Select Page

সেন্সরে আটকে থাকা সিনেমার কী হবে?

সেন্সরে আটকে থাকা সিনেমার কী হবে?

এনামুল করিম নির্ঝরের ‘নমুনা’, নজরুল ইসলামের ‘রানা প্লাজা’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’, অনন্য মামুনের ‘মেকআপ’, অং রাখাইনের ‘মং থেংগারি (আমার বাইসাইকেল)’ ও সাজ্জাদ খানের ‘কাঠগোলাপ’। সর্বশেষ রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’ ওয়েব ফিল্ম আটকে পড়ে সেন্সর বোর্ডে। চলতি মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পর আবারো সিনেমাগুলো এসেছে আলোচনায়।

এনামুল করিম নির্ঝরের ‘নমুনা’ সিনেমার দৃশ্য

এক দশকের বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেন্সর বোর্ড। পর্দায় কী দেখানো যাবে, কতটুকু দেখানো যাবে, তা নিয়ে ভয়েই থাকেন নির্মাতারা। ভয়ের বিষয়—নির্মাণ শেষে যদি আটকে যায় সিনেমাটি! এমন উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। বিগত সরকারের আমলে আটকে দেওয়া হয়েছে অনেক সিনেমা। কোনোটি আইনি মারপ্যাঁচে, কোনোটি অজানা কারণে।

সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা সিনেমা নিয়ে নির্মাতারা প্রতিবাদ করলেও হয়নি কোনো সুরাহা। কয়েক বছর ধরে সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করে সেন্সর সার্টিফিকেশন চালু করার দাবিও করছেন

সম্প্রতি দীর্ঘদিন আটকে থাকা সিনেমা নিয়ে সুখবর দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। গত ১৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সেন্সরে আটকে থাকা সিনেমাগুলো নতুনভাবে বিবেচনা করা হবে, পাশাপাশি পুনর্গঠন করা হবে সেন্সর বোর্ড। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি, অনেকগুলো সিনেমা সেন্সরে আটকে আছে। সেই সিনেমাগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যদি কোনো নীতিমালা ভঙ্গ না হয়, তাহলে সিনেমাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’

সেন্সর বোর্ড বিলুপ্তি নিয়েও কথা বলেছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড ও জুরিবোর্ডের মতো কমিটিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। দ্রুততার সঙ্গেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আমরা আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।’ নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘সার্বিকভাবে বলব, আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক বেশি কাজ করতে হবে। চলচ্চিত্র নিয়ে তরুণ প্রজন্মের অনেক আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। সেই আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমাদের চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে হবে।’

শুধু চলচ্চিত্র নয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংস্কার করতে হবে বলেও মনে করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বিটিভিকে দেখলে মনে হয়, এটি আশি বা নব্বইয়ের দশকের। ওই জেনারেশনের মানুষ শুধু বিটিভি দেখে, আর কেউ দেখে কি না, তা আমরা জানি না। রাজনৈতিক ও দলীয়করণের একটা বিষয় আছে। এছাড়া, বিটিভির কনটেন্টগুলো দেখে মনে হয়, তা এই প্রজন্মের জন্য নয়। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি, সব প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন করা উচিত।’ খবর আজকের পত্রিকা


মন্তব্য করুন