সত্যিই ‘মাইন্ড’ করেছি !
মনে রেখো
পরিচালনা : ওয়াজেদ আলী সুমন
অভিনয়ে : মাহিয়া মাহি, বনি সেনগুপ্ত, জয়ী দেব রায়, সাদেক বাচ্চু, মিশা সওদাগর, খুরশীদুজ্জামান উৎপল, নাদের চৌধুরী, আরজুমান্দ আরা বকুল, তুলিকা বসু, চিকন আলী, যাদু আজাদ, সীমান্ত
রেটিং : ১.৫/ ৫
চলচ্চিত্রের ভাষায় বললে ‘হার্টবিট প্রোডাক্সন’ মানে বড় ঘর। আর এই ঘর থেকে শাকিব খানের অসংখ্য সুপার ডুপার হিট ছবি আমরা দেখেছি। এবার দেখলাম মাহিয়া মাহি’র ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’। ঈদের আগে অবশ্য মনে রাখার মত কোনো প্রচারণা কিংবা ছবির নায়ক-নায়িকা কিংবা পরিচালক-প্রযোজকের এ ছবি নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহের লেশ মাত্র আমরা দেখতে পাইনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গণমাধ্যমগুলোতে। শেষ মুহূর্তে সেন্সর পেয়ে বড় পর্দায় এসেছে ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত এপারের মাহিয়া মাহি এবং ওপারের বনি সেনগুপ্ত অভিনীত সম্পূর্ণ বাংলাদেশি ছবি ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’।
দেলোয়ার হোসেন দিলের ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ গল্প দেখে যতটুকু মনে আছে, তা হলো: লাকী (বনি) শুধু দুটি কাজে পারদর্শী: মারপিট ও ক্লাসে ফেল করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভর্তি হওয়া মুন’কে (মাহী) দেখে ভালো লেগে যায় লাকী’র। তবে মুন-এর পছন্দ ভদ্র, মেধাবী ছেলে সোহেলকে (জয়ী)। এরপর চার চিমটে দ্বন্দ্ব, তিন চিমটে টুইস্ট, দুই চিমটে কমেডি এবং এক চিমটে করে অ্যাকশন, রোমান্স, মেলোড্রামায় ঠাসা ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’। দুঃখজনক হলেও সত্যি প্রথম দৃশ্য থেকেই ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’র গল্প ঝুলে গেছে। লাকীর আগমন এবং বাবাকে উদ্ধারের দৃশ্য এত বেশি দীর্ঘ ছিল যে, একসময় ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেছে। এত যুক্তিহীন, নিষ্প্রাণ গল্প, তার চেয়েও গ্যাসহীন বেলুনের মত চিত্রনাট্য ও ক্লিশে সংলাপ (যুদ্ধে ফাটায় বোমা লাকী ফাটায় খোমা, লাকীর ফ্যাশন অল টাইম অ্যাকশন) দীর্ঘদিন দেখা হয়নি। এটি সত্যি, ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ দেখতে গিয়ে আমজনতা বেশ কিছু দৃশ্যে হেসেছেন, তালি দিয়েছেন, নায়িকা মাহির আগমনে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন। তবে দর্শকদের এই সরল ভালোবাসা গরল চিত্রনাট্যের কারণে শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা গিয়েছে।
বিরতির পর এ ছবির গল্প কিছুটা জমে ওঠার সম্ভাবনার ডাক দিয়েছিল। তবে সেখানেই সব শেষ। পরবর্তীতে যা হয়েছে, তাকে ‘অখাদ্য কমেডি সার্কাস’ বললেও ভুল হবে না। মানুষের মনের দরজা কেমন হয়, তা দেখাবার জন্য বিশাল আয়োজন করে যে দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে, তা অভিনব হলেও আমজনতার মাথার ওপর দিয়ে গেছে। তবে কাহিনীকারের চেষ্টা ও নতুন কিছু দেখাবার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। যদিও লাকী’র ভাষ্য মতে ‘রক্ত’ দিয়ে সৃষ্ট পাপোশ (মেজেন্টা রংয়ের) পুরো প্রেক্ষাগৃহে হাস্যরসের যোগান দিয়েছিল। তবে সহ্যের সব বাধ ভেঙে গিয়েছিল, যখন দেখলাম ছবির আরেক নায়ক জয়ী’কে মৃত্যুর পরও চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা বাঁচতে দেননি (পড়ুন: রক্ষা দেননি)। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, লাশ হয়ে পরপারে যাবার পরও তাকে মূর্তি হয়ে ‘বর/ জামাই’ সেজে মাহিকে বিয়ে করতে যেতে হয়েছে। এই মূর্তিকে মেকআপ করানো হয়েছে, শেরওয়ানী-পাগড়ি-নাগড়া পড়তে হয়েছে। এই দৃশ্যগুলো দেখছিলাম আর আশেপাশের সব দর্শক আমরা বলছিলাম, এ দৃশ্য দেখার আগে আমাদের মরণ হলো না কেন? সত্যিই সেলুকাস !!! কী বিচিত্র চিত্রনাট্যকারের ভাবনা !!! সবকিছুই কেমন যেন স্কুলের ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ প্রতিযোগিতার মত ঠেকছিল।
অবশ্য এখানেই শেষ নয়। এ ছবিতে নায়ক তার শিক্ষকদের ‘আই হেইট দেম’ বলে হাতের ইশারায় অশ্লীল ইঙ্গিত দেন! নায়িকা নায়ককে উড়ন্ত চুম্বন ছুঁড়ে দিলে এ ছবিতে নায়কের বাবা (সাদেক বাচ্চু) বিড়বিড় করে বলেন, ‘কারে দিলো?’ শেষ ক্লাইমেক্সে নায়িকা বাসর রাতের ইঙ্গিত করে আহ্লাদিত হয়ে নায়ককে বলেন, ‘আমি ধ্বংস হতে রেডি’! ওদিকে নায়কের গালে বসানো নায়িকার চুমু দেখে তারা নিজেরা পুলকিত হবেন কি, তাদের দুই বাবা (সাদেক বাচ্চু ও খুরশীদুজ্জামান উৎপল) উত্তেজিত হয়ে যান। নায়কের বাবা তো ‘চুমু’র অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করেন। তিনি তার ছেলেকে অশ্লীল ভঙ্গি করে বলেন, দে দে দে। শেষ দিকে এসে মনে হচ্ছিলো, পরিচালক এবং এ ছবির সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন। যে যা পারছেন, করছেন, বলছেন। আমরাও কোমলমতি (!) দর্শক বাধ্য হয়ে সেসব গিলছি।
হার্টবিটের মত প্রযোজনা সংস্থা বড় আয়োজনে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে ঈদের সময় কোনো ধরনের প্রচারণা ছাড়া হুড়োহুড়ি করে কেন চলচ্চিত্র মুক্তি দেন-বোধগম্য নয়। তাছাড়া মৌলিক গল্প হলেও এবার গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে পুরো টীম ব্যর্থ হয়েছেন। ওয়াজেদ আলী সুমন ভিনদেশী গল্পকে যতটা সাফল্যের সাথে ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিতে রং ছড়িয়েছেন, ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ ছবিতে সেই একই পরিচালক রং হারিয়েছেন। আমাদের উপহার দিয়েছেন ‘মস্তিষ্কের বেদনা উদ্রেগকারী একটি প্রাণহীন ছবি’; যে ছবিটি প্রেমের ছবি হলেও নায়ক-নায়িকার প্রেমের রসায়নই জমেনি এতটুকু। নানান স্বাদের অযৌক্তিক আয়োজনে ভরপুর পুরো ছবি। শুরুতে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গল্প শুরু হলেও একটা সময় গল্প গিয়ে ঠেকে আইইউবেইট-এ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামগুলো আড়াল করা যেতো। হিপ্পো’কে (মিশা সওদাগর) হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সোহেল বলেন, তুমি এত উত্তেজিত থাকো বলেই তো দূরে থাকি। অথচ তার পরের দৃশ্য থেকেই সোহেল তার চরিত্রের শেষ পরিণতি পর্যন্ত উত্তেজিত থাকেন। গল্পের এক পর্যায়ে জানা যায়, সোহেল (জয়ী) মূলত ‘ব্রাউন সোহেল’। তার আসল চরিত্রের কথা সবাই জানেন। যদি তাই হয়, সোহেল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এলেন, তখন কেউ চিনতে পারলেন না কেন? সবার কি স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়েছিল? নাকি সবাই গোল্ডফিশ হয়ে পড়েছিলেন?
‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ ছবির বড় ব্যর্থতা অভিনয়শিল্পী নির্বাচন। এত নামী দামী পরিচালক, প্রযোজক মাহির সাথে অভিনয়ের জন্য কলকাতার পাঁচ ছবির নায়ক বনি’কে কেন বেছে নিলেন, জানতে ইচ্ছা হয়। ভার্সিটির প্রথম সেমিস্টারে পাঁচ বছর ধরে যে ছেলেটি পড়ছে তার সাথে নতুন ভর্তি হওয়া মাহির বয়সের পার্থক্য বেশিই হবার কথা। কিন্তু বেশ কিছু দৃশ্যে বরং বনিকে মাহির চেয়ে কম বয়স মনে হয়েছে। তারুণ্যদীপ্ত পাগলামো করার জন্য যে ধরনের অভিনয় দরকার, তা কি আমাদের দেশের অন্য কোনো নায়ক করতে পারতেন না? ভিনদেশী নায়কে আমার সমস্যা নেই। তবে বনির না আছে নায়কোচিত উচ্চতা, অভিনয়, এমনকি ওপার বাংলায় তার একটি হিট ছবিও নেই (বরবাদ, পারবো না ছাড়তে তোকে, তোমাকে চাই, জিও পাগলা, রাজা রানী রাজা প্রতিটি ছবিই ফ্লপ)। ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ ছবিতে যে দৃশ্য বনি তার অস্তিত্বের খোঁজ পান, সে দৃশ্যে তার অভিনয় ছিল খুবই কাঁচা। পুরো ছবিতে তার ডাবিংও যথাযথ হয়নি। নায়ক ব্যর্থ হলে পুরো ছবিই ব্যর্থ হয়ে যায়, বিষয়টি নির্মাতারা মাথায় রাখলে পারতেন।
এ ছবির আরেক নায়ক জয়ী দেব রায়। বনিকে যদি ১০ এ ৩ নম্বর দেয়া যায়, জয়ীকে দিতে হবে ২। বনি তো তাও নাচতে পারেন, টিনেজারদের যে ধরনের লুক থাকা দরকার, তা রয়েছে। কিন্তু জয়ী না পারেন নাচতে, না পারেন ঠিকঠাকভাবে সংলাপ প্রক্ষেপণ করতে। তিনি নিজে ডাবিং করেছেন কিনা জানিনা, তবে তার প্রায় প্রতিটি বাংলা উচ্চারণই (যেমন: গোশল, শকাল, কিচু, পারচি, মেরেচে) কানে বেদনার উদ্রেক করেছে।
মাহিয়া মাহি তুলনায় এই দুই অভিনেতার চেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভালো করেছেন। ‘মুন’ চরিত্রে তিনি সাবলীল ছিলেন। তবে একটা পর্যায়ে মাহিকেও কেমন যেন অমনোযোগী মনে হয়েছে। বনি-জয়ী কারো সাথে রসায়ন জমেনি বলেও সেটি হতে পারে। নাচের দৃশ্যে সাবলীল মাহির পুরো ছবিতে মেকআপ ও কস্টিউম ছিল বেশ চড়া, সেই সঙ্গে কিছু ক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য। ক্লাসরুমে, স্টাডি রুমে, হাসপাতালে উচ্চকিত মেকআপ কিংবা ক্লাস করতে গিয়ে ছেঁড়া জিন্স ও অন্যান্য পোশাক বাস্তবসম্মত মনে হয়নি। মূলধারার ছবিতে নায়িকা সারাক্ষণ সেজেগুজে থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। তবে এ ছবিতে মাহির সাজ খুব বেশিই বাহুল্য মনে হয়েছে। কেন জানি মনে হয়েছে, আলোক সম্পাত এ ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী। লাইট ও ক্যামেরার সঙ্গে মাহির কেমিস্ট্রি এ ছবিতে অনেক দৃশ্যেই জমেনি।
মিশা সওদাগর ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ ছবিতে মনে রাখার মত কোনো অভিনয় উপহার দিতে পারেননি। ‘জলে থাকি ডাঙায় খাই, নাম আমার হিপ্পো ভাই’-এই সংলাপ তিনি যতবার বলেছেন, খুব ‘ক্লিশে’ মনে হয়েছে। পরিচালকের নির্দেশ মানতে গিয়ে অতি অভিনয় করতে হয়েছে তাকে। বার বার নিজেকে প্রশ্ন করেছি, আমরা কি এই মিশা সওদাগরকে দেখতে চেয়েছিলাম? পরিচালকের কাছে বিনীত অনুরোধ, সঠিক অভিনেতাদের পরবর্তীতে সঠিক চরিত্রে সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য। ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ দেখে মনে হয়েছে ‘হিপ্পো’ চরিত্রটি মিশা সওদাগরের মত অভিনেতা না করলেও পারতেন।
‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিতে মিশা সওদাগর যেমন মুগ্ধ করে ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ তে হতাশ করেছেন, সাদেক বাচ্চুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তার উচ্চকিত ঢংয়ে সংলাপ প্রক্ষেপণ বিরক্তির উদ্রেক করেছে। তুলনায় খুরশীদুজ্জামান উৎপল স্বাভাবিক ছিলেন। অসংখ্য ছবিতে মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করা আরজুমান্দ আরা বকুল এ ছবিতে সহজ-সরল মায়ের ভূমিকায় সাবলীল ছিলেন। তবে শুরুর ক্রেডিট লাইনে তাকে ‘শিরীন বকুল’ বলে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো কেন, বোধগম্য নয়। এ ধরনের ভুল, মেনে নেয়া যায় না। তুলিকা বসু কিছু ক্ষেত্রে অতি অভিনয় করেছেন। অন্যান্য চরিত্রে চিকন আলী, সীমান্ত, যাদু আজাদ, নাদের চৌধুরী কেউই অভিনয় করার সুযোগ পাননি। তুলনায় সোজা ও ত্যাড়া চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন, তারা কিছুটা বিনোদন দিয়েছেন।
‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ ছবিতে গান রয়েছে চারটি। এর মধ্যে সেরা গান এ ছবির শিরোনাম গান। এস এ হক অলীকের লেখা নান্দনিক কথার ওপর হৃদয় খানের সুর-অসাধারণ। হৃদয় খান ও মিলার গাওয়া নেপালে চিত্রায়িত গানটি দেখতেও লেগেছে বেশ। ইমরান ও কনার গাওয়া ‘একটা গার্লফ্রেন্ড আমার চাই’ ভালো লাগেনি। বিশেষ করে মাহির পোশাক ভালো লাগেনি। আকাশ সেনের সুর, সংগীত ও তার নিজের গাওয়া ‘বন্ধু বিনে’ গানটির কাহিনীতে আগমন হঠাৎ করেই। বনি ও মাহি এ গানে ভালো নেচেছেন। আকাশ ও ঐশ্বরিয়ার গাওয়া আকাশের সুরে ‘করবো রাতে কল’ গানের শুরুটা আকাশেরই ‘ঢাকাই শাড়ি’ গানের অনুপ্রেরণায় তৈরি। আদিল শেখের কোরিওগ্রাফি এবার মোটামুটি ছিল।
‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ ছবির কারিগরী বিভাগের মধ্যে সম্পাদনা অনেক ক্ষেত্রেই হতাশ করেছে। বেশ কিছু দৃশ্যে কাঁচি চালানো যেতো। বিশেষ করে শেষ ক্লাইমেক্সটি আরো মচমচে করা যেতো। আবহ সংগীতে ইমন সাহা বেশ ভালো। চিত্রগ্রহণ কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালো, কিছু ক্ষেত্রে হতাশ করেছে। একই কথা প্রযোজ্য রং বিন্যাসের ক্ষেত্রেও।
সব মিলিয়ে ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’ মনে রাখবার মত কোনো চলচ্চিত্র নয়। তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই হোক কিংবা যে কোনো কারণেই হোক, এ ছবির কোনো বিভাগই মন ছুঁয়ে যেতে পারেনি। প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়েও আবিষ্কার করতে পারিনি এ চলচ্চিত্রের নাম কেন ‘মনে রেখো-মাইন্ড ইট’? অগোছালা গল্পের খাপছাড়া নির্মাণ দেখে আমরা যাতে ‘মাইন্ড’ করি সেজন্যই কি ‘মাইন্ড ইট’ বলা হয়েছে? যদি তাই হয়, তাহলে বলবো: আমরা সত্যিই মাইন্ড করেছি। ঈদ উৎসবে এত দুর্বল ছবি দেখে আমরা মাইন্ড করেছি। কারণ এ ধরনের ছবি আমরা টিকেট কেটে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতে চাই না। নির্মাতারা কি পড়ছেন?