ভারতীয় ছবি নিয়ে ফারুকী’র ফেসবুক স্ট্যাস্টাস
ভারতীয় ছবি আমদানি প্রসঙ্গে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী শনিবার সকালে ফেসবুকে একটি স্ট্যাস্টাস দিয়েছেন। নিচে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাস্টাটটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
সুপ্রভাত! ইহা একটি সম্পূরক স্ট্যাটাস। কারো যদি আমার স্পিরিট বুঝতে সমস্যা হয় তাই বলছি। আমি ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতায় পূর্ণ আস্থাশীল। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় ছবি হোক চাই। রিসোর্স শেয়ার হোক চাই। আমাদের ছবি ভারতে চলুক, তাদেরটাও এখানে চলুক। কিন্তু তার জন্য যে একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করা দরকার, কর কাঠামো তৈরি করা দরকার, বছরে কতগুলো ছবি আসবে -কতগুলো যাবে এটা ঠিক করা দরকার, আমাদের হলগুলো ভারতীয় ছবি কত পার্সেন্ট স্ক্রিনিং করতে পারবে, ভারত কি আদৌ আমাদের ছবি চালাতে আন্তরিক কিনা, তাদের দিক থেকে কোনো রকম আই ওয়াশ বা শুভংকরের অংক আছে কিনা- এই সব বিষয়ে খোলা মন নিয়ে কাজ করা দরকার। কিন্তু এসব নিয়ে যখন কোনো উত্তেজনা দেখিনা, উত্তেজনা দেখি ” শুধু যেভাবেই পারো ভারতের ছবি ঢুকিয়ে দাও”- এই নিয়ে তখন প্রশ্ন আসে। যখন প্রেসক্রিপশন দেয়া হয় “বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির জন্য”ই ভারতের ছবি আনতে হবে তখনই বোঝা হয়ে যায় ‘ডাল মে কেয়া হায়”!
আগেও যেমন বলেছি- কলকাতায় হিন্দি ছবি চালালে 25% কর দিতে হয়, বাংলা চালাতে 2% এর মতো। কেন একই দেশে এই বৈষম্য? নিজের বাজার আর সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করা। একটা রাজ্য সরকার যা পারে, স্বাধীন দেশের সরকার তার চেয়ে তো বেশিই পারার কথা। আমাদের নীতিমালা আমাদের লাভের দিকে তাকিয়ে করতে হবে, অন্য কারো লাভের দিকে তাকিয়ে না। বিনিময় বা বন্ধুত্ব তখনই জমে যখন দুই তরফে আন্তরিকতা থাকে। কলকাতার পত্রিকার পাতায় আমরা এখনো মহকুমার চেয়েও ছোট কিন্তু আমাদের পাতায় ওরা সুপার পাওয়ার। আমাদের টিভি ওখানে কৌশলে বন্ধ, আমাদের এখানে ওদের টিভি সানি লিওনের মতো খোলা। আরো একশোটা ইন্ডিকেটর দেখানো যাবে যেটা আসলে বন্ধুত্বের কথা বলে না। বললে ভালো হতো। বোঝা গেছে জিনিসটা?