Select Page

যৌথ প্রযোজনা না থাকাই কি ঈদে দর্শক কম?

যৌথ প্রযোজনা না থাকাই কি ঈদে দর্শক কম?

ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া রংবাজ, অহংকারসোনা বন্ধু ভালো ব্যবসা করছে না। ছবিগুলো মুক্তির তিনদিনের মাথায় এ কথা জানা গেছে। এই সুযোগে কেউ কেউ নিজেদের বাসনা প্রকাশ করে দিচ্ছেন। যেমন; যৌথ প্রযোজনার সিনেমা মুক্তি না পাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আসলে কি তাই?

প্রথমে কথাটি তুলেছিলেন হল মালিক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের মানুষ গত কয়েক বছরে যৌথ প্রযোজনার ছবির সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। যার কারণে দর্শকদের রুচি পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর তারা আগের মেকিংয়ের ছবি ভালো হওয়া শর্তেও দেখছেন না।’

একই প্রচারণা চালাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। অদ্ভুত বিষয় হলো— অনেকগুলো একক প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করলেও জাজকে এখন শুধু যৌথ প্রযোজনার প্রতিষ্ঠান হিসেবেই জেনে দর্শক! কারো কারো ভাষায় ‘যৌথ প্রতারণা’!

কিন্তু যৌথ প্রযোজনা ঈদুল আজহায়ও ভালো করে না— এমন প্রমাণ আছে। সেটা অবশ্য শাকিবের ছবি হলে অন্য কিছু হতো।

এমনিতেই ঈদুল আজহায় দর্শক থাকেন কম। গত বছর ঈদুল আজহায় অনেক শোর তুলে মুক্তি পেয়েছিল ‘রক্ত’। পরী মনি অভিনীত সিনেমাটি যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে। কিন্তু প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। তার বদলে বেশিরভাগ দর্শক দেখেছে বসগিরি ও শুটার। কারণ স্পষ্ট। শাকিব খানই। তাহলে এবার কী হলো?

আরো মনে রাখা দরকার, ২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছিল যৌথ প্রযোজনার ‘অগ্নি টু’। নানা ধরনের হাইপ থাকা সত্ত্বেও ছবিটি প্রত্যাশিত ব্যবসা করতে পারেনি।

যৌথ প্রযোজনার হাইপ বেশি পড়েছিল ২০১৬ সালের ঈদুল ফিতরে। মুক্তি পায় শিকারি ও বাদশা দ্য ডন। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে শাকিবের চেয়ে জিতের সিনেমাটিই বেশি সাড়া পেয়েছে। যদিও প্রচার হয়েছে ‘শিকারি’ অনেকবছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু এবারের ঈদুল ফিতরের দিকে খেয়াল করুন। শাকিবের ‘নবাব’র কাছে দাঁড়াতেই পারেনি জিতের ‘বস টু’। এবারও নাকি শাকিব রেকর্ড ভেঙেছেন— তারও বিস্তারিত জানা যায়নি। উল্টো শাকিবের অভিনয় প্রশংসিত হলেও নকলের কারণে দর্শক ধিক্কার দিয়েছে।

তাহলে এবারের ঈদুল আজহার ছবিগুলোর সমস্যা কী? একে তো দর্শক কম থাকে এই সময়। এছাড়া সারাদেশে বন্যা ও বৃষ্টির উপদ্রুব। পাশাপাশি রয়েছে রংবাজ ও অহংকার নিয়ে নকলের অভিযোগ। এছাড়া আছে শামীম আহমেদ রনির সব সিনেমার প্রতি দর্শকের নেগেটিভ রিভিউ। তাইলে সমস্যা যৌথ প্রযোজনার নয়। অন্যখানের।

এছাড়া স্পষ্ট করে বললে, দুই বা তিনটি সিনেমা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রির গতি বোঝা যাবে না। স্টারডম ছাড়াও কন্টেন্টই মূল বিষয়- সেটা বুঝতে হবে। নইলে ‘আয়নাবাজি’র প্রতি দর্শক সাড়া এমন হতো না বা ‘বস টু’র ভরাডুবি হতো না।

তাই নিজেদের স্বার্থেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও প্রদর্শকদের উচিত মৌলিক গল্প ও ভালো নিমার্ণের প্রতি জোর দেওয়া, যৌথ প্রযোজনার নামে ভারতীয় সিনেমার খরিদার হওয়া নয়।


Leave a reply