ভেঙ্কটেশের বিনিয়োগে আজাদ হল সংস্কার
বাংলা সিনেমার দুঃসময়ে একটি হল বৃদ্ধি বা সংস্কার অনেক বড় ঘটনা। তেমনটা ঘটেছে রাজধানীর জনসন রোডে। আমূল বদলে গেছে ঐতিহ্যবাহী আজাদ সিনেমা হল। তবে এর পেছনে আছে ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস।
এ পরিবর্তন বিষয়ে ফেসবুকে বাংলা চলচ্চিত্র গ্রুপে এক সদস্য জানান, আজাদ সিনেমা হলে নতুন স্ক্রিন আর প্রজেক্টর লাগানো হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আগে কিছুই বোঝা যেত না স্ক্রিনে আর এখন নায়িকার মুখে কয়টা ব্রণ আছে সেটাও গোনা যায়। সিট গুলাও চেঞ্জ করা হচ্ছে দেখলাম। অথচ এ হলটা গত ১০-১৫ বছরে আমরা সংস্কার করতে পারিনি। ঢাকার নিকৃষ্টতম হল বলা যেতে পারে এটিকে। এরকম আরো বেশ কিছু হলে নতুন প্রজেক্টর আর ঝকঝকে সাদা পর্দা লাগানো হচ্ছে যা দিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশি ছবিগুলাও দেখা যাবে!’
পোস্টের সূত্রে জানা যায়, ওই হলে ‘কেলোর কীর্তি’ চলছিল। সম্প্রতি আমদানি নীতিতে ভারতীয় সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি পায়। সিনেমাটি মুক্তিতে কয়েক দফা আন্দোলন করেন দেশিয় চলচ্চিত্র কর্মীরা।
আলোচনার পরবর্তী পর্যায়ে জানা যায়, এ বিনিয়োগের পেছনে আছে ভারতের শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস। এর মন্তব্যকারীর দেওয়া তথ্যে জানা যায়, চট্টগ্রামের ১১টি হল সংস্কার করছে এ প্রতিষ্ঠান।
ত্রিশের দশকের মাঝামাঝিতে জনসন রোডে ঢাকা পিকচার্স প্যালেসের প্রতিষ্ঠাতা মুড়াপাড়ার জমিদার মুকুল ব্যানার্জী প্রেক্ষাগৃহটি প্রতিষ্ঠা করেন। জমিদার মুকুল ব্যানার্জী নাম অনুসারে প্রেক্ষাগৃহের নাম করণ করেন মুকুল হল। বর্তমানে আজাদ সিনেমা হল নামে পরিচিত।
ঢাকায় নির্মিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ নির্বাক চলচ্চিত্র ‘দি লাস্ট কিস’ এ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
balo