‘হাওয়া’ দেখিয়ে বন্ধ হলো দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র হল ছন্দা
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত আর কোনো সিনেমা হল থাকল না। সম্প্রতি পটিয়ার প্রাচীন সিনেমা হল ছন্দার আনুষ্ঠানিক বন্ধ ঘোষণা করেছেন মালিক কর্তৃপক্ষ। খবর ইত্তেফাক।
পটিয়ার তিনটি সিনেমা হলের মধ্যে মুক্তি বন্ধ হয়ে যায় ২০১০ সালে আর সবুজ সিনেমা হল সেই পথ ধরে ২০২১ সালে। বাকি ছিল শুধু ছন্দা। এখন অব্যাহত লোকসানের মুখে মালিক অজিত রায় হলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
সম্প্রতি ‘পরাণ’ ও ‘হাওয়া’ কিছুটা সাড়া ফেললেও সারা দেশের অনেক জায়গায় তার কোনো প্রভাব নেই। ছন্দা হল ‘হাওয়া’ প্রদর্শনের মাধ্যমেই বন্ধের ঘোষণা দেয়।
ছন্দা হলের ম্যানেজার মো. ফারুক জানান, তাদের ছন্দা হলটি ৬৫০ আসনের ছিল। দর্শক টানতে তারা ডিজিটাল স্ক্রিন ও সাউন্ড সিস্টেম চালু করেছিলেন। তবুও দর্শকদের হলমুখী করা যায়নি। কাস্টম, ভ্যাট-ট্যাক্স, বিদ্যুৎ বিল, জেনারেটর খরচ, কর্মচারীদের বেতন, হলের ভাড়া সব দিয়ে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়। কেউ আর হলমুখী হচ্ছে না। তাছাড়া পরিবার পরিজন নিয়ে দেখবে এমন সিনেমা এখন আর তৈরিও হয় না।
পটিয়া ছাড়াও দক্ষিণ চট্টগ্রামের দোহাজারীতে দুটি সিনেমা হল ছিল। রাঙ্গাবন ২০১৮ সালে এবং অভিসার ২০১৯ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বিজিবি সদর দপ্তরে একটি সিনেমা হল ছিল। দর্শকশূন্যতায় সেটিও ২০১০ সালের দিকে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বান্দরবানের আজিজ নগরে একটি, কক্সবাজার জেলা সদরে দুটি এবং টেকনাফ বিজিবি সেক্টরে বিজিবি অডিটরিয়াম নামে একটি সিনেমা ছিল আগেই বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ফটিকছড়িতে ঝংকার নামে একটি হল ছিল সেটিও অনেক আগে বন্ধ হয়ে গেছে।