মারা গেছেন মাসুদ আলী খান
বরেণ্য অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাসায় মৃত্যু হয় এই গুণী অভিনেতার। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মাসুদ আলী খান বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল।
২০২৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার মাসুদ আলী খানকে একুশে পদক প্রদান করে।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মা সিতারা খাতুন। মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
মঞ্চে অভিনয় দিয়ে শুরু তার অভিনেতা জীবন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরমধ্যে এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, গুলশান এভিনিউ এবং একান্নবর্তী বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় মাসুদ আলী খানের পথচলা শুরু। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে আয়না ও অবশিষ্ট< শঙ্খনীল কারাগান, দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু’, মাটির ময়না প্রভৃতি।
চাকরিজীবনে সরকারের নানা দপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন।
মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে।