ভালো নেই ‘আমার বাবা’
হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার বাবার জুতা’ শিরোনামের ফিচার ও তার মা আয়েশা ফয়েজের লেখা ‘জীবন যেমন’ বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা আশুতোষ সুজন সাজিয়েছিলেন ‘আমার বাবা’ সিনেমার গল্প। চলচ্চিত্রটিতে আয়েশা ফয়েজের চরিত্রে অভিনয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মৌসুমী। সে সিনেমা অবস্থা বর্তমানে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর।
‘আমার বাবা’র পরিচালক আশেুতোষ সুজনের বিরুদ্ধে অনুদানের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরামের পক্ষ থেকে। ওদিকে সুজন দাবি করেছেন ‘অপেশাদারী’ কারণে তার প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখেছে বেঙ্গল।
দুইদিন শুটিংয়ের পরও বাজেট স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে চলচ্চিত্রটি থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতা সুজন।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, ২০১৫ সালের ১ মার্চ বেঙ্গল চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরাম পাঁচটি চলচ্চিত্রকে অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয় রতন পালের ‘ইসমাইলের মা’, সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’, আদনান কবিরের ‘ইতি পলাশ’ ও আশুতোষ সুজনের ‘আমার বাবা’ এবং হুমায়রা বিলকিসের প্রামাণ্যচিত্র ‘মাই লং রোড টু স্কুল’।
অনুদান প্রদানের দেড় বছরের মাথায় তিনটি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকল্পটির সমন্বয়ক এন রাশেদ চৌধুরী। তিনি জানান, এরই মধ্যে হুমায়রা বিলকিসের ‘মাই লং রোড টু স্কুল’ প্রামান্য চিত্রের শুটিং শেষ হয়েছে। চলছে নির্মাণ পরবর্তী কাজ। নির্মাতা রতন পালের ‘ইসমাইলের মা’ সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়েছে চলতি সপ্তাগে। অন্যদিকে সৈয়দা নিগার বানু পরিচালিত ‘নোনাপানি’র শুটিংও সন্তোষজনক সমাপ্তির পথে। তবে, আশুতোষ সুজনের ‘আমার বাবা’ ও আদনান কবিরের ‘ইতি পলাশ’ চলচ্চিত্রটির বিষয়ে নাখোশ তিনি।
রাশেদ বলেন, “প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর সর্বপ্রথম সুজনকেই আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী ছয় লাখ টাকা প্রদান করি। এর মধ্যে এক লক্ষ টাকা দিয়ে চলচ্চিত্রটিতে মৌসুমীকে চুক্তিবদ্ধ করেন তিনি। দুইদিনের শুটিংয়ের জন্য বরিশালেও যান। কিন্তু ফিরে এসে তিনি জানান, যে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে তা চলচ্চিত্রে ব্যবহারের অনুপযোগী। এবং চরিত্রটিতে মৌসুমীকেও রাখতে চাননা তিনি। এ বিষয়ে আমরা কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছি তাকে।”
এদিকে নির্মাতা আশুতোষ সুজন গ্লিটজকে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে অনুদানের টাকা দেয়া হচ্ছে না আমাকে। সিনেমাটির কাজও এ কারণে সম্পূর্ণ করতে পারছিনা।”
২০১৫ সালে আগস্টে বরিশালের পিরোজপুরে চলচ্চিত্রটির জন্য দুইদিনের ডামি শুটিংও করেন নির্মাতা সুজন। সে বছরের সেপ্টেম্বরেই পুরোদমে শুরু হওয়ার কথা ছিলো চলচ্চিত্রটির শুটিং। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও তা আর শুরু হয়নি।