শর্ট রিভিউ: সাদামাটা গল্পে উপভোগ্য ‘অপারেশন সুন্দরবন’
ঝকঝকে ভিজ্যুয়াল দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ এককথায় উপভোগ্য ছবি। দর্শক সহজেই গল্পের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন।
একটি বিশেষ বাহিনীর সাফল্য ও তারাই প্রযোজক হওয়ার কারণে সিনেমার পরিণতি নিয়ে অনেকের সংশয় ছিল। তবে এটি র্যাবের ওপর প্রামাণ্যচিত্র হয়নি, পুরোপুরি একটি সিনেমা হয়েছে। এ ধরনের ইস্যু ভিত্তিক গল্পকে সিনেমার ফর্মে তুলে ধরতে পারা পরিচালকের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল, তা তিনি পূরণ করতে পেরেছেন।
বিশাল ক্যানভাস ও অনেক চরিত্রের ঘনঘটা থাকলেও গল্প খুব সহজেই অনুমেয়। ততটা রহস্য জিইয়ে রাখতে পারেনি ‘অপারেশন সুন্দরবন’।
ছবির চরিত্র নির্মাণে আরেকটু যত্নের দরকার ছিল। কোনো চরিত্র বিশেষ করে ভিকটিমদের প্রতিও মায়া তৈরি হয় না। যা ছবির দুর্বল দিক। গল্পে ব্যাপ্তি ও চরিত্র অনুযায়ী ভালো করেছেন সিয়াম আহমেদ। তবে চরিত্র অনুযায়ী প্রায় সবাই ভালো অভিনয় করেছেন। এ ক্ষেত্রে নুসরাত ফারিয়ার চরিত্র অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে।
‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর তিনটি গান মুক্তির আগে প্রকাশ হয়। ফলে গানগুলো সম্পর্কে ধারণা ছিল। চমৎকার লোকেশন ও চিত্রধারণ মিলিয়ে ভালো লেগেছে।
ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্য বা গোলাগুলির প্রাধান্য ছিল। যা মাঝে মাঝে বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পাবে। তবে কারিগরি দিক হলো এ ছবির প্রাণ। চিত্রায়ন থেকে এডিটিং ও ভিএফএক্স ভালো নাম্বার পাবে।
সব মিলিয়ে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সাদামাটা গল্পের একটি উপভোগ্য চলচ্চিত্র। বর্তমানে বাংলা সিনেমার যে জোয়ার বইছে সেখানে নতুন কিছু যোগ করার ক্ষমতা রাখে এ ছবি।
রেটিং: ৬.৫/১০