
মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আজম খান
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলা রক গানের কিংবদন্তি শিল্পী আজম খান। মৃত্যুর সাড়ে ১৩ বছর পর এই পুরস্কার পাচ্ছেন এই রক তারকা। এর আগে ২০১৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন আজম খান।

২০২৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত বিশিষ্টজনদের মধ্যে আরো আছেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী, বিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, লেখক ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর, কবি আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার নভেরা আহমেদ ও আবরার ফাহাদ।
আবরার ফাহাদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বর্তমানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে তিনি নিহত হন।
বাংলা রক সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন আজম খান; অনুরাগীদের কাছে তিনি পপগুরু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই রক তারকা।
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান বন্ধুদের নিয়ে সংগীতের দল গড়েন, নাম দেন ‘উচ্চারণ’।
১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’ ইত্যাদি গানে তিনি শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
‘এক যুগ’ নামে তার প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সব মিলিয়ে তাঁর গানের অ্যালবাম ১৭টি। গানের ভুবনের বাইরে খেলাধুলার প্রতিও ছিল তার দারুণ ভালোবাসা। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলতেন।
অভিনয়ও করেছিলেন ২০০৩ সালে, ‘গডফাদার’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন এবং সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।