ভারতীয় ছবি ১০ দিনের মধ্যে ছাড়পত্র পাবে
হল মালিকরা আমদানি করা ছবি দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার দাবি জানালেও মূলত ভারতীয় সিনেমা নিয়েই তাদের এই আবদার। এবার তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বললেন, ছবি আমদানির ক্ষেত্রে একটি ছবি জমা পড়লে সেটির ছাড়পত্র ১০ দিনের মধ্যে দেয়ার দাবি বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছি।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি নানা কারণে দেশের সব প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দেয়। এ কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি হয় চলচ্চিত্রাঙ্গনে। গত মঙ্গলবার এক বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের আশ্বাসে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
মানব জমিন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানান, প্রেক্ষাগৃহ চালু রাখার জন্য যে পরিমাণ সিনেমা দরকার, তা দেশে নির্মিত হচ্ছে না। সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে ছবি রপ্তানি এবং ভারত থেকে আমদানির অনাপত্তিপত্র আবেদন প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি আমরা।
এদিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদ্বোধনের পর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএফডিসিতে বলেন, দেশের সিনেমা হল ১২০০ থেকে ২০০ এর নিচে নেমে গিয়েছে। সিনেমা হল মালিকরা জানিয়েছেন বাংলাদেশে যেভাবে আগে প্রতি সপ্তাহে ছবি মুক্তি পেতো সেভাবে আমরা সিনেমা পাচ্ছি না। এছাড়া তাদের আরো বেশ কিছু দাবি রয়েছে। এরমধ্যে একটি দাবি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত সেই সমস্যার সমাধান করে দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সেটি হচ্ছে ভারতে একটি দেশীয় ছবি রপ্তানির বিপরীতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কলকাতার একটি ছবি আমদানির যে প্রক্রিয়া আছে, সেটা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র পেতে নাকি বেশি সময় লাগে। সেজন্য দিন নির্ধারণ করে দিয়েছি আমরা। ছবি আমদানির ক্ষেত্রে একটি ছবি জমা পড়লে সেটির ছাড়পত্র ১০ দিনের মধ্যে দেয়ার দাবি বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে করে কলকাতায় ছবিটি মুক্তি পাবার পর দুই-তিন মাস পর যেন এখানে আনতে না হয়, কাছাকাছি সময়ে যেন তারা আনতে পারে এবং সিনেমা হলে সেগুলো যেন দর্শক দেখতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের হিন্দী ছবি বাংলাদেশে সীমিত আকারে হল মালিকরা চালাতে চান। সেক্ষেত্রে প্রযোজক, পরিচালক ও শিল্পী সমিতির সকলের মতামত না নিয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমি তাদেরকে বলেছি, আমি সব পক্ষের সঙ্গে বসব। তাদের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করব।
তবে প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, আমাদের দাবির মধ্যে আরো কিছু বিষয় রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে অবিলম্বে সিনেমা হলের বিদুৎ বিল বাণিজ্যিক হারের পরিবর্তে শিল্পের হারে নির্ধারণ করার বিষয়ে। এটা খুবই জরুরি।