সমালোচনা এড়িয়ে যা বললেন খিজির হায়াত খান
# মানি লিখেছেন, মিস্টার বাংলাদেশ সিনেমা দেখা মানে হয় একটা ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেওয়া
# খিজির লেখেন, হয়তো কখনই জানবেন না সেই দিন পর্যন্ত যতদিন না আপনি নিজে একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন
# তবে মানির সমালোচনার বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করেননি খিজির
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে খুব দ্রুতই যে কোনো কিছুর প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। যার ফলে সহজেই মূল্যায়ন উঠে আসে। অর্থাৎ, ভোক্তাকে ফাঁকি দেওয়া সহজ নয়। আবার অবমূল্যায়ন হলে অন্য ভোক্তারা ধরিয়ে দেন। আজকাল এ ট্রেন্ডের সাথে যোগ হয়েছে সিনেমা বা গানের সমালোচনার জবাব দিতে নির্মাতাদের পাল্টা স্ট্যাটাস- কোনো কোনো ক্ষেত্রে ফেসবুক লাইভ।
শুক্রবার মুক্তি পাওয়া আবু আকতার উল ইমান পরিচালিত ও খিজির হায়াত খান অভিনীত ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ নিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দুটি চলচ্চিত্র বিষয়ক গ্রুপের অ্যাডমিন আবদুল্লাহ আল মানি সিনেমাটি নিয়ে ‘বিরক্তি’ প্রকাশ করলে পাল্টা স্ট্যাটাস দেন খিজির। তিনি কনটেন্টের সমালোচনা নিয়ে কথা না বলে নির্মাণ কতটা কঠিন তা বোঝাতে চাইলেন। পুরনো যুক্তির আদলে সমালোচককে সিনেমা নির্মাণ করে দেখাতে বললেন।
আবদুল্লাহ আল মানি লেখেন, আমার লাইফে লেখা সব থেকে ডিটারজেন্ট রিভিউ ছিল শাকিব খানের বসগিরি। সোডা সাবান সব কিছু দিয়েই এটার রিভিউ লিখেছিলাম। আজকে যদি মি. বাংলাদেশের রিভিউ দিতে যায় তাহলে আমাকে ছোট বেলায় ফিরে যেতে হবে। বাসায় দেখতাম যখন কাপড় চোপড় অনেক বেশী ময়লা হত তখন আম্মু “পচা বল সাবান” কেটে গরম পানির মধ্যে দিয়ে দিত। এরপর কাপড় গুলো সেই পানির মধ্যে দিয়ে কাঠি দিয়ে চাপ দিত ভেজানোর জন্য।
মি. বাংলাদেশ সিনেমা দেখা মানে হয় একটা ধৈর্য্যের পরীক্ষা দেওয়া। একটা ট্রল দেখেছিলাম “আল্লাহ আমাকে ধৈর্য্য দাও, এক্ষুনি দাও, তাড়াতাড়ি দাও।” আমি আজকে সেটা পেয়েছি। অনেকদিন পর এতো দূর্বল চিত্রনাট্য এবং মেকিং এর সিনেমা দেখলাম। ভিলেন ক্যারেক্টার ছাড়া বাকিদের কথা বলার মত না।
টেররিজম সিনেমা কিভাবে নির্মাণ করতে হয় সেজন্য পাশের দেশের “থুপাক্কি” এটা বড় উদাহরণ। আশা করছি নির্মাতারা দেখে শিখবে। আর ধৈর্য নেই এটা নিয়ে কথা বলার জন্য। মৌলিক সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে এটা ভালো দিক কিন্তু খালি থিম দিয়েই কাজ হবে না, সাথে সাথে বাকি জিনিসগুলোতেও উন্নতি করতে হবে।
রেটিং : থাগস অফ হিন্দুস্থান
অন্যদিকে মানির স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট শেয়ার করে খিজির হায়াত খান লেখেন, ফেইসবুক এ দুইটি জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের পেইজের অ্যাডমিন আপনি। চলচ্চিত্র নিয়ে আপনার অনেক গবেষণা আছে আশা করি। কখন ও কি একবার ভেবেছেন বাংলাদেশ এ আউট অফ দা বক্স একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে আমাদেরকে কি পরিমাণ যুদ্ধ করতে হয়? হয়তো কখনই জানবেন না সেই দিন পর্যন্ত যতদিন না আপনি নিজে একটা চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। আমি আমরা তো শুধু জীবনটা বাজি রেখেছি । বাংলা চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ অনেক সুন্দর হোক আপনাদের হাত ধরে আব্দুল্লাহ আল মানি, ভালো থাকবেন সব সময়।
ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে একাধিক গ্রুপে। ‘মিস্টার বাংলাদেশ’র প্রচারণা যুক্ত থাকা অনেককে দেখা গেছে মানির স্ট্যাটাস নিয়ে আপত্তি জানাতে।