Select Page

ভিপি নুরের সঙ্গে তোলা ‘ছবি ডিলিট ও সরি বলা শর্তে’ ভারতীয় ভিসা, প্রত্যাখান করেছিলেন বাঁধন

ভিপি নুরের সঙ্গে তোলা ‘ছবি ডিলিট ও সরি বলা শর্তে’ ভারতীয় ভিসা, প্রত্যাখান করেছিলেন বাঁধন

ভারতের বেশ কিছু কাজের প্রস্তাব ও চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হওয়ার আমন্ত্রণ পেলেও গত কয়েক বছরে বারবার ভিসা আবেদন করেও প্রত্যাখ্যাত হন আজমেরী হক বাঁধন। অথচ নেটফ্লিক্সের ভারতীয় সেগেমেন্টে বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’ সিনেমা করে পেয়েছিলেন নতুন পরিচিতি ও প্রশংসা। এতদিন পর ভিসা বিষয়ক জটিলতা নিয়ে মুখ খুললেন বাঁধন।

সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্রদের হয়ে কথা বলতে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হতে হয়েছিল তাকে।

বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে তার পুরোনো ছবি শেয়ার করে বলা হচ্ছিল, এই আন্দোলনে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছেন বাঁধন। সম্প্রতি এ বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ছাত্র আন্দোলনের আগে থেকেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে ছবি থাকার কারণে চারবার তাকে ভারতের ভিসা দেওয়া হয়নি।

বাঁধন বলেন, ‘ছাত্রদের সঙ্গে সংহতি জানানোর পর থেকে আমাকে যে ধরনের সাইবার বুলিং করা হয়েছে, সেটা অনেক ভয়ানক ছিল। রুমিন ফারহানার সঙ্গে একটা ছবি দিয়ে আমাকে টার্গেট করা হচ্ছিল। রুমিন আমার ফ্রেন্ড। সে কি আমার বন্ধু হতে পারবে না? বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমার ছবি আছে। তাদের সবাইকে যে আমি পছন্দ করি, ব্যাপারটা সে রকম নয়। আমার সঙ্গে ছবি নেই এমন মানুষের সংখ্যাই কম। কারণ, আমি ছবি তুলতে অনেক পছন্দ করি।’

গত ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত ১৫তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল জুরি হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বাঁধন। তবে ভিসা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ওই উৎসবে যোগ দিতে পারেননি তিনি। সে সময় কিছু না বললেও বাঁধন জানালেন, মূলত ভিপি নুরের সঙ্গে ছবি থাকায় তাঁকে ভিসা দেওয়া হয়নি।

বাঁধন বলেন, ‘আমি কলকাতায় কাজ করেছি, বলিউডে কাজ করেছি। তারপরেও নুরের সঙ্গে ছবি থাকায় আমার আবেদন রিফিউজ করা হয়েছে। ভিপি নুরের সঙ্গে ছবিটি তুলেছিলাম আমেরিকান এম্বাসির ফাউন্ডেশন ডেতে। এই ছবিটা অনেকেই আমাকে ডিলিট করতে বলেছে। আমি সেটা করি নাই। কিন্তু এই কারণে আমাকে চারবার ইন্ডিয়ান ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে রিফিউজ করা হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে, ছবিটা ডিলিট করে দিয়ে সরি বলতে। ভুলে দিয়ে ফেলছি এটা বলতে হবে। কিন্তু আমি সেটা করিনি। কারণ, আমি তো ছবিটা ভুলে দিইনি। আমাকে এটা বলতে বাধ্য করতে পারবে না কেউ। এটা কোনো ক্রাইম না। এটার জন্য কেউ আমাকে কোনো কিছু থেকে বঞ্চিত করলে এটা তাদের সমস্যা, আমার নয়।’ খবর আজকের পত্রিকা


মন্তব্য করুন