Select Page

ভালো-মন্দ মিলিয়ে উপভোগ্য ‘পাসওয়ার্ড’

ভালো-মন্দ মিলিয়ে উপভোগ্য ‘পাসওয়ার্ড’

নামঃ পাসওয়ার্ড (২০১৯)
ধরণঃ এ্যাকশন থ্রিলার
পরিচালকঃ মালেক আফসারী
প্রযোজনাঃ শাকিব খান ফিল্মস
অভিনয়ঃ শাকিব খান (রুদ্র), মামুনুন হাসান ইমন (রুশো), শবনম বুবলী, মিশা সওদাগর (ভিক্টর), অমিত হাসান (ওসি কবির খান), শিবা শানু (আলাউদ্দিন সরকার), ডন (কায়সার), নাদের খান, শরীফুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, সীমান্ত আহমেদ, সাংকো পাঞ্জা, যাদু আজাদ, কমল পাটেকার, তনামৗ হক, মন, সাদিয়া প্রমুখ।
শুভমুক্তিঃ ৫ই জুন, ২০১৯
নামকরণঃ পাসওয়ার্ড একটি ইংরেজী শব্দ, বর্তমানের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় সবার কাছেই এটি একটি পরিচিত শব্দ। পাসওয়ার্ড বলতে মূলত বিভিন্ন অক্ষরের সমষ্টি বোঝায়, এটি মূলত অনলাইন জগতের মহাগুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা নিজ সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবহার করা হয়।এইরকম নিরাপত্তাকে অনেকটাই বাসা-বাড়িতে তালা দেওয়ার সাথে তুলনা করা যায়। বাসায় যদি অজ্ঞাত কোনো লোক ঢোকার চেষ্টা করে, তার যেমন চাবির দরকার হয়, ঠিক তেমনি কোনো অজ্ঞাত ব্যক্তি কোনো মহাগুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সংস্পর্শে আসলে সেখানে প্রবেশে অনুমতি দেওয়ার আগে তার নিকট পাসওয়ার্ড চাওয়া হয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী সন্দেহভাজন কিনা যাচাই করা হয়।
পাসওয়ার্ড ছবির মূল আইডিয়াটি একটি এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কে কেন্দ্র করে, যাকে কেন্দ্র করে একাধিক মানুষ মরণখেলায় মেতে ওঠে। তাই নামকরণ হিসেবে “পাসওয়ার্ড” যথার্থ।
.
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপঃ “পাসওয়ার্ড” নামটি শুনলে মাথায় মধ্যে যেমন জটিল সব কল্পকাহিনী ঘুরপাক খায়, এছবির গল্প ততটা জটিল নয়। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার সবাই যেনো গল্প বুঝতে পারে এবং কমার্শিয়াল ছবি স্বাদ নিতে পারে, ঠিক তেমনভাবেই এছবির চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে।
আলাউদ্দিন সরকার (শিবা শানু) নামক দেশের এক মস্তবড় ধনকুবের সুইস ব্যাংকে জমা আছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই ব্যাংক এ্যাকাউন্টের যাবতীয় সমস্ত তথ্য-উপাত্ত রয়েছে একটি পেনড্রাইভে, যেটি তিনি তার নিরাপত্তার স্বার্থে সবসময় হাতে ব্রেসলেট হিসেবে ব্যবহার করে। ঘটনাক্রমে সেই ব্রেসলেটটি কোনো একদিন তার হাত থেকে ছুটে যায় এবং তার বাড়ির সুইমিংপুলে কাজ করা এক কর্মচারীর হাতে চলে আসে।পুরো খবরটি আন্ডারওয়ার্ল্ডের এক ডন ভিক্টর (মিশা সওদাগর) এর কানে পৌঁছে গেলে তিনি পেনড্রাইভ কব্জা করার নেশায় বুদ হয়ে থাকে। শুরু হয়ে যায় সেই পেনড্রাইভ ও তার পাসওয়ার্ড খোজার মিশন এবং এভাবেই গল্প এগোতে থাকে।

ছবির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন অভিজ্ঞ চিত্রনাট্যকার আব্দুল্লাহ জহির বাবু, চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক মালেক আফসারী নিজেই। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে ভারতীয় ছবি নকলের অঢেল অভিযোগ থাকলেও এছবির গল্প তিনি ভারত থেকে আমদানি করেননি, ছবিটি দেখার পর এটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ছবির শুরুটা অনেকবেশি আকর্ষণীয়, দেখতে পাওয়া যায় মধ্যরাতে এক যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এদিক-সেদিক হন্যে হয়ে ঘুরছে, তার পেছনে বেশ কয়জন লোক ধাওয়া করছে। একসময় সেই যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং গল্প চলে যায় ফ্ল্যাশব্যাকে।
পুরো ছবিটি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফোকাস রেখে এদিক-সেদিক এগিয়েছে বিধায় শুরু থেকে মনের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা কাজ করেছে। ধীরে ধীরে দারুণ সব সিকোয়েন্সের সমন্বয় ঘটলেও একটা সময় গিয়ে মনে হয়েছে গল্প অনেকখানি সমতল হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এর পরবর্তী এক ঘন্টায় কি ঘটতে যাচ্ছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। এক্ষেত্রে গল্পে কিছু টুইস্ট এবং টার্নের দরকার হয়, যা দেখে দর্শকসমেত সবাই চমকে উঠবে। এছবিতে ছোট পরিসরে কিছু একটা থাকলেও যা আছে তা চমকে দেওয়ার জন্য মোটেও পর্যাপ্ত না। এরকম গল্পের ক্ষেত্রে চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক সাধারণত তার চিত্রনাট্য নিয়ে দর্শকদের সামনে খেলা করে, দর্শককে গোলকধাঁধায় ফেলে এবং পরিপূর্ণ তৃপ্তি দেয়। এই উপাদানটি এছবিতে অনুপস্থিত।
এছাড়া ছবির সংলাপগুলি ততটা পোক্ত না, যদিও ছবিতে সংলাপের পরিমাণ কিছুটা কম। ট্রেইলারে যেকয়টি শক্ত সংলাপ পাওয়া গেছে, ছবিতে সে অপেক্ষা হাতেগোনা কয়েকটি বেশি আকৃষ্ট করার মতো সংলাপ খুজেঁ পাওয়া যায়।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৫০।
.
অভিনয় ও পরিচালনাঃ তথাকথিত শাকিব খানের ছবিগুলোতে নায়কের চরিত্রের দৈর্ঘ্য এতোটাই বেশি থাকে যে অন্যান্য চরিত্রগুলি লাইমলাইটে আসার একদমই সুযোগ পায় না। এছবিতে সেই প্রভাবটি তুলনামূলক কম, নায়কের পাশাপাশি ছবিতে একাধিক চরিত্র সঠিকভাবে ডালপালা মেলার সুযোগ পেয়েছে। তবুও এদের কেউই আমাদের শাকিব খানকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। এছবিতে তিনি আর গতানুগতিক অভিনয় দিয়েই দর্শকমন জয় করতে পেরেছেন। আগেই বলেছি, এছবির শুরুটাই চমকে দেওয়ার মতো, তথাকথিত বাংলা কমার্শিয়াল ছবি থেকে একদমই ভিন্ন। অভিনয়ের পাশাপাশি শাকিব খানের ডানহাতের ট্যাটু এবং ফেঞ্চ কাট লুক বেশ আকর্ষণীয়।

শাকিব খানের মানসিক প্রতিবন্ধী ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করা ইমনের অভিনয়ও বেশ ভালো হয়েছে। এরকম চরিত্রে তাকে এই প্রথম দেখলাম। ট্রেইলারে তাকে খুব কম সময় দেখা গেলেও ছবিতে তার পর্যাপ্ত অভিনয় দেখানোর জায়গা আছে। শাকিব খানের ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্রগুলো ভালো পারফরমেন্সের অভাবে আমাদের বরাবরই হতাশ করে, তিনি তেমনটা করেননি।

ভিক্টর, একটি সাইকো চরিত্র যা এ ছবির প্রাণ! এরকম একটি চরিত্রে মিশা সওদাগর ফাটিয়ে দিবে ভেবেছিলাম, তার এক-একটি এন্ট্রিতে আলাদাকরে বিজিএম বসানোতে সেই আশা ধীরে ধীরে প্রত্যাশায় পরিনত হলেও দিনশেষে খুব একটা চমকে দেওয়ার মতো পারফরমেন্স পাইনি। গতানুগতিক ছিলেন।
একজন ডাক্তারের চরিত্রে শবনম বুবলী তার স্বভাবসুলভ পারফরমেন্স প্রদর্শন করেছেন। ছবিতে তার চরিত্রের গুরুত্ব খুব কম, কমার্শিয়াল ছবির ফ্লেভার আনার জন্যই হয়তো এমন একটি চরিত্র রাখা।

অমিত হাসান এবং শিবা শানু সময়ের দিক থেকে কম হলেও দর্শকমনে জায়গা পাওয়ার মতো যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পেয়েছিলেন, কিন্তু তারাও আহামরি কোনো পারফরমেন্স দেখাতে পারেননি। তবে তারা এছবিতে যেমন আন্ডারটোন থেকে অভিনয় করেছেন, অতি উচ্চবাচ্য করেননি, এমন অভিনয় বজায় রেখে আরেকটু উন্নতির চেষ্টা করা হলে ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে ভালো অভিনয় বের হবে এ প্রত্যাশা করছি।

মালেক আফসারীর ছবির পরিচিত মুখ সাংকো পাঞ্জাকে এছবিতে আমার একদমই ভালো লাগেনি। এর থেকে তিনি “অন্তর জ্বালা” তে তুলনামূলক ভালো ছিলেন। ছবির দুই নতুন মুখ মন এবং তনামি বেশ ভালো অভিনয় দেখিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরো ভালো কাজ দেখতে পারবো সে আশা ব্যক্ত করলাম।

এছাড়া বাকি যারা ছিলেন সবাই গতানুগতিক ছিলেন। মোটামুটি ভালো করেছেন।

বর্তমানে কাজ করছেন এমন পরিচালকদের মধ্যে মালেক আফসারী বয়োজ্যেষ্ঠদের একজন। ৬১ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই পরিচালক আশির দশক এবং নব্বই দশকে দারুণ সব সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শকমন জয় করে ফেলেছিলেন। তার নাম দেখেই দর্শক এই আশ্বাস নিয়ে সিনেমা হলে যেতো, আজ চমকপ্রদ কিছুর দেখা মিলবে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে যখনই আমাদের ইন্ডাস্ট্রি অন্ধকার যুগে পদার্পণ করলো, ঠিক তখনই তার পরিচালনার মধ্যকার মুনশিয়ানা হারিয়ে যেতে বসলো। এরপরের ছবিগুলোতে থাকে সিনেমাভক্তদের একটি কমন অভিযোগ, মালেক আফসারী তার সিনেমাসত্ত্বাকে হারিয়ে ফেলেছেন।
অভিজ্ঞ এই পরিচালক তার ২৪তম সিনেমা “পাসওয়ার্ড” এ খুব একটা ভালো ডিরেকশন দিতে পারেননি, যেমনটা তিনি আগে দিতেন। চিত্রনাট্য পর্দায় উপস্থাপন করতে গিয়ে কিছুটা তালগোল পাকিয়েছেন, গল্পে লুপহোলের সৃষ্টি করেছেন। গানগুলো বসাতে গিয়ে আরেক কান্ড ঘটিয়েছেন, সেটি নিয়ে সামনে আলোচনা করি। যখন একজন পরিচালককে তার চাহিদার সবরকম কারিগরি সহায়তা দেওয়া হয়, তখন যদি তিনি তার সেরাটা দিতে না পারেন, বিষয়টি অনেক বেশি হতাশার।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৫০।

কারিগরিঃ আগাগোড়া ছবিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি ঢালিউডের প্রেক্ষাপটে বেশ হাইস্কেল বাজেটে নির্মিত ছবি। শাকিব খান ফিল্মসের প্রযোজিত দ্বিতীয় ছবি এটি, এর আগে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে “হিরো – দ্য সুপারস্টার” বিপুল ব্যবসায়িক সফলতা পেয়েছে।

টেকনিক্যাল সাইডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এছবির সিনেমাটোগ্রাফি। আমাদের দেশী সাইফুল শাহিন যে এতোটা কারুকার্য দেখাতে পারবেন সে আশা করিনি। এডিটিং একদম ঠিকঠাক, সিনেমা কোথাও ঝুলে যায়নি কিংবা বিরক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়নি। কালার কারেকশনে একটু সমস্যা আছে বৈকি, তবে সেটুকু এড়িয়ে যাওয়ার মতো।

তবে ছবির এ্যাকশন সিনগুলো আপ টু দ্য মার্ক হয়নি। যেভাবে আয়োজন এবং ক্যামেরাওয়ার্ক চলছিল তাতে আরো ভালো কিছু আশা করেছিলাম। এ্যাকশন ছবিতে যখন এ্যাকশন ভালো হয়না তখন মনের মধ্যে এক ধরনের অতৃপ্তি কাজ করে।

ফাইটের পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকেও অতৃপ্তি আছে। মালেক আফসারীর ছবিগুলো আকর্ষণীয় বিজিএম এর জন্য অধিক সমাদৃত, কিন্তু সেইরকম আকর্ষণীয় বিজিএম এছবিতে পেলাম না। ইমন সাহা যে একদমই ভালো করেননি সেটা না, শাকিব-মিশাদের এন্ট্রি মিউজিকগুলো বেশ ভালো ছিলো। তবে অভারঅল বিচার করলে মিউজিকের কাজটি মনে রাখার মতো হয়নি।

ছবিতে গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন ভারতের বাবা যাদব, পাবন এন্ড বব এবং বিল্লাল রোহান। গানের কোরিওগ্রাফি, লোকেশন এবং সেট ডিজাইন ছিল টপ ক্লাসের। পুরো ছবিটি শ্যুট করা হয়েছে বাংলাদেশে। ভিক্টর চরিত্রটির বাংলোতে করা সিক্যুয়েন্সগুলি লোকেশনের কারণেই দেখতে সুন্দর লাগছিল।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৮০।

বিনোদন ও সামাজিক বার্তাঃ “পাসওয়ার্ড” ছবিতে বিনোদনকে শতভাগ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক বার্তা কিছুটা দেওয়া হলেও সেটি খুব একটা অর্থবহন করে না। গল্পটি একটি ভিন্ন আঙ্গিকে সামনের গিয়ে অগ্রসর হওয়ায় দেখতে ভাল্লাগছিল।

ছবিতে মোট গান রয়েছে ৪ টি, সবগুলো গানই অত্যন্ত চকচকে-তকতকে করে তৈরী করা। “পাগল মন”, “ঈদ মোবারাক” এবং “আগুন লাগাইলো” তিনটি গানই হিট! কোনাল, ইমরান, আকাশ, অশোক সিংয়েরা ভালো গেয়েছেন, যার ফলে গানগুলি দেখতে এবং শুনতে ভালো লাগছে। ভারতের লিংকন ভালো সুর দিলেও আকাশ ও স্যাভি ভালো কিছু দিতে পারেননি, সেই তাদের গতানুগতিক সুরগুলোই এখানে ব্যবহার করেছেন। গানের লিরিক্সও আহামরি মানের হয়নি। এগুলোর থেকেও নেতিবাচক দিক ছিল গানগুলি ছবিতে ঠিকঠাকভাবে খাপ না খাওয়া। কোনোরকম পরিবেশই তৈরী করা হয়নি, হুটহাট করেই গান ঢুকিয়ে দিয়ে গল্পের সাসপেন্সকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ছবির শুরুর ১৫-২০ মিনিটে কিছু কমেডি সিক্যুয়েন্স আছে, ব্যক্তিবিশেষে সেগুলো উপভোগ্য। তবে আমার তেমন একটা হাসি পায়নি। এছাড়া এ্যাকশন এবং থ্রিলার সিনগুলোর বিষয়ে আগেই বলে ফেলেছি। আরো উন্নতি করার সুযোগ ছিল।
এ অংশ পাবে ১০০ তে ৭০।

ব্যক্তিগতঃ নেতিবাচক প্রচারণার সম্পূর্ণ বিপক্ষে আমি। অতীতে বহু বাংলা ছবি নেতিবাচক প্রচারণার ফলে মুক্তি পাওয়ার পর মুখ থুবড়ে পড়েছে, আবার উল্টো ঘটনার উদাহরণও আছে। ছবি সংশ্লিষ্টরা এতোটাই সময়ের অভাবে ছিলেন যে তাদের এইরকম একটি বাজে পদ্ধতিই প্রচারণার অংশ হিসেবে বেছে নিতে হলো। কিন্তু ঈদের মৌসুমে এমন ছবি মুক্তি দেওয়া বেশ কার্যকরী। কারণ দর্শক ঈদে ঠান্ডা রোম্যান্টিক ছবির তুলনায় রক্ত গরম এ্যাকশন ছবিকেই সর্বপ্রথম প্রাধান্য দেয়, অতীত ইতিহাস তাই বলে।

একটি সফল ছবি হতে হলে সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটা হলো গল্প। সেদিক থেকে এছবি পাশ। কিন্তু পর্যাপ্ত চমকের অভাব ছবিটির উপস্থাপনাকে কিছুটা গতানুগতিক করে ফেলেছে। এছাড়া ডি.এইচ চুন্নু ভালো কারিগরি সহায়তা পেলেও এ্যাকশন দৃশ্যের গুরুদায়িত্বটি ঠিকঠাক সামাল দিতে পারেননি।এই মন্দ দিক গুলো বাদ দিলে “পাসওয়ার্ড” একটি উপভোগ্য ছবি। হতাশ করার মতো না।

রেটিংঃ ৭/১০

ছবিটি কেন দেখবেনঃ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হৈ হুল্লোড় করতে চাইলে এছবিটি সম্পূর্ণ আপনাদের জন্য। শাকিব-মিশা যেখানে আছে সেখানে নায়ক-ভিলেন দ্বন্দ্ব তো জমবেই! সময় করে দেখে আসুন এবং বন্ধুদের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন।


Leave a reply