সকালে ছাড়, বিকেলে স্থগিত
আলোচিত সিনেমা ‘রানা প্লাজা’র জন্য নাটকীয় একটি দিন ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। সে দিন সকালে চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী বন্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে দেয়া পর বিকেলেই আবার বিষয়টি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে আবারো আটকালো নজরুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘রানা প্লাজা’।
সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের আলোকে ফিল্ম সেন্সর আপিল কমিটি কর্তৃক আপিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের সেন্সর সার্টিফিকেট স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এই স্থগিতাদেশ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে সমগ্র বাংলাদেশে ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন পিআইডি থেকে পাঠানো তথ্যবিবরণীতে (নম্বর : ২৬৫৭) বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণের আলোকে ফিল্ম সেন্সর আপিল কমিটি কর্তৃক আপিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত না পাওয়া পর্যন্ত ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের সেন্সর সার্টিফিকেট স্থগিত করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন সমগ্র বাংলাদেশে সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।’
এর আগে, রানা প্লাজা বিষয়ে রিটকারীদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সকালে এ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন ও সম্প্রচারে কোনো বাধা রইলো না বলে জানিয়েছিলেন প্রযোজক শামীমা আক্তারের আইনজীবী সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক এ এম আমিন উদ্দিন। এর পরপরই গুজব উঠে ঈদে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘রানা প্লাজা’।
গত ২৪ আগস্ট রানা প্লাজা ধসের ঘটনা নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’র প্রদর্শনী ও সম্প্রচারে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন হাইকোর্ট। চলচ্চিত্রটি ৪ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ছবিটি ১১ সেপ্টেম্বর মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় ছবিটির প্রযোজক ও পরিচালক। কিন্তু এর আগেই ১০ সেপ্টেম্বর আবারো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ছবিটি।
২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। এই ঘটনার ১৭ দিন পর ১০ মে ধ্বংসস্তুপ থেকে রেশমা নামের এক মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মাতা নজরুল ইসলাম খান তৈরি করেন রানা প্লাজা চলচ্চিত্রটি।