মাইলফলক! আন্তর্জাতিক বাজারে এক লাখ ডলার ছাড়িয়েছে ‘দেবী’
# দেশের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্য লাভ করেছে ‘দেবী’
# বিদেশে মুক্তির ১৭ দিন অতিক্রমের আগেই ‘আয়নাবাজি’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর আন্তর্জাতিক লাইফটাইম ছুঁয়েছে
# ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন সার্কিট থেকে তুলে নিয়েছে ১ লাখ ডলারের মতো। যা এর আগে বিদেশের মাটিতে নিয়মিত পরিবেশকের মাধ্যমে বিতরণকৃত বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে অর্জিত হয়নি
অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ বিদেশে মুক্তি পেয়ে দারুণ ব্যবসা করছে। কানাডায় ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও ‘আয়নাবাজি’র লাইফটাইম অতিক্রমের পাশাপাশি অন্যান্য মার্কেটেও এগিয়ে গেছে। সে আয় ইতোমধ্যে ১ লাখ ডলার অতিক্রম করে গেছে, যেমনটা আগে হয়নি।
কমস্কোর থেকে তথ্য নিয়ে পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবে জানায়-
“কানাডায় মুক্তির ১৭ দিনের মাথায় ‘দেবী’ টপকে গেল কানাডার বক্স অফিসে অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করা ‘আয়নাবাজি’র সর্বমোট আয়কে। আজ (৪ ডিসেম্বর) থেকে তাই শুরু হল নতুন ইতিহাস রচনা। শুধু তাই না, আমেরিকার বক্স অফিস আয় ধরলে ‘দেবী’ এর-ই মধ্যে এমন এক অবস্থানে পৌঁছে গেছে, যেখানে যাওয়ার স্বপ্নই আমরা এতদিন দেখে এসেছি। বলা বাহুল্য, কানাডা-আমেরিকা-মধ্যপ্রাচ্য মিলিয়ে এতদিনের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ও এতে বেশ পেছনে পড়ে গেছে।
‘দেবী’র বক্স অফিস কালেকশন দেখার আগে চলুন দেখে আসি, ‘আয়নাবাজি’ ও ‘ঢাকা অ্যাটাক’ কি করেছিল বক্স অফিসে।
কানাডার বক্স অফিসে,
‘আয়নাবাজি’র সর্বমোট আয় : ৪৮ হাজার ৫৫ ডলার (লাইফটাইম)
‘ঢাকা অ্যাটাক’র সর্বমোট আয়। ২৩ হাজার ৬৪৪ ডলার (লাইফটাইম)
সমগ্র আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে,
‘ঢাকা অ্যাটাক’র সর্বমোট আয় : ৭৩ হাজার ১৭৫ কানাডিয়ান ডলার (লাইফটাইম)
(কানাডার পাশাপাশি আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল)
‘আয়নাবাজি’র সর্বমোট আয় : ৪৮ হাজার ৫৫ কানাডিয়ান ডলার (লাইফটাইম)
(কানাডার পাশাপাশি ‘আয়নাবাজি’ আর কোথাও সিনেমাহলে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পায়নি। তবে পৃথিবীর অনেক শহরে সিনেমাটির ‘প্রদর্শনী’ বা ‘প্রিমিয়ার শো’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সিনেমা মুক্তি দেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক কোন রূপ না হওয়ায় এসব বিশেষ ‘প্রদর্শনী’র কোন আয় বক্স অফিস হিসাবে যুক্ত হয় না)।
এবার চলুন দেখি, বক্স অফিসে ‘দেবী’র কী অবস্থা?
মুক্তির ১৭ দিন পর কানাডার বক্স অফিসে,
‘দেবী’র মোট আয় : ৪৯ হাজার ৮৪৪ ডলার (এখনো চলছে)
হ্যাঁ, আপনি ঠিক দেখছেন, ৪৯ হাজার ৮৪৪ ডলার
কানাডার পাশাপাশি সিনেমাটি আর শুধু আমেরিকার নিউইয়র্কের একটি সিনেমা হলে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পেয়েছে (টানা ৩ সপ্তাহ চলেছে)। সেখানকার বক্স অফিসে ‘দেবী’র আয় রীতিমত বিষ্ময়জাগানিয়া। সেটা হওয়াই অবশ্য উচিত। কানাডার সর্বমোট বাজারের চেয়ে শুধু নিউইয়র্কে বাংলা চলচ্চিত্রের বাজার প্রায় ১০গুণ বড়। তবে আয়ের হিসেবটি এখানে প্রকাশ করা হচ্ছে না কারণ ‘স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো’ সিনেমাটি আমেরিকায় মুক্তি দেয়নি। আপনাদের শুধু এটুকুই জানিয়ে রাখতে চাই, কানাডা ও আমেরিকা মিলে, ‘দেবী’ বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম সিনেমা যা ১ লাখ ডলার বক্স অফিস আয়ের বেঞ্চমার্ক বেশ আগেই অতিক্রম করে গেছে।
এসব-ই হচ্ছে দর্শক হিসেবে প্রবাসে আমাদের বাংলাদেশিদের সাফল্য। আমরা প্রমাণ করছি, আমাদের সিনেমা এসব দেশের ইকনোমির জন্য বেশ লাভজনক। এতে কমিউনিটি হিসেবে ‘বাংলাদেশি’দের অবস্থান এসব দেশের মেইনস্ট্রিমে সমীহ জাগানিয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, আমাদের ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রি সরাসরি আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছে; বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের আরেক বড় খাত ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে।”