শাকিব প্রসঙ্গে কী বললেন দুই গুণী নির্মাতা
পরিচালকদের ‘হেয়’ করে শাকিব খানের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে মুখ মুখ খুললেন দুই গুণী নির্মাতা— আজিজুর রহমান ও মালেক আফসারী। সম্প্রতি বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে এ নায়ককে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে পরিচালক সমিতি, বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাকে নিয়ে ছবি নির্মাণ না করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘অশিক্ষিত’, ‘জনতা এক্সপেস’সহ কালজয়ী সিনেমার নির্মাতা আজিজুর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘শাকিবের উচিত হয়নি এভাবে পরিচালকদের নিয়ে মন্তব্য করা। এটা ঠিক সব পরিচালকদের মেধা সমান না। আর আজকে এ পরিচালকদের মাধ্যমেই তার এ অবস্থান। তার ব্যক্তিগত রাগের কারণে তিনশ-সাড়ে তিনশ চলচ্চিত্র পরিচালককে সে ছোট করতে পারে না। যে লোক (বদিউল আলম খোকন) তাকে নিয়ে ২২টি ছবি বানিয়েছে তাকে নিয়েও এভাবে কথা বলতে পারে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ও একটা স্টুপিড! নিজেকে নিজে সুপারস্টার বলে। এটা তো সাধারণ মানুষ বলবে। নিজে নিজে স্বীকৃতি দেওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশে বহু শিল্পীর সুপারস্টার বলার মত যোগ্যতা ছিল, কিন্তু তারাও কোনোদিন এ কথা বলেনি।’
আজিজুর রহমান শাকিব খানকে নিয়ে ‘ডাক্তার বাড়ি’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। ছবিটি ২০০৭ সালে মুক্তি পায়।
অন্যদিকে ‘এই ঘর এই সংসার’-খ্যাত মালেক আফসারী সোমবার ফেসবুকে লেখেন, ‘আপনি যে স্টারকে পর্দায় দেখেন, সে স্টারকে ক্যামেরার সামনে আনার জন্য পরিচালক প্রায় ৪০ জনের ইউনিট নিয়ে কাজ করেন। ইউনিটের কেউ তাকে সাজায়, কেউ কাপড় পরায়, কেউ সংলাপ পড়ায়, কেউ লাইট করে, কেউ ক্যামেরা চালায়, কেউ ট্রলি ঠেলে, কেউ খাবার খিলায় ইত্যাদি ইত্যাদি। সব কিছু চলে পরিচালকের নির্দেশে। পরিচালক পেছনে থাকে বলেই হিরোকে বড়পর্দায় ক্লিয়ার হিরো মনে হয়।’
তিনি আরো লেখেন, ‘এমনিতে প্রমাণ দেখেন ১০ মিনিটের ইন্টারভিউতে ২০বার ভুল করবে। শুটিংয়েও ভুল করেন, কিন্তু পরিচালক বার বার রি-টেক করে ভুল শুধরিয়ে দেন। কিন্তু মুশকিল হো গিয়া সরাসরি প্রোগ্রামে। পেছনে যে পরিচালক নাই ক্লিয়ার বুঝা যায়। সব আগোছালো কথাবার্তা। তার মানে কি দাঁড়াল? যাদের অপমান করে কথা বললেন তারাই তো আসল, তাই না? আমরা সবসময় আছি, স্টাররা আসছে ঝরে যাচ্ছে। পরিচালকের কারনে স্টার জন্ম নেয় এই কথাটা বুঝার জন্য পন্ডিত হবার দরকার নাই। জাস্ট অহংকার ঝেড়ে ফেলে মুখের নকল হাসিটুকু আসল করতে হবে।’
শাকিব খানকে নায়ক করে মালেক আফসারী নির্মাণ করেছেন হিরা চুনি পান্না, ঠেকাও মাস্তান, মনের জ্বালা ও ফুল অ্যান্ড ফাইনালের মতো জনপ্রিয় সিনেমা।