Select Page

উত্তর আমেরিকায় লাখ ডলারের চ্যালেঞ্জের মুখে ‘সুড়ঙ্গ’?

উত্তর আমেরিকায় লাখ ডলারের চ্যালেঞ্জের মুখে ‘সুড়ঙ্গ’?

জনপ্রিয় বাংলাদেশী সিনেমার ক্ষেত্রে উত্তর আমেরিকার বাজারে আপাতত প্রথম মাইলফলক এক লাখ ডলারের ক্লাব। এরই মধ্যে চারটি সিনেমা সেই মাইলফলক পার করলেও নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’-এর ক্ষেত্রে।

সম্প্রতি পাইরেসির শিকার হওয়া এই সিনেমা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৫০ হাজার ডলারের বেশি আয় করেছে। এখন তাকিয়ে আছেন কানাডার দিকে।

উত্তর আমেরিকার বাজারে ‘সুড়ঙ্গ’ বিতরণ করছে বায়োস্কোপ ফিল্মস। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ‘বারবি’র অসাধারণ সাফল্য খোদ হলিঊড অনুমান করতে পারেনি। তাই ভারতীয় সিনেমার পাশাপাশি সুড়ঙ্গকে প্রচুর হল ও শো টাইম হারাতে হয়েছে। তাই কতগুলো মেজর মার্কেটে ঢোকা যায়নি প্রথম দুই সপ্তাহে।

প্রথম সপ্তাহে নিউইয়র্কের জামাইকা মাল্টিপ্লেক্স ও লস আঞ্জেলেসের ল্যাম্লি সিনেমায় মুক্তি পায় ‘সুড়ঙ্গ’। এই দুই হল থেকে আয় করে ৩২ হাজার ৩৪৩ ডলার। পরের সপ্তাহে মোট হল হয় ২২টি। সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহে আয় দাঁড়ায় ৬৫ হাজার ৯২৬ ডলার।

জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্স এখন বাংলা সিনেমার তীর্থে পরিণত হয়েছে। এখানে প্রথম সপ্তাহে ‘সুড়ঙ্গ’ আয় করে ২৮ হাজার ২৫ ডলার। আর গত বছর প্রথম সপ্তাহে ‘পরাণ’ আয় করে ২২ হাজার ৭৩২ ডলার।

এছাড়া স্বপ্ন স্কোয়ারক্রোর পরিবেশনায় জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে চার সপ্তাহে হিমেল আশরাফ পরিচালিত ‘প্রিয়তমা’র আয় ৬৭ হাজার ১০৪ ডলার।

বায়োস্কোপ জানায় চলতি মাসেই কানাডায় মুক্তি পাবে ‌‘সুড়ঙ্গ’। তারা আশা করছে সব বৈরিতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সিনেমা উত্তর আমেরিকার বাজারে দেড় লাখ ডলার আয় করতে সক্ষম হবে।

এদিকে এখন পর্যন্ত ভিনদেশের প্রেক্ষাগৃহ থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় আছে মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম ছবি ‘হাওয়া’। উত্তর আমেরিকায় সর্বোচ্চ আয় করা ‘হাওয়া’র আয় ৩ লাখ ৫৮ হাজার ডলার। এরপরের জায়গাটি রায়হান রাফীর ‘পরাণ’ এর দখলে। আয় ১ লাখ ৮৭ হাজার ডলার! তৃতীয় অবস্থানে থাকা ‘প্রিয়তমা’র আয় ছাড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার! এরপরে থাকা অনম বিশ্বাসের ‘দেবী’র আয় ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার।

আয়ের দিক থেকে ‘হাওয়া’ শীর্ষে থাকলেও ভিনদেশে প্রেক্ষাগৃহ প্রাপ্তির পরিসংখ্যানে বাংলাদেশি সিনেমার মধ্যে এগিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘পাপ পুণ্য’। তারকাবহুল ছবিটি মুক্তি পেয়েছিলো সর্বোচ্চ ৯১টি স্ক্রিনে! অন্যদিকে বক্স অফিস মাত করা ‘হাওয়া’ মুক্তি পেয়েছিলো ৮৬টি স্ক্রিনে! শোনা যাচ্ছে, ২৫ আগস্ট মুক্তি পেতে যাওয়া যৌথ প্রযোজনার ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ উত্তর আমেরিকার বাজারে ১৫০টির মতো প্রেক্ষাগৃহে পাচ্ছে। সিনেমাটি বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় মুক্তি পাবে।

*বক্স অফিসের এই আয় গ্রস কালেকশন হিসেবে পরিবেশিত


মন্তব্য করুন