সনদ ছাড়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে কারাদণ্ড অথবা জরিমানা
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সনদ ছাড়া কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে সোমবার (২২ নভেম্বর) ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এত দিন আমাদের সিনেমাগুলো অনুমোদন করা হতো সেন্সরশিপ অব ফিল্ম অ্যাক্ট-১৯৬৩ অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে একটি অ্যামেন্ডমেন্ট করা ছিল। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আইনটিকে সংশোধন করা হয়েছিল।
তিনি জানান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এটাকে মোডিফিকেশন করা হয়েছে যে, আইনটি সেন্সরশিপ আইন না হয়ে সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিত। তার একটা পার্ট থাকবে সেন্সর। শুধু সেন্সর থাকলে এখানে অন্য রকম অসুবিধা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখন সার্টিফিকেশন আইন। সার্টিফিকেশন আইনে গেলে সেখানে সেন্সর একটা পার্ট থাকবে। সে জন্য উনারা একটা অ্যামেন্ডমেন্ট নিয়ে এসেছিলেন। এখানে খুব বেশি বা ম্যাসিভ কোনো চেঞ্জ হয়নি। সেন্সরশিপ যে আইনটি ছিল, তার সঙ্গে কিছু কিছু যোগ করে এ আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে।
শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র বা প্রতীকবিহীন কোনো সার্টিফিকেশন পাওয়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে সে অপরাধে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন, অনেক সময় যে সিনগুলো সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত না বা সেন্সর না সেগুলো যোগ করেন, তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বোর্ডে আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবে। চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি করা হবে। সেটি বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে। সাত সদস্যের একটি আপিল বোর্ড থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আগের মতোই মন্ত্রিপরিষদ সচিব সভাপতি থাকবেন।