Select Page

হিরোইজম হিরোইজম হিরোইজম

হিরোইজম হিরোইজম হিরোইজম

শাকিব খানের ৫০% এরও বেশি ছবি হিরোইজম কেন্দ্রিক। শাকিব খান-কেন্দ্রিক ছবি বলা যায় এ ছবিগুলোকে। হিরোইজমে ভরা অনেক ছবির মধ্যে ‘শাহেনশাহ‘ যোগ হলো।

ছবি ওভারঅল এন্টারটেইনিং। কমার্শিয়াল ছবির সবগুলো বৈশিষ্ট্য নিয়েই ‘শাহেনশাহ’ নির্মিত হয়েছে। গল্প, গান, ডায়লগবাজি, এক্সাইটমেন্ট সব মিলিয়ে ছবিটি জমজমাট।

ছবির গল্প সিম্পল ও পরিচিত। নির্দিষ্ট লোকাল এরিয়ার সমস্যাকে কেন্দ্র করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ছবি হয়েছে। ‘শাহেনশাহ’-র গল্প নবাবগঞ্জের নির্দিষ্ট লোকাল সমস্যার সমাধান শাকিব খানের আগমন এবং অন্যান্য ঘটনার সূত্রপাতে ছবি এগিয়েছে।

ছবি মাল্টিস্টারার। শাকিব খান, নুসরাত ফারিয়া, রোদেলা জান্নাত, উজ্জ্বল, মিশা সওদাগর, আহমেদ শরীফ, অমিত হাসান, নানা শাহ, শিবা সানু, রেবেকা, বড়দা মিঠু, সুব্রত, ডন, ডিজে সোহেল সহ আরো অভিনয়শিল্পী মিলিয়ে মাল্টিস্টারার কাস্টিং ছবি। অনেকদিন পর সিনিয়র+জুনিয়র মিলিয়ে ছবি দেখা গেল। এটা এখন দেখা যায় না।

শাকিব খান নামভূমিকায় ‘শাহেনশাহ।’ তাকে কেন্দ্র করেই ছবির গল্প এগিয়েছে। দুই পরিবার এবং আরো কিছু ঘটনাকে ঘিরে ছবি শেষ পর্যন্ত গেছে। শাকিবের আধিপত্যেই সব চরিত্রগুলো কোনো না কোনোভাবে প্রভাবিত হয়েছে। শাকিব অসাধারণ অভিনয় করেছে তবে তার লুক ও ফিটনেস চোখে পড়েছে। হেয়ার স্টাইলে সমস্যা ছিল এবং মুটিয়ে যাওয়ার সমস্যাটিও চোখে পড়ার মতো। তার চরিত্রে শেষের দিকে টুইস্ট ছিল। ডায়লগবাজি কিছু অ্যাকশনের জন্য ভালো ছিল। যেমন-‘আমি সেই শিকারী যে তার শিকারের শিকার করার আগেই তার নিঃশ্বাসটাই বন্ধ করে দেয়।’ আবার ডিম্বাণু শুক্রাণু জাতীয় ডায়লগবাজি খুবই আপত্তিকর ছিল।

অন্যান্য চরিত্রে নায়িকাদের মধ্যে রোদেলা জান্নাতের এন্ট্রিটা খুবই সুন্দর। তার অভিনয় প্রমিজিং, ফিটনেসের দিকে নজর দিলে ভবিষ্যত ভালো। তার লুক অনেকটাই মারজান জেনিফা-র মতো। নুসরাত ফারিয়ার এন্ট্রিও ভালো ছিল কিন্তু ভয়েসের সমস্যাটা আছে তাকে আসলে ডাবিং করানোর সময় এসে গেছে। আহমেদ শরীফ, মিশা সওদাগর, অমিত হাসান, ডন-রা লাউড অ্যাকটিং-ই করে গেছে ভিন্ন কিছু ছিল না। তবে মিশার শায়ের বলা ডায়লগবাজি উপভোগ্য ছিল। সবচেয়ে বিরক্তিকর ছিল ডিজে সোহেল। গানের লোকেশন ভালো ছিল ইনডোর-আউটডোরে মিলিয়ে। ছবির ক্যামেরার ভাষা কখনো বেটার আবার কখনো দুর্বল মনে হয়েছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও সবসময় ভালো ছিল না। মোটকথা ভালোমন্দেই নির্মিত হয়েছে ছবিটি। তবে ডিজিটাল ছবির অন্যান্যগুলোর মতো না দেখিয়ে ওয়াইড স্ক্রিনে দেখানোতে ফিল্মি ব্যাপারটা ভালোমতো পাওয়া গেছে।

পরিচালক শামীম আহমেদ রনি কলকাতার ভাষার স্টাইল ফলো করেছেন। যেমন কথার মধ্যে ‘মালটা কে রে, ক্যালানি’ জাতীয় শব্দের ব্যবহার করেছেন। ছবির গানে ‘প্রেমের রাজা’ অলরেডি হিট আর রোমান্টিক গানের মধ্যে ‘তুই সাথে চল’ বেস্ট ছিল।

‘শাহেনশাহ’ উপভোগ্য ছবি। বিনোদনমূলক সময় পার করতে দেখার মতো ছবি।

রেটিং – ৭.২৫/১০


Leave a reply