সাফটার কারণে বঞ্চিত ‘হালদা’ দর্শক
প্রথম সপ্তাহে আশির ওপরে সিনেমা হল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’। দর্শকরা সিনেমাটি পছন্দও করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সপ্তাহে সিনেমা হল কমে এসেছে সাতটিতে। অন্যদিকে ৮ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘চল পালাই’র ভাগ্যে জুটেছে ৬৫টি সিনেমা হলে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বাংলা চলচ্চিত্র ‘ককপিট’ বাংলাদেশে ৮ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে ৮২টি সিনেমা হলে। সাফটা চুক্তির অধীনে আসা সিনেমাটির কারণে দেশিয় দর্শকরা বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় সিনেমা থেকে।
অনেকেই প্রথম সপ্তাহে ‘হালদা’ দেখার সুযোগ পাননি, কিন্তু হলে প্রদর্শিত না হওয়ায় দ্বিতীয় সপ্তাহে দেখতে পাচ্ছেন না তারা। প্রথম সপ্তাহে ৮২ হল পাওয়া সিনেমা দ্বিতীয় সপ্তাহে ৭টি হল পাওয়ায় অবাক হয়েছে সবাই।
এ বিষয়ে ‘হালদা’র পরিচালক তৌকীর আহমেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সাফটা’ কি আদৌ কোন কাজের? তার বিপরীতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র কি গিয়েছে? কয়টি হলে চলছে যেখানে গেছে সেখানে। বিনিময় করার জন্য চলচ্চিত্র দরকার। সেই চলচ্চিত্র কি আছে বাংলাদেশে? আগে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দাঁড়াক। সিনেমা হল তৈরি হোক নতুন। যা আছে তার পরিবেশ, প্রজেকশন ভালো হোক। সরকার নিশ্চয় বিষয়টি ভালো বুঝবে। তারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন সাফটা এখন চলচ্চিত্রের বিষধর সাপ’টা হয়ে উঠেছে।’
২০০৪ সালে সার্কভুক্ত দেশগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে একটি চুক্তি করে। যা বিস্তারিত সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এরিয়া সংক্ষেপে ‘সাফটা’ চুক্তি নামে পরিচিত। ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয় সে চুক্তি। এ চুক্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্র বিনিময় শুরু করে বাংলাদেশ ও ভারত। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে একটি ভারতীয় ছবি আমদানির বিপরীতে একটি বাংলাদেশি ছবি ভারতে রফতানি করতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের গেজেটে ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২৬ অনুচ্ছেদের ৪৯ (গ)-তে বলা আছে, বাংলাদেশে নির্মিত চলচ্চিত্র রফতানির বিপরীতে সাফটাভুক্ত দেশগুলো থেকে সমান সংখ্যক চলচ্চিত্র তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি সাপেক্ষে আমদানি করা যাবে। উভয় পক্ষের ব্যবসায়িক লাভের কথা থাকলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ছবির বিপরীতে বাংলাদেশের যে চলচ্চিত্র যাচ্ছে সে দেশে তার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।