‘ভালো থেকো’র পিছিয়ে যাওয়া : ভালো কি মন্দ?
অনেক আগেই ঘোষণা দেওয়া হয় ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে জাকির হোসেন রাজুর ‘ভালো থেকো’। ওই সময় প্রতিযোগিতা এড়াতে এক সপ্তাহ পর ‘নূর জাহান’ মুক্তির ঘোষণা দেয় জাজ। যদিও পরে একই তারিখে শাকিব খানের ‘আমি নেতা হবো’র ঘোষণা আসে!
তারপর হঠাৎ-ই এক সপ্তাহ এগিয়ে নায়ক আরিফিন শুভর জন্মদিনে (২ ফেব্রুয়ারি) মুক্তি ঘোষণা আসে ‘ভালো থেকো’। ধারণা করা হচ্ছিল— নূর জাহান ও আমি নেতা হবো’র মতো বিগ রিলিজের আগে দুই সপ্তাহ হল পেতে এ সুবিধা নিল ‘ভালো থেকো’। কিন্তু বুধবার হঠাৎ-ই জানা গেল সেই ৯ ফেব্রুয়ারিই মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
তাহলে এতদিনের হিসেব-নিকেশের কী হলো। নতুন ঘোষণা ভালো কি মন্দ?
একে প্রযোজক জাহিদ হাসান অভি ‘অনিবার্য কারণবশত’ উল্লেখ করলেও বিস্তারিত জানাননি। তবে সিনেপাড়ায় শোনা যাচ্ছে অন্য আলাপ।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ পরিবেশন করে দারুণ ফর্মে আছে ‘ভালো থেকো’র প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান দি অভি কথাচিত্র। একই সঙ্গে আরিফিন শুভ’র সিনেমা হলের জন্য সৌভাগ্যের লক্ষণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছেন। সে কারণে শ’খানেক হলের নিচে নামতে চাচ্ছে না দি অভি কথাচিত্র।
অথচ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে জিতের সিনেমা ‘ইন্সপেক্টর নটি কে’। বক্স অফিসে সিনেমাটি হাসি ফোটাতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে বুকিং দেওয়া ছিল বড় বড় অনেক হলে। এ কারণে হোচট খায় ‘ভালো থেকো’।
তাই শতাধিক হল পেতেই এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায় সিনেমাটি। ধারণা করা হচ্ছে হল সংখ্যা বাড়লে বুকিং মানির অঙ্কও বড়সড় হবে। এছাড়া দি অভি কথাচিত্রের পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে— ‘ভালো থেকো’ গল্প প্রধান সিনেমা, দর্শক টানবে। তাই পরের সপ্তাহগুলোতেও অল্প অল্প করেও ভালো অবস্থান থাকবে।