরি গল্প বা উল্লেখযোগ্য বাজেটে নির্মিত না হয়েও ১৯৯৭ সালে সাড়া ফেলে দেয় ‘বাবা কেন চাকর’। সেই জনপ্রিয়তা পুঁজি করে সিনেমাটি পরের বছর কলকাতার জন্য রিমেক করেন মূল নায়ক ও পরিচালক রাজ্জাক। সেখানেও ব্যাপক সাফল্য পায় ভারতীয় ‘বাবা কেন চাকর’!
ঢাকার মূল ছবিতে রাজ্জাক ও ডলি জহুরের অভিনয় বিশেষ করে শেষে ডলির মৃত্যু দেখে সিনেমা হল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়েছিলেন অনেক দর্শক। মূলত ডলি জহুরের কান্না প্রসঙ্গে টাকার একটি অংক বলেছিলেন নায়করাজ।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডলি জহুর জানালেন যে ‘বাবা কেন চাকর’ মুক্তির পর দর্শকদের কাঁদিয়েছে, তা নির্মাণের খবর শুনে অনেকে নাকি তখন হাসাহাসি করেছেন। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেও নাকি এই নামে ছবি হোক, তা চাননি। রাজ্জাকের মতো চলচ্চিত্রের প্রভাবশালী একজন এই নামে ছবি বানাতে পারেন, তা ভাবতেও পারেননি।
ডলি জহুর সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বাবা কেন চাকর’ ছবিটি যখন নির্মিত হচ্ছিল, তখন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না।
‘বাবা কেন চাকর ছবিটি হলো, তখন পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আস্তে আস্তে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছিল। অনেকে তাই বলাবলি করছিল, এমনিতেই ছবি চলে না। তার ওপর ছবির নাম রাখছে, “বাবা কেন চাকর”! অনেকে আমার সামনেও হাসাহাসি করছে। হাসতে হাসতে এ–ও বলেছে, রাজ্জাক সাহেব কেন এই নামের ছবি করবেন! কিন্তু যাঁরা এমন কথা বলছিল, তারা কেউই “বাবা কেন চাকর” ছবির ভেতরের গল্পটা জানে না।’
‘বাবা কেন চাকর’ নামে ছবির নাম রাখার কারণ হিসেবে ডলি জহুর জানালেন, ‘ওই সময় “স্বামী কেন আসামী” নামে একটা ছবি সুপারহিট হয়েছিল। রাজ্জাকও তাই ভেবেছিলেন, ছবির গল্পটা যেমন, তাতে “বাবা কেন চাকর” নামে ছবি বানালে ছবিটি কিছু একটা হবে। মানুষকে নাড়া দেবে।’
‘স্বামী কেন আসামী’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাবানা, জসিম, ভারতের ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা ও চাঙ্কি পান্ডে।
ডলি জহুর সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, ‘বাবা কেন চাকর’ ছবিটি যখন নির্মিত হচ্ছিল, তখন চলচ্চিত্র অঙ্গনের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। ডলি জহুরের ভাষ্য, ‘বাবা কেন চাকর ছবিটি হলো, তখন পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গনের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। আস্তে আস্তে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছিল। অনেকে তাই বলাবলি করছিল, এমনিতেই ছবি চলে না। তার ওপর ছবির নাম রাখছে, “বাবা কেন চাকর”! অনেকে আমার সামনেও হাসাহাসি করছে। হাসতে হাসতে এ–ও বলেছে, রাজ্জাক সাহেব কেন এই নামের ছবি করবেন! কিন্তু যাঁরা এমন কথা বলছিল, তারা কেউই “বাবা কেন চাকর” ছবির ভেতরের গল্পটা জানে না।’
ডলি জহুর বললেন, ‘ওই সময়ে “স্বামী কেন আসামী” সুপারহিট হওয়ায় রাজ্জাক ভাইয়ের মনটায় একটা স্বার্থপরতার কাজ করেছিল। যদিও শুরুতে ছবির নামটা একটা গানের নামের সাথে মিল ছিল। রাজ্জাক ভাই যা ভেবেছিলেন, তাই হয়েছে। মুক্তির পর লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ল। দেখা গেছে, আজকে দুইজন, কালকে পাঁচজন, এভাবে যেন বাড়তেই থাকল। লোকমুখে ছবিটির নাম ছড়িয়ে পড়ল। একদিন তো রাজ্জাক ভাই মনতাজুর রহমান আকবর ভাইয়ের শুটিং স্পটে ছবিটি নিয়ে কথাও বললেন। তিনি এভাবে বলছিলেন, “জানো আকবর, তোমরা তো অমুকের চোখের পানি কোটি টাকা, তমুকের চোখের পানি কোটি টাকা বলো। কিন্তু তোমরা কি জানো, ডলির চোখের পানির দাম তিন কোটি টাকা। বিষয়টাতে আসলে রাজ্জাক ভাই বলতে চেয়েছিলেন, ওই সময়ে “বাবা কেন চাকর” ছবিটি তিন কোটি টাকা ব্যবসা করেছে।’
‘বাবা কেন চাকর’ ছবিতে খালিদ হাসান মিলুর গাওয়া ‘আমার মতো এত সুখী’ গানটিও শ্রোতার হৃদয় স্পর্শ করে। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা এই গানের সংগীত পরিচালনা করেন আলাউদ্দীন আলী। রাজ্জাকের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশনের ব্যানারে ছবিটি তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, শাবানার নামে একসময় প্রচলিত ছিল যে তার চোখের পানির দাম লাখ টাকা।
/* এ হিসাব আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্যের ভিত্তিতে দেয়া হয়নি।