Select Page

সিনেমার ভুলঃ তুখোড়

সিনেমার ভুলঃ তুখোড়

তুখোড় একটি ভাল মেকিং সম্পন্ন ভিন্ন স্বাদের ক্রাইম থ্রিলার মুভি। মিজানুর রহমান লাবু পরিচালিত এই সিনেমার ছোট-বড় ৭টি ভুল আমদের চোখে পড়েছে…

১. মাফিয়া মেম্বার হিসেবে পুরো সিনেমাতেই আলীরাজ সাহেবকে সিগারেট মুখে নিতে দেখা গেছে। সম্ভবত তিনি বাস্তব জীবনে সিগারেট টানেন না। তাই এই সিনেমায় একাধিকবার মুখে সিগারেট টানলেও একবারও তার মুখ থেকে ধোঁয়া বের হয়নি। বাহ, ধোঁয়াবিহীন পরিবেশবান্ধব সিগারেট  :O

২. তুখোড় এক থাই ক্রিমিনালকে মেরে ঘড়িতে পড়া তার ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে থাই ক্রিমিনাল রেকর্ড থেকে সেই ক্রিমিনাল সম্পর্কে রেকর্ড যোগাড় করে। ধরে নিলাম তুখোড় হ্যাক করে থাই পুলিশ ওয়েবসাইটে ঢুকেছিল। কিন্তু যে ক্রিমিনালের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে সে রেকর্ড দেখেছিল মারামারির সময় তুখোড়ের ঘড়িতে তার হাতের তালুর ছাপ পড়েছিল, আঙ্গুলের ছাপ না। থাইল্যান্ডের ক্রিমিনালদের হাতের মাঝখানের তালুতেও ফিঙ্গার প্রিন্ট পাওয়া যায় আগে জানতাম না 😛

৩. মাতাল মারিয়া যখন তুখোড়ের মোবাইল নাম্বার চাইলো তখন তুখোড় মারিয়ার মোবাইল নিয়ে সেখানে ৭-৮টা নাম্বার টিপেই তার নাম্বার সেভ মারিয়াকে দিয়ে দিল। নাম্বারটা টিএন্ডটি ছিল না এবং আমার জানামতে বাংলাদেশী মোবাইল নাম্বার ১১ ডিজিটের 😛

৪. তুখোড় এত টাকার মালিক ছিল অথচ এমন মোবাইল ব্যবহার করত যে মোবাইলে কল ঢুকলেও স্ক্রিনে আলো জ্বলত না (এই একই ভুল কি আমাদের পরিচালকরা আজীবনই করে আসবেন) 

৫. বাংলাদেশে তুখোড়কে মারার জন্য গুন্ডারা তাদের পিঠ থেকে লাঠি, দাঁ-চাকুসহ বেশকিছু অস্ত্র বের করতেই এমন টুংটাং শব্দ হলো যাতে মনে হবে অস্ত্র গুলো পিঠ থেকে নয় কোন লোহার কড়াই থেকে বের করা হয়েছে 😛

৬. তুখোড়কে যখন সব গুন্ডারা গোল হয়ে ঘিরে ধরে তখন সে আবোলতাবোল মার মেরে সবাইকে কাঁত করে ফেলে। সব গুন্ডা গোল হয়ে তার পাশে শুয়ে পড়ে। একটু পরেই দেখা যায় গুন্ডারা যে যার মত বিভিন্ন জায়গায় এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছে। (একসাথে শুয়ে থাকতে মনে হয় গরম লাগছিল 😛 )

৭. এই সিনেমায় বেশ কয়েকবার শিল্পীদের সানগ্লাসের লেন্সে ক্যামেরা ক্র্যুদের রিফ্লেকশন দেখা গেছে। বিশেষ করে শাইনা যখন বীচে দাঁড়িয়ে জিমির মুখ থেকে সিগারেট ছিনিয়ে নিচ্ছিল সেখানে এই দুজন ছাড়া কেউ ছিল না। অথচ জিমির সানগ্লাসে স্পষ্ট দেখা গেছে শাইনার ডান পাশেই এক ভদ্রলোক (ক্যামেরাম্যান)দাঁড়িয়ে আছেন :O ভূত :O


মন্তব্য করুন