শুক্লপক্ষের অপেক্ষায় ‘কৃষ্ণপক্ষ’
১৩ নভেম্বর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে মুক্তি পাবে সিনেমাটি, নির্মাণের ঘোষণা আসল সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। অর্থাৎ, মাত্র ৪০ দিনে সব কাজ শেষ হবে। তার পর মুক্তি পাবে বাংলাদেশে এর চেয়ে কম সময়ে এফডিসিতে সিনেমা বানানোর রেকর্ড আছে। কিন্তু এ যে হুমায়ূনের ‘কৃষ্ণপক্ষ’ উপন্যাস নিয়ে একই নামের সিনেমা। সে তাড়াহুড়ো প্রথমেই চোখে লেগেছিল। অবশেষে তা পিছিয়ে গেল।
‘কৃষ্ণপক্ষ’র নায়ক রিয়াজের অসুস্থতাসহ নানা কারণে সিনেমাটির শুটিং এখনো বাকি। তবে নির্ধারিত দিনে ছবি মুক্তি না পেলেও চালু হবে ’কৃষ্ণপক্ষ’র ওয়েবসাইট। প্রকাশ হবে ‘মেকিং অব কৃষ্ণপক্ষ’।
‘কৃষ্ণপক্ষ’র শুটিং শুরু হয় ২ অক্টোবর। ১৯ অক্টোবর হঠাৎ করেই শুটিংস্পটে হৃদরোগে আক্রান্ত হন রিয়াজ। হৃদপিণ্ডে চারটি ব্লক ধরা পড়লে জরুরি অস্ত্রোপচার করে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। ২৪ অক্টোবর দুপুরে তিনি বাসায় ফিরেন। চিকিৎসক জানান, তাকে কমপক্ষে দুই মাসে বিশ্রামে থাকতে হবে। এ ছাড়া আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে রিয়াজের হৃৎপিণ্ডে আরেকটি রিং পরানো হতে পারে বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবির নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন।
সিনেমাটি পিছিয়ে যাওয়া সম্পর্কে পরিচালক শাওন বলেন, ‘দেশে এবং দেশের বাইরের কারো জানতে বাকি নেই যে, রিয়াজ ভাই অসুস্থ। হার্ট অ্যাটাকের ওপর তো মানুষের হাত নেই। বিষয়টি এমন নয় যে, ছবিটা আর হচ্ছে না। আর ব্যাপাটি এমনও নয় যে, রিয়াজ ভাইও আর কখনো অভিনয় করতে পারবেন না। আমার বিশ্বাস, দর্শক এই ব্যাপারগুলো অবশ্যই বুঝবেন। আমি মনে করি, আমাদের দর্শকেরা অত্যন্ত বুঝমান। শিগগিরই তাদের অপেক্ষার অবসান ঘটবে।’
সিনেমাটির প্রধান সহকারী পরিচালক জুয়েল রানা দ্য রিপোর্টকে বলেন, “এরই মধ্যে সিনেমাটির ৯০ ভাগ দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়েছে। ডাবিংয়ের কাজও অনেকটাই শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র রিয়াজ ভাইয়ের অংশের ৩০ ভাগ দৃশ্যধারণ বাকি আছে। এই অংশটুকুর জন্য তিনি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই ১৩ নভেম্বর হুমায়ূন স্যারের জন্মদিনে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ মুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।”
সব মিলিয়ে রিয়াজের সুস্থতার অপেক্ষাই নির্মাতার একমাত্র প্রত্যাশা। দেখা যাক, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ সিনেমার শুক্লপক্ষ ফিরে কবে!
‘কৃষ্ণপক্ষ’-এ অভিনয় করছেন- রিয়াজ, মাহি ফেরদৌস, তানিয়া আহমেদ, মৌটুসী বিশ্বাস, আজাদ আবুল কালাম, কায়েস আহমেদ, ফারুক আহমেদ প্রমুখ।