শাবানা-ববিতা-কবরীদের সোনালী দিন ফেরালো এআই
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে হাল দুনিয়ায় কত কিছুই তো ঘটছে। হলিউড তারকাদের ধর্মঘটেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছেন এআই-এর ব্যবহার। নানা বিচারে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এই প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু লাইভ অ্যাকশন না হলেও স্থিরচিত্রে এআই-এর ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা কথা নয়।
সম্প্রতি একজন ডিজিটাল আর্টিস্ট সোনালী দিনে শাসন করে আট নায়িকার ছবি এআই-এর মাধ্যমে সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছেন। তা দেশের সিনেমা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা তুলেছে। নায়িকাদের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত থাকা রোজিনা, অঞ্জনা ও নূতন তাদের ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তারা এই ডিজিটাল আর্টিস্টের তৈরি আরো কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন নিজেদের ওয়ালে।
আর্টিস্ট রাজীব জাহান ফেরদৌস বেশ গ্ল্যামারাস অবতারে ববিতা, চম্পা, সুচরিতা, কবরী, রোজিনা, শাবানা, অঞ্জনা ও নূতনকে তুলে ধরেছেন। যেখানে তাদের ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি।
রাজীব জাহান ফেরদৌস এ কাজে ফায়ারফ্লাই ও ফটোশপের সহযোগিতা নিয়েছেন। যিনি পেশা হিসেবে কর্মরত আছেন বাটা প্রতিষ্ঠানের জিএম ও ডিজিটাল বিজনেস লিডার হিসেবে।
এই রাজীব হঠাৎ কেন পুরনো নায়িকাদের নতুন করে তুলে ধরলেন? জবাবে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আশির দশককে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ বলা হয়ে থাকে। সেই সময়ে অনেক অসাধারণ সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তখনকার শিল্পীরা। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের হাত ধরে সিনেমা হলে যেতাম। মধ্যবিত্ত পরিবারের বিনোদনের একটা বড় উৎস ছিল হলে গিয়ে মুভি দেখা। হল থেকে বের হয়ে বেলুন কিনে বাদাম খেতে খেতে রিকশায় মায়ের কোলে বসে বাসায় ফিরতাম। কী সুন্দর ছিল ওই দিনগুলো! তো এসব ভাবতে ভাবতে আমার মনে হলো, সেই সময় দর্শকদের স্বপ্নের নায়িকারা যদি এই যুগের নায়িকা হতেন; দেখতে তারা কেমন হতেন? কেমন হতো তাদের স্টাইল? সেই ভাবনা থেকে প্রযুক্তির সাহায্যে দেখার চেষ্টা করলাম। তাছাড়া এখন তো গোটা বিশ্বে চলছে এআই ট্রেন্ড। আমিও তাতে যুক্ত হলাম প্রিয় নায়িকাদের মাধ্যমে।’
রাজীব জাহান ফেরদৌস এর আগেও গত মার্চ মাসে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে হলিউড তারকাদের ইফতারের টেবিলে হাজির করে আলোচনায় আসেন! তবে এবারের ট্রিবিউটটি সত্যিকারার্থেই সবার মন কেড়েছে।