‘মুজিব’ ট্রেলার নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
‘ট্রেলারটা যদি গ্রহণযোগ্য না হত, তাহলে ফ্রান্সে কান চলচ্চিত্র উৎসব কোনদিন কিন্তু গ্রহণ করতো না। কাজেই এর গুণগত মান নিয়ে এখানে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। কিন্তু এ কথা তো আপনাকে বিবেচনা করতে হবে, কান উৎসব কিন্তু যা তা গ্রহণ করে না’— সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবির ট্রেলারের সমালোচনা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছরের ১৯ মে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ট্রেলারটি প্রকাশ করা হয়। ট্রেলারের বিভিন্ন দৃশ্য ও গ্রাফিক্স নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিশেষ করে ৭ মার্চের ভাষণে আরিফিন শুভর লুক, গ্রাফিক্স নিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংবাদ সংস্থা ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন তার কাছে জানতে চান, ‘মুজিব’ ছবিটির ফাইনাল ভার্সন দেখেছেন বা দেখবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘এ ছবির মূল শুটিং ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল। তারপর তো বেশিরভাগ শুটিং বোম্বেতে করে। এরপর কিছুটা ঢাকায় করে। এখন এডিটিং চলছে, যেটা সাধারণত হয়ে থাকে।’
সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে জাতির পিতাকে ওইভাবে দেখার পর, ট্রেলারে দেখলে এটা নিতে অনেকের একটু কষ্ট হয়—এটা হলো সমস্যা। এটা যখন সিনেমা হবে, তখন কেউ না কেউ তো এটাতে অভিনয় করতে হবে। আর সেভাবে করার চেষ্টা করতে হবে। আমি মনে করি যেটুকু করেছে চমৎকার করেছে।’
‘ট্রেলার কানে যাওয়ার আগে আমাকে পাঠানো হয়েছিল। আমি দেখেছি, যেখানে যেখানে সংশোধন দেওয়ার দিয়েছি। ঠিক করার পর সেটা কানে নিয়েছে।’ জানালেন প্রধানমন্ত্রী।
‘সিনেমাকে সিনেমা হিসেবেই দেখতে হবে’ জানিয়ে তিনি অভিনয়শিল্পীদের প্রশংসা করেন। ‘যে অভিনয় করেছে তাকে অনেক কষ্ট করত হয়েছে। একটা চরিত্র করতে গেলে সে চরিত্রকে গ্রহণ করা, সে সেন্টিমেন্টকে তৈরি করা কঠিন কাজ—আর সেটা যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চরিত্র হয়, তাহলে আরও কঠিন। তারপরও আমি বলবো এখানে যারা অভিনয় করেছে তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে।’
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মিত হয়েছে। পরিচালনা করেছেন ভারতীয় নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল।
‘মুজিব’ সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, নুসরাত ফারিয়া, চঞ্চল চৌধুরী, দিলারা জামান, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, প্রার্থনা দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ শতাধিক শিল্পী।