মাহির ‘বিয়ে বিতর্কে’ নতুন মোড়
বিয়ে হতে না হতেই কিছু সংবাদমাধ্যম এক প্রকার ঝাঁপিয়েই পড়ে মাহির অতীতের রসালো কাহিনী ছাপানোতে। কোনো পক্ষের মন্তব্য ছাড়াই দাবি করে আগেও বিয়ে হয়েছিল এ নায়িকার।
এবার মাহির মামলায় পুলিশ রিমান্ডে নিল কথিত স্বামী শাহরিয়ার শাওনকে। বিয়ের দাবি করলেও স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
রাজধানীর মধ্য বাড্ডার একটি বাসা থেকে শনিবার গভীর রাতে শাহরিয়ার শাওনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন মাহি।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান সোমবার বিকেলে রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে শাওন নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। যেটি তিনি (শাওন) দাবি করছেন, তার স্বপক্ষে ছবি ছাড়া কোনো ডকুমেন্ট তা দেখাতে পারেননি।’
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শাওন দাবি করেছেন মাহির সঙ্গে তার পরিচয় স্কুল জীবন থেকে। তারা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধরেই এক সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুইজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে শাওন আরো বলেন, মাহি তার স্ত্রী। এর স্বপক্ষে কাবিননামা না থাকলেও অনেক কিছুর প্রমাণ আছে। এই প্রমাণ হিসেবে তিনি ফেসবুকে আপলোড করা তার সঙ্গে মাহির বিয়ের ছবি দেখিয়েছেন।
তার এই দাবি অযৌক্তিক মনে করেন পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। তিনি আরো বলেন, রিমান্ডে বিয়ের কথা বললেও বাস্তবতা তেমন মনে হচ্ছে না। কেননা স্ত্রী দাবি করতে হলে তাকে অবশ্যই কাবিননামা দেখাতে হবে। তবে শাওনের দেওয়া তথ্যে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে মাহির সঙ্গে শাওনের বন্ধুত্ব ছিল।
রিমান্ডে দেওয়া শাওনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ফেসবুকের ছবি এবং শাওনের দেওয়া তথ্য নিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা মাহির সঙ্গেও কথা বলতে পারেন।
২৫ মে সিলেটের ব্যবসায়ী মাহমুদ পারভেজ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। এর পরপরই ‘আগের বিয়ে’র গুঞ্জন উঠে।