সুখবর : চলচ্চিত্র পরিবার ও শাকিবের দ্বন্দ্বের অবসান
অবসান হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার ও শাকিবের মধ্যকার সকল দ্বন্দ্ব। দেশীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাষ্ট্রির বৃহত্তর স্বার্থে এক কাতারে দাড়ালেন শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীরা। খবর যুগান্তর।
মঙ্গলবার রাতে চিত্রনায়ক ফারুকের উত্তরার বাসায় চলচ্চিত্র পরিবারের নেতাদের উপস্থিতিতে এক ঘরোয়া বৈঠকে এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের আহবায়ক চিত্রনায়ক ফারুক, প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেন, চিত্রনায়ক শাকিব খান, বাপ্পারাজ, প্রযোজক আরশাদ আদনান, দৈনিক যুগান্তরের বিনোদন সম্পাদক এফ আই দীপু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু, নৃত্য পরিচালক সমিতির সভাপতি মাসুম বাবুল, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক নায়ক জায়েদ খান।
আলোচনার এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নায়ক ফারুক ও শাকিব খান কোলাকুলি করে ভবিষ্যতে একসঙ্গে সমঝোতা এবং সৌহার্দপূর্ন পরিবেশে কাজ করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেন।
পাশাপাশি সব ধরনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ সম্মতি প্রকাশ করেন। দ্বন্দ্বের অবসান হওয়ার পর এ বিষয়ে চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ‘শাকিব আমাদের ছেলে। ও যা করেছে না বুঝেই করেছে। এখন আর আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা নেই। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।’
শাকিব খান বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে ঝামেলা রেখে কোনো লাভ নেই। দিন শেষে আমরা একই পরিবারের সদস্য। এখন থেকে আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবো’। মূলত প্রযোজক আরশাদ আদনান ও সাংবাদিক এফ আই দীপুর উদ্যোগে দুই পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে এ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জুন এফডিসির সমস্ত সংগঠন থেকে শাকিব খান ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রধান আব্দুল আজিজকে অবাঞ্ছিত করে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা করে চলচ্চিত্র পরিবার।
যৌথ প্রযোজনার নামে দেশের প্রচলিত আইন ভাঙ্গার কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই সঙ্গে শাকিব খানের সঙ্গে চলচ্চিত্র পরিবারের অন্তর্ভূক্ত ১৮ সংগঠনের সকল সদস্যদের কাজ না করার উপরও নির্দেশ দেয়া হয়।
এর ফলে দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পায়।বিভাজন হয়ে পড়েন শিল্পীরা। তার সূত্রধরেই সম্প্রতি গুজব উঠে শিল্পীদের নিয়ে নতুন সংগঠন তৈরি করছেন শাকিব খান।
গুজবের উড়িয়ে দিয়ে প্রযোজক আরশাদ আদনান ও সাংবাদিক এফ আই দীপুর মধ্যস্থতায় শিল্পীদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান হলো।